শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই পদক জয়ের 'সেঞ্চুরি' করে ফেলেছে। এই পদক জয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে আর্চারি অর্থাৎ তিরন্দাজিরও। সেই তিরন্দাজিতেই দুই বিভাগ কম্পাউন্ড এবং রিকার্ভ। এই দুই বিভাগেই পদক জিতেছে ভারত। জানেন কি এই দুই বিভাগের মধ্যে ফারাকটা ঠিক কোন জায়গায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
এই দুই বিভাগের নামকরণ মূলত হয়েছে এই দুই বিভাগে ব্যবহৃত তিরের ধরনের উপর নির্ভর করে। রিকার্ভ বিভাগের তিরের স্টাইল খুব সাধারণ। এই তিরে জটিল 'পুলি' সিস্টেম অর্থাৎ যে জায়গাটি ধরে টেনে তির ছোড়া হয় সেই জায়গার ডিজাইন একেবারেই স্বাভাবিক। অন্যদিকে কম্পাউন্ড বিভাগে রয়েছে 'লেট অফ' ফিচার মানে যেখানে তিরকে হাল্কা টেনে ছেড়ে দিলেও তা জোড়ে দৌড়তে পারে। রিকার্ভের তিরটির উপরের এবং নিচের 'লিম্ব' অনেকটাই পেঁচিয়ে যে প্রতিযোগী ছুঁড়বে তাঁর দিকে মুখ করে থাকে। আর সেই কারণেই এর নাম 'রিকার্ভ'। এইক্ষেত্রে একজন তিরন্দাজিকে তাঁর পেশি শক্তি ব্যবহার করে তিরকে জোড়ে টেনে ধরে তবেই ছাড়তে হয় গতিবেগ পেতে। তবে কম্পাউন্ডে বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্য। সেখানে হাল্কা টান দিয়ে তির ছাড়লেই তা প্রবল গতিবেগে ছুটতে পারে।
রিকার্ভ আর্চারিতে অনেক বেশি ভালো টেকনিক দরকার। কম্পাউন্ডে তা না হলেও সমস্যা নেই। আর্চাররা ছোট্ট একটি পিন বা জানলার মতো অংশ ব্যবহার করেন রিকার্ভে। যেখান দিয়ে দেখার পরেই লক্ষ্য স্থির করে তারা তির ছোঁড়ে। কম্পাউন্ডের তিরে অনেক বেশি হুইসেল এবং বেল থাকে। এতে পুলি এবং অনেক তাঁর থাকে। এখানে লক্ষ্য স্থির করতে ম্যাগনিফাইং কাচের ব্যবহার করা হয়।তারপরে রয়েছে একটি রিলিজ সুইচ যা দিয়ে তির ছোঁড়া হয়। এর ফলে অনেক বেশি গতিবেগ পাওয়া যায় এবং লক্ষ্য স্থির করা ও অনেক বেশি ভালোভাবে করা যায়। ফলে রিকার্ভের তুলনায় কম্পাউন্ডের তির অনেকটাই ভারী হয়। পাশাপাশি দুই ফর্ম্যাটের নিয়ম কানুনেও পার্থক্য রয়েছে। রিকার্ভে লক্ষ্য থাকে সাধারণত ৭০ মিটার দূরে। যা কম্পাউন্ডে থাকে সাধারণত ৫০ মিটার। দুই ক্ষেত্রেই পাঁচটি রঙের স্কোরিং জোন থাকে। এগুলো হল সোনালি, লাল, নীল, কালো এবং সাদা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।