চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগের সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে আগুন ঝরালেন ক্রিস গেইল। তবে তাঁকেও যে আগুনে পেস বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়, সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। সেন্ট কিটসের হয়ে ব্যাট করতে নেমে গায়ানার বোলারদের অনায়াসে চার-ছক্কায় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠালেন দ্য ইউনিভার্স বস। তবে মাঝে তাঁর ব্যাট ভেঙে দু'টকরো করে দেন ওডিন স্মিথ।
সেন্ট কিটস ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন ওডিন। শুরুতেই ওয়াইড বল করেন ২৪ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান পেসার, যেটির গতি ছিল ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বৈধ না হলেও এটিই টুর্নামেন্টের সবথেকে গতিশীল ডেলিভারি ছিল। পুনরায় প্রথম বল করতে এলে স্মিথকে বাউন্ডারি মেরে স্বাগত জানান গেইল। তবে ঠিক তার পরের বলেই ২৪ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান পেসার এভাবে পালটা দেবেন, তা বোঝা মুশকিল ছিল।
গেইল লেগ-স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে রুম বানিয়ে নেন। স্মিথকে পুনরায় এক্সট্রা কভার বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে আগুনে গতির বল গেইলের ব্যাটে লাগা মাত্রই তা দু'টুকরো হয়ে যায়।
বিষয়টা যে গেইল ভালোভাবে নেননি, সেটাও বোঝা যায় পরক্ষণেই। কেননা সেই ওভারেই পরপর চার-ছয় মেরে দ্য ইউনিভার্স বস বদলা নেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর ২টি চার মারেন গেইল। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ বলে চার মেরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে ২৫০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যান তিনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোট ২৩ রান ওঠে।
শেষমেশ ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৪২ রান করে আউট হন গেইল। সেন্ট কিটস ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।