আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের কোচিংয়ে মোহনবাগান এসজি-র যেন পুরো ভোল বদলে গিয়েছে। যেখানে বছর শেষে টানা তিন ম্যাচ হেরে চাকরি হারিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো, সেখানে নতুন বছরে অপরাজিত বাগান ব্রিগেড। উঠে পড়েছে পয়েন্ট টেবলের মগডালেও। রবিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ হারিয়ে লিগ শিল্ড জয়ের আশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে হাবাস বাহিনী।
এত কিছুর পরেও অবশ্য কোচ হাবাস খুশি নন। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি গভীর চিন্তায় রয়েছেন। রবিবার ম্যাচের পরে তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধের খেলা যদি বিশ্লেষণ করেন, তা হলে দেখবেন, আমরা তখন আরও গোল পেতে পারতাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা পুরো বদলে গেল। আমরা তখন শুধু ডিফেন্স করতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু তখনও আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা উচিত ছিল। প্রতিপক্ষকে তখনও চাপে রাখা প্রয়োজন ছিল। জানি না কেন এমন হল। বিরতিতে কিন্তু ছেলেদের বলেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। কিন্তু জানি না, কেন ওরা তা পারল না। তবে আমাদের এই নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে ও উন্নতি করতে হবে।’
রবিবার প্রথমার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণে ঝড় তোলার প্রসঙ্গ উঠতেই হাবাস পুরনো যন্ত্রণার কথা টেনে এনে বলেন, ‘২০১৯-২০-তে আমার দলকে সবাই রক্ষণাত্মক দলের তকমা দিয়ে দিয়েছিল। আমি নাকি শুধু রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলাই। এখন আমার দল যখন আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে, তখনও কেন প্রশ্ন উঠছে জানি না। ২০১৫ সালে এর চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিল আমার দল। যখন আক্রমণাত্মক খেলার দরকার পড়ে, তখন তো সে রকম খেলতেই হবে। আবার যে ম্যাচে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা প্রয়োজন, তখন ডিফেন্স করতেই হবে।’
এ দিন মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ অসাধারণ কিপিং করেন। ক্লেটন সিলভার পেনাল্টি বাঁচানো ছাড়াও, তাঁরই আর একটি হেড, যেটি অবধারিত গোল ছিল, সেটি বাঁচিয়ে দেন কাইথ। সবুজ-মেরুন কোচের গলাতেও তাই বিশালের প্রশংসা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের গোলকিপার অসাধারণ। ও এদিন অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। প্রথম ৪৫ মিনিট আমরাই ভালো খেলেছি। পরের ৪৫ মিনিটও সেই খেলাটা ধরে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। এই জায়গাটাতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের।’
বুধবারই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এক নম্বর জায়গা ধরে রাখতে হলে, সোজা হিসেবে এই ম্যাচেও জয় পেতে হবে। তবে এই ম্যাচের আগে প্রস্তুতির সময় কম পাবে মোহনবাগান। আর এটাই চিন্তায় রেখেছে হাবাসকে। স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচটাও আমাদের জিততে হবে। কিন্তু সে জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে বিমানে ও বিমানবন্দরে। ডার্বির আগে তাও সময় পেয়েছিলাম। কিন্তু পরের ম্যাচের আগে আমাদের ছ’ঘণ্টার বিমানযাত্রা করতে হবে। তবু খেলতে তো হবেই। দল বাছাইয়ের জন্য রোটেশন পদ্ধতি অবলম্বন করতেই হবে।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের সামনে এখন কেরালার বিরুদ্ধে ম্যাচ এবং শুধু তাদের নিয়েই ভাবব এখন। সেই ম্যাচের জন্য দলের ছেলেদের ফের চাঙ্গা করে তোলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই আমরা। এখন ফাইনাল বা অন্য ম্যাচ নিয়ে ভাবার প্রশ্নই ওঠে না। যখন ফাইনালের সময় আসবে, তখন ভাবব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।