তখন খেলা সবে শেষ হয়েছে, ফুটবলাররা একে একে সাজঘরে ফিরছেন। দল যে ফাইনালে উঠেছে তাই আনন্দ হবেনা তাও হয় নাকি। আর সেই দল যদি হয় ব্রাজিল তাহলে তো খুশির সীমা থাকেনা। আর সেটাই হল। সেলেকাওরা পেরুকে সেমিফাইনালে ১-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরে ড্রেসিংরুম পার্টিতে মাতলেন। যেই পার্টির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নেইমার। শুধু গান বাজনা নয়, এই পার্টিতে সেলেকাওদের নাচতেও দেখা যায়। পার্টির এটা যেন শুরু।
প্রথম থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের হাতে। তাও গোল আসতে তুলনামূলকভাবে দেরিই হয়েছে। ৩৫ মিনিটে পেরুর রক্ষণভাগের সঙ্গে একরকম ছেলেখেলা করেই ডিবক্সের বাঁদিকে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে যান নেইমার। তিনজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেও উদ্যমী নেইমারের পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারেননি। উলটো নেইমার কাটব্যাক করে বল পাঠিয়ে দেন মাঝখানে অপেক্ষা করতে থাকা মিডফিল্ডার পাকুয়েতার দিকে। নেইমারের দিকে এগিয়ে যাওয়া গোলকিপার পেদ্রো গালেসের ফাঁকা গোলপোস্টে বল ঠেলে দিতে সমস্যা হয়নি পাকুয়েতার। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ১-০ করে ফেলেন তিনি।
এদিনও তিনি ম্যাচের সেরা হলেন। গোল না পেলেও, এদিন তিনি গোল করালেন। আর গোটা ম্যাচে নিজের ম্যাজিক দেখালেন। তথ্য বলছে চলতি কোপা আমেরিকাতে এখনও পর্যন্ত ৪৬টা ড্রিবল করেছেন নেইমার। এই তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন মেসি। চলতি কোপার পাঁচটি ম্যাচে দুটি গোল করার পাশাপাশি তিনটি গোল করিয়েছেন নেইমার। তিনটি ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনি। তাঁর এই তথ্যই বলছে ফাইনালে তিনি ঘরের মাঠে জ্বলে উঠতে তৈরি। তবে তার আগে সেমিফাইনালের জয়টা নিজেদের মতো করেই উদযাপন করলেন নেইমার এবং তাঁর সতীর্থরা।
সেমিফাইনালে পেরুকে উড়িয়ে দিয়ে সেলিব্রেশনে মাতলেন নেইমার। সাজঘরের সেই ছবি নিজের ক্যামেরাতে ধরে রাখলেন তিনি। পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টও করলেন। যেখানে নেইমারকে আনন্দে ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে। নেইমার এই ভিডিও করার সময় গান গাইছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে তাঁর সতীর্থরাও যোগ দিয়েছিলেন। গানের তালে চলছিল বাজনাও। নেইমারের আনন্দ তাঁর মুখেতেই ফুঁটে উঠছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।