অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স ‘এ’ লিগ কাঁপিয়ে এবার মোহনবাগানে ফুল ফোটাতে এসেছেন। শুক্রবার মাঝরাতে শহরে চলে এসেছেন তিনি। আর চির প্রতিদ্ধন্ধী ক্লাবের তারকাকে আটকানোর কৌশল ছকতেই পাল্টা দাওয়াই তৈরি করছে ইস্টবেঙ্গলও।
লাল-হলুদের রক্ষণ সামলাতে পারেন এবার স্পেন এবং অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা ডিফেন্ডার। স্পেনের জোস আন্তোনিয়ো পারদো লুকাস এবং অস্ট্রেলিয়ার জর্ডন এলসের সঙ্গে কথাবার্তা কার্যত চূড়ান্ত। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শেই এই দুই ফুটবলারকে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। সব ঠিকঠাক থাকলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এই দুই তারকা ফুটবলারকে খেলতে দেখা যাবে।
এদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ইভান গঞ্জালেসের। চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ইভানকে ছাড়ায় তাঁকে বড় অঙ্কের ক্ষতি পূরণ দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। শোনা যাচ্ছে, ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে বিনিয়োগকারী ইমামি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কুয়াদ্রাতের পরামর্শে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের ২ মিডফিল্ডারকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল
৩৫ বছরের পারদোকে মূলত গঞ্জালেসের পরিবর্ত হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে। তাঁর উত্থান ভিয়ারিয়েল এবং ভ্যালেন্সিয়ার যুব দল থেকে। গত মরশুমে তিনি খেলেছেন এলদেনসেতের হয়ে। এই ক্লাবকে তিনি তৃতীয় ডিভিশন থেকে দ্বিতীয় ডিভিশনে তুলে এনেছেন। ৩৫ বছরের এই ডিফেন্ডার বর্তমানে ফ্রি এজেন্ট। ফলে তাঁকে সই করাতে খুব একটা সমস্যা হবে না ইস্টবেঙ্গলের। তিনি ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে মোট ৩৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে পারে লাল হলুদ।
আরও পড়ুন: শুক্র মধ্যরাতে শহরে অজি বিশ্বকাপার, এলেন ফেরান্দো, বৌমাস, সকলকে চমকে দিয়ে এলেন পোগবাও
আর এক ডিফেন্ডার জর্ডন গত বছর ছিলেন পার্থ গ্লোরিতে। তার আগে এ লিগের ক্লাব অ্যাডিলেড ইউনাইটেডের হয়ে ১২৪টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। নিউ ক্যাসল জেটস-এর হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলেন তিনি। এবার ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসছেন জর্ডন। বাগানের বিশ্বকাপার কামিন্সের বিরুদ্ধেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২৯ বছরের তারকার উত্থান অ্যাডিলেড ইউনাইটেডের যুব দল থেকে। যুব দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার সময়েই লোনে পারা নাইট হিলসের জার্সিতে সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেক ঘটে। জানা গিয়েছে, হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারি ভাবে পারদো এবং জর্ডনের নাম ঘোষণা করা হবে ইস্টবেঙ্গলের তরফে।
পারদো ও জর্ডানের সঙ্গে কথাবার্তা পাকা হওয়ার দিনেই ইস্টবেঙ্গল চুক্তি সেরে ফেলে অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দলের দুই প্রতিশ্রুতিমান মিডফিল্ডার ভ্যানলালপেকা গুইতে এবং গুরনাজ সিং গ্রেওয়াল। অভিজ্ঞতা-তারুণ্যের মিশ্রণে নিজেদের দল তৈরি করতে চাইছে লাল-হলুদ।
এদিকে ভিসা সমস্যা কাটিয়ে দিন দুয়েকের মধ্যেই শহরে চলে আসছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বাকি বিদেশি ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফের মধ্যে অধিকাংশই এখনও ভিসা পাননি। তাঁরা কবে আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে পরের মাসেই শুরু হয়ে যাবে ডুরান্ড কাপ। সেই টুর্নামেন্টে সিনিয়র দলেরই খেলার কথা। হাতে সময় বেশি নেই। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে লাল-হলুদে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।