লর্ডসে স্বপ্নের টেস্ট অভিষেক ডেভন কনওয়ের। ৩০ বছর ছুঁই ছুঁই কোনও ক্রিকেটার প্রথমবার টেস্ট ক্যাপ হাতে পেলে তাঁর আবেগটা অনুমান করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই বলে সুযোগটাকে এভাবে কাজে লাগাবেন কিউয়ি ওপেনার, এতটাও অনুমান করা সহজ ছিল না ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নেমে একঝাঁক রেকর্ড গড়েন কনওয়ে। কার্যত একার হাতে দলকে নেনে নিয়ে যান বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ডেভনের জন্যই লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে রড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয় নিউজিল্যান্ড।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করার নজির গড়েছিলেন আগেই। ক্রিকেটের মক্কায় আত্মপ্রকাশ টেস্টে সবথেকে বেশি রান করার রেকর্ডও সৌরভের থেকে ছিনিয়ে নেন তিনি। এবার লর্ডসে টেস্ট অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটারের তকমা মাথায় তোলেন কনওয়ে।
শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিষেক ইনিংসে দ্বিশতরান করা ষষ্ঠ ক্রিকেটারে পরিণত হন ডেভন। ম্যাথিউ সিনক্লেয়ারের পর নিউজল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। সবমিলিয়ে কেরিয়ারের প্রথম টেস্টে দ্বিশতরান করা সপ্তম ক্রিকেটার হলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে সবথেকে বেশি রানের ইনিংস খেলা ক্রিকেটারদের তালিকায় সাত নম্বরে জায়গা হয় কিউয়ি ওপেনারের।
অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন যাঁরা:-
১. টিপ ফস্টার (২৮৭)
২. জ্যাকস রুডলফ (অপরাজিত ২২২)
৩. লরেন্স রউই (২১৪)
৪. ম্যাথিউ সিনক্লেয়ার (২১৪)
৫. কাইল মায়ের্স (অপরাজিত ২১০)
৬. ব্রেন্ডন কুরুপ্পু (অপরাজিত ২০১)
৭. ডেভন কনওয়ে (২০০)
এঁদের মধ্যে কেবল মায়ের্স অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। বাকিরা প্রথম ইনিংসে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন।
কনওয়ে ব্যক্তিগত ২০০ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩৪৭ বলের ইনিংসে তিনি ২২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া হেনরি নিকোলস ৬১ রান করে আউট হন। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে অল-আউট হয়। ওলি রবিনসন অভিষেক ইনিংসেই ৪ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।