ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর, ঘরের মাঠে লন্ডন ডার্বিতে, প্রাক্তন ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তের টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি। গোটা ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সের সুবাদে, স্পার্সকে ২-০ গোলে পরাজিত করে লিগ তালিকায় তৃতীয় স্থানে নিজেদের দখল মজবুত করল টমাস টুচেলের চেলসি।
ম্যাচের শুরুটা দারুণভাবে করেছিল চেলসি। ব্লুজদের হয়ে প্রথম ১২ মিনিটেই ক্যালাম হাডসন-ওডোয়ের হেডার অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে যায় এবং চমৎকারভাবে হাকিম জিয়েখকে রুখে দেন স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিস। তবে স্পার্সের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন ম্যাচে প্রথমবার বল জড়াতে সক্ষম হন। কিন্তু বিতর্কিতভাবে থিয়াগো সিলভাকে ফাউল করার জন্য তাঁর গোল বাতিল করা হয়। প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়।
প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুর্ধর্ষ বাঁক খাওয়ানো এক শটে জিয়েখের বাঁ-পা থেকে বল স্পার্সের গোলের টপ কর্ণারে জড়িয়ে যায়। মরোক্কান তারকার গোলের ঠিক সাত মিনিটের মাথায় মেসন মাউন্টের ফ্রি-কিক থেকে থিয়াগো সিলভা হেডারে গোল করে চেলসির ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ম্যাচের শেষের দিকে কেপা আরিজাবালাগা কেনের হেডার বাঁচিয়ে দিয়ে স্পার্সকে গোল করা থেকে রুখে দেন। শেষমেশ আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-০ ম্যাচ জিতে নেয় চেলসি।
ঘটনাক্রমে, এই নিয়ে ১০ দিনে তৃতীয়বার (লিগ কাপের সেমিফাইনালে দুইবার) কন্তের স্পার্সকে হারাল চেলসি। এই নিয়ে স্পার্সের বিরুদ্ধে এই মরশুমে চারটি ম্যাচই জিতল ব্লুজরা। এটি এই ক্যালেন্ডার বছরে ঘরের মাঠে চেলসির প্রথম লিগ জয়। প্রসঙ্গত, এটি স্পার্স ম্যানেজার হিসেবে কন্তের প্রথম লিগ পরাজয়। এই পরাজয়ের জেরে, ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সাতেই রইল উত্তর লন্ডনের দলটি। অপরদিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্ট কম, ৪৭ পয়েন্ট রয়েছে চেলসির দখলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।