বাংলা রাজনীতির ময়দানে জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন ফুটবলারের লড়াই! একজন গোল দিলেন, অন্যজন গোল হজম করলেন

একদিকে বাংলার দুই ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা জিতেছেন। অন্যদিকে ফুটবলে জেতা হলনা দুই তারকার। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখলেন বিদেশ বসু ও হারতে হল কল্যান চৌবেকে।

নির্বাচনি প্রচারে বিদেশ বসু (ছবি: গুগল)

‘খেলা হবে।’ ২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে বড় স্লোগান। যা বাংলাদেশ হয়ে বাংলায় আমদানি হয়েছিল তৃণমূলের হাত ধরে। পরে সবকটি রাজনৈতিক দলই এই স্লোগানকে নিজেদের মতো তুলে ধরেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এবার, খেলা তো হল, জিতল কোন খেলোয়াড়। আসলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মোট মাঠের হেভিওয়েট চার জন খেলোয়াড় খেলতে নেমেছিলেন। ক্রিকেট জগতের দুই তারকা অশোক দিন্দা ও মনোজ তিওয়ারি এবং ফুটবল জগতের দুই তারকা বিদেশ বসু ও কল্যাণ চৌবে। 

একদিকে বাংলা ও জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা জিতেছেন। অন্যদিকে ফুটবলে জিতলেন একজন, হারলেন অন্যজন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখলেন বিদেশ বসু ও হারতে হল কল্যান চৌবেকে। একটা সময় দু'জনেই কিন্তু রাজ্য ও দেশের হয়ে জার্সি গায়ে তুলেছিলেন।  

মাঠে নামার আগেই যেন নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিদেশ বসু জিতে গিয়েছিলেন। ভোটের ফল আসতে দেখা যায় তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিজেপি-র প্রত্যুষ মণ্ডলকে ১৭ হাজার ১২৬ ভোটে হারিয়েছেন। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী আব্বাসউদ্দিন আনসারি। তিনিও বিদেশ বসুর জনপ্রিয়তার কাছে হার মানলেন। 

অন্যদিকে লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্রের কাছে হেরে গিয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। এ বার মানিকতলা কেন্দ্রে হেভিওয়েট সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। এই ম্যাচটাও আরও কঠিন হয়েছিল প্রাক্তন ভারতীয় গোলকিপারের কাছে। তবে খেলা শুরুর আগে তিনি তা মানতে চায়নি। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক বড় বড় ম্যাচ খেলেছি। এই ম্যাচটাও সামলে দেব। এ বার সাধন পাণ্ডকে কোনও গোলই করতে দেব না। সব গোল আটকে দেব।’

ফুটবল মাঠে বহু সাফল্য রয়েছে কল্যাণের। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে সাফল্য পেতে হলনা তাঁকে। ২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হতেই পরিষ্কার হয়ে গেল, রাজনীতির গোলপোস্ট সামলানো এতো সহজ নয়।পোর খাওয়া সাধন পান্ডের কাছে ৯৭৪১ ভোটে হারতে হল কল্যান চৌবেকে।