প্রথমবার আইএসএলের নক আউট পর্বে নিজেদের জায়গা আগেই পাকা করেছিল জামশেদপুর। এবার লিগ তালিকায় শীর্ষে থাকা ওয়েন কয়েলের দল মোটামুটি নিজেদের শিল্ড জয়ও সুনিশ্চিত করে ফেলল। ওড়িশাকে ৫-১ উড়িয়ে নাগাড়ে ছয় ম্যাচ জিতল জামশেদপুর।
খাতায় কলমে ম্যাচ শুরুর আগে জামশেদপুরই এগিয়েছিল, ম্যাচেও শুরু থেকে তাই চোখে পড়ে। দাপট দেখানো জামশেদপুরের হয়ে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পান ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ। তলে তাঁর বাইসাইকেল কিক গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। মোটমুটি পরের ১২ মিনিটে দুই দলের কেউই বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে ২৩ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের দুর্ধর্ষ ফ্রি-কিক বারে লেগে ফিরে আসলে, ফিরত বল সবার আগে নিজের দখলে এনে তা জালে জড়িয়ে দেন চিমা। তার তিন মিনিট পরেই খারাপ রক্ষণের উদাহরণ দিয়ে ওড়িশার রাফা চিমার পায়ে বল জমা দেন। দলের ব্যবধান দ্বিগুন করতে কোনো ভুল করেননি চিমা।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষে ৪৫ মিনিটে নিজের ভুল শুধরে ওড়িশার হয়ে রাফাই ব্যবধান অর্ধেক করেন। দ্বিতীয়ার্ধে আবার যেই কে সেই। জামশেদপুরের প্রেসিং ফুটবলে বেশ চাপে পড়ে যায় ওড়িশা। ৫৪ মিনিটে স্টুয়ার্টের ক্রস থেকেই পুনরায় জামশেদপুরকে দুই গোলে এগিয়ে দেন ঋত্বিক দাস। ৭১ মিনিটে জর্ডন মারে জামশেদপুরের পক্ষে ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন। তার তিন মিনিট পরেই জোনাথাস ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে জামশেদপুরের ‘সুপার সাব’ ইশান পন্ডিতা ম্যাচের সর্বশেষ গোলটি করেন। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে এটিকে মোহনবাগানের থেকে তিন পয়েন্ট বেশি, ৪০ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের শিল্ড জয় কার্যত নিশ্চিত করে নিল কয়েলের দল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই মাঠে নামবে। সেখানে মোহনবাগান তাদেরকে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে হারাতে পারলে, তবেই জুয়ান ফেরান্দোর দল শীর্ষস্থান দখল করতে পারবে। তবে নাগাড়ে ছয় ম্যাচ জিতে ইনফর্ম জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এমনটা করা কিন্তু বেশ চাপের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।