রবিবার ডার্বির শুরুতেই পেনাল্টি নষ্ট করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা। পেনাল্টি থেকে নেওয়া তাঁর দুর্বল শট সহজেই বাঁচিয়ে দেন বিশাল কাইথ। আর সেই সুযোগ হারানোর ফলই হাতেনাতে পেল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের পেনাল্টি নষ্ট করাটাই হয়ে যায় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এতে আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ বেড়ে যায় মোহনবাগানের। লাল-হলুদ যেন নেতিয়ে যায়। যার খেসারত ইস্টবেঙ্গলকে প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করে দিতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও, এক গোলের বেশি ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। এই অর্ধেই আবার ক্লেটন একটি হেডে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন। এছাড়াও ভালো জায়গায় সেটপিস পেয়েও, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়েই ১-৩ তাদের হারতে হয়। তবে লাল-হলুদের হারের পরেও, দ্বিতীয়ার্ধে দলের প্লেয়ারদের লড়াইয়ে খুশি কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
রবিবার রাতে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমার দলের ছেলেরা যে ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, সেই জন্য আমি গর্বিত। ওরা দেখিয়ে দিল যে, ওদের কাছে আরও বড় লক্ষ্য আসলে কী। ওরা পাগলের মতো লড়াই করেছে। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় গোলটা করে দিতে পারলে ওরা সমস্যায় পড়ে যেত। আমরা একাধিক ভালো সুযোগ তৈরি করেছি। ক্লেটনের হেড এবং বিষ্ণুকে ফাউলের জন্য যে পেনাল্টিটা পাওয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয় গোলটা হলে অনেক কিছুই বদলে যেত। যে কোনও রকম ফল হত।’
দ্বিতীয়ার্ধে ০-৩ পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমরা বিরতির পর যখন মাঠে নামি, তখন আমাদের পরিস্থিতি খুবই প্রতিকুল ছিল। একেই পেনাল্টি মিস হয়েছে, তার ওপর নুঙ্গার চোট। আমরা তখন দুই তরুণ খেলোয়াড় বিষ্ণু এবং সায়নকে আনতে চাইছিলাম। আসলে ওরা যাতে বুঝতে পারে, তেমন একটা কৌশলে আমরা ম্যাচের বাকি অংশটা খেলতে চেয়েছিলাম। এমনিতেই আজ আমরা অন্য সিস্টেমে খেলেছি। কিন্তু প্রথমার্ধের বাড়তি সময়ে নন্দকুমার এমন একটা ছোট ভুল করে ফেলল যে তৃতীয় গোলটাও খেতে হল।’
প্রথমার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েও, সেটা মিস করে বসেন ক্লেটন। বিশাল কাইথ ক্লেটনের নেওয়া দুর্বল শট ডাইভ দিয়ে রুখে দেন। আইএসএল কেরিয়ারে ক্লেটনের মোট দশটি পেনাল্টির মধ্যে এটি তাঁর দ্বিতীয় মিস। এর আগে গত বছর নভেম্বরে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। এই পেনাল্টি মিস করা নিয়ে কোচ বলেন, ‘ক্লেটন তো আর এই প্রথম পেনাল্টি মিস করল, তা নয়। এর আগেও ওর ভুল হয়েছে। আজ আর একবার সেই আফসোসের মুহূর্ত এল। তবে ক্লেটনের কাজ, ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র আমাকে খুশি করেছে। তাই এই (পেনাল্টি মিস) নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। ফুটবলে এমন হয়েই থাকে। কিন্তু এর ফলে মানসিকতায় যে প্রভাব পড়ে, আমি সেটা নিয়েই ভাবছি। ক্লেটন না হয়ে যদি অন্য কেউ মিস করত!’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।