আশা ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের, ২০২১-২২ মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম হায়দরাবাদের ফাইনাল ম্যাচ একেবারেই হতাশ করল না। প্রথমার্ধে কেরালা বেশি ভাল খেললেও গোল করতে কোনও দলই সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের পথ বেছে নেয় হায়দরাবাদ। তবে খেলার গতির বিরুদ্ধে ৬৭ মিনিটে রাহুল কেপির গোলে লিড নেয় কেরালা। যখন মনে হচ্ছিল কেরালা হয়তো নিজেদের প্রথম খেতাব জিতবে, ঠিক তখনই নির্ধারিত ৯০ মিনিটের দুই মিনিট আগে বুলেট শটে হায়দরাবাদের হয়ে গোল করেন সাহিল তাভোরা। এক্সট্রা টাইমেও দুই দলকে আলাদা করা না যাওয়ায় খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। পেনাল্টিতে চারটির মধ্যে তিনটি শট বাঁচিয়ে দিয়ে ম্যাচের হিরো হায়দরাবাদ গোলকিপার কাট্টিমানি। পেনাল্টি ৩-১ ব্যবধানে হায়দরাবাদের পক্ষে শেষ হয়। তৃতীয় ফাইনাল শেষেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে কেরালাকে।
ম্যাচ সেরা কাট্টিমানি
পেনাল্টিতে তিনটি সেভ করার জন্য ম্যাচ সেরা হলেন লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানি।
নাজরিরিরিরিররিরিরি! চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ
অভিজ্ঞ হোলিচরণ নাজরি হায়দরাবাদের হয়ে পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে নিজামের শহরকে প্রথম খেতাব এনে দিলেন। তৃতীয় বারও ফাইনালে পৌঁছে হতাশাই জুটল কেরালা ভাগ্যে। হায়দরাবাদ পেনাল্টিতে ৩-১ জিতল।
চারে তিন, তৃতীয় সেভ কাট্টিমানি
কেরালার হয়ে জিকসন সিংও বল জালে জড়াতে পারলেন না। তৃতীয় সেভ করলেন কাট্টিমানি। পরের শট হায়দরাবাদ ফুটবলার গোল করলেই কাপ তাদের।
কুল লাইক কামারা
চাপের মুখে তুখর পেনাল্টি খাসা কামারার। কেরালার গোলরক্ষক গিল ডাইভ না মারলেও তুখরভাবে সাইড নেটিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন কামারা। উভয় দল তিনটি করে পেনাল্টি নেওয়ার পর হায়দরাবাদ এগিয়ে ২-১।
পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল কেরালার
কাট্টিমানিকে ভুল দিকে পাঠিয়ে কেরালার হয়ে প্রথম গোল করলেন আয়ুষ অধিকারী।
সিভেরিয়োর মিস
হায়দরাবাদকে পেনাল্টি শুট আউটে ২-০ এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল হাভি সিভেরিয়োর কাছে। তবে গোলের বহু উপর দিয়ে তাঁর শট চলে যায়। এখনও অবশ্য ১-০ এগিয়ে হায়দরাবাদ।
দুইয়ে দুই, লাগাতার দুই পেনাল্টি বাঁচালেন কাট্টিমানি
নিশুর প্রথম শট কাট্টিমানি বাঁচিয়ে দিলেও, তাঁর একটি পাও গোললাইনে না থাকায় রেফারি নিশুকে পুনরায় পেনাল্টি নিতে বলেন। আবারও একই দিকে একইভাবে শট নেন নিশু এবং কাট্টিমানিও তা বাঁচিয়ে দেন।
অ্যাডভানটেজ হায়দরাবাদ
প্রথম পেনাল্টিতে গোল করে হায়দরাবাদকে এগিয়ে দিলেন দলের অধিনায়ক জাও ভিক্টর।
কাট্টিমানির পেনাল্টি সেভ
পেনাল্টি শুট আউটে কেরালার লেসকোভিচের প্রথম শটই বাঁচিয়ে দিলেন কাট্টিমানি।
পেনাল্টি শুট আউট
১২০ মিনিটও আলাদা করা গেল না দুই দলকে। এক্সট্রা টাইম শেষেও স্কোর ১-১। পেনাল্টিতে নির্ধারিত হবে এ মরশুমের বিজয়ী দল।
১১৯ মিনিট- পেনাল্টির দিকে এগোচ্ছে ম্যাচ
এক্সট্রা টাইমের নির্ধারিত সময়ের আর ৬০ সেকেন্ড বাকি। সম্ভাব্য পেনাল্টির দিকে এগোচ্ছে ফাইনাল
১১৩ মিনিট- হলুদ কার্ড
হলুদ কার্ড দেখলেন কেরালার আয়ুষ।
১১১ মিনিট- ভাজকেজকে তুলে নিল কেরালা
সকলকে খানিকটা অবাক করেই দলের গোলস্কোরার ভাজকেজকে তুলে নিলেন কেরালা কোচ ইভান। ম্যাচ পেনাল্টিতে গেলে ভাজকেজের অনুপস্থিতি কিন্তু ভোগাতে পারে তাদের। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন ভিন্সি ব্যারেটো।
১০৯ মিনিট- লেসকোভিচের গোললাইন ক্লিয়ারেন্স
দারুণ ফুটবল খেলে পেনাল্টি বক্সে একদম ফাঁকায় গোল করার বিশাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ওগবেচে। তাঁর শট গিলকে পরাস্ত করে দিলেও, একেবারে ঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা লেসকোভিচ গোললাইন ক্লিয়ারেন্স করে কেরালাকে বাঁচান।
১০৮ মিনিট- সুইপার কিপার কাট্টিমানি
মাঝমাঠ থেকে লুনার বলে গোল করার বড় সুযোগ পেতে পারতেন ভাজকেজ। তবে হায়দরাবাদ গোলরক্ষক কাট্টিমানি তড়িঘড়ি বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে হেডে বল ক্লিয়ার করে দেন।
এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু
আর ১৫ মিনিটে দুই দলের মধ্য পার্থক্য গড়ার গোল না এলে, ম্যাচ পৌঁছবে পেনাল্টিতে। কোনও দল কি পারবে এই ১৫ মিনিটে গোল করতে?
১০৫ মিনিট- এক্সট্রা টাইমের হাফ টাইম
এক্সট্রা টাইমের প্রথম ১৫ মিনিটের খেলা শেষে। এই অর্ধে কেরালাই বেশি ভাল খেলেছে। তবে ম্যাচের স্কোর এখনও ১-১।
১০১ মিনিট- দ্বিতীয়বার বারে মারল কেরালা
এই ম্যাচে দ্বিতীয়বার কেরালা ফুটবলারের শট বারে লাগল। জিকসন পেনাল্টি বক্সের মধ্যে দারুণ লাফ দিয়ে বল হেড করেন। কাট্টিমানি পরাস্ত হয়ে গেলেও, বল বারে লেগে ফিরে আসে।
৯৮ মিনিট- কেরালার বদল
ভুটিয়ার বদলে কেরালার হয়ে আয়ুষ অধিকারী মাঠে নামলেন।
৯৭ মিনিট- ওগবেচের বাইসাইকেল কিক
থ্রো-ইন থেকে দ্বিতীয় পোস্টে একটু জায়গা পেয়েছিলেন ওগবেচে। সুযোগ পেয়েই বাইসাইকেল গোল করার প্রয়াশ করেন ওগবেচে। তবে তাঁর শট গোলের একটু বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৯৫ মিনিট- সুযোগ নষ্ট হায়দরাবাদের
তাভোরার পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে হলেও হায়দরাবাদের হয়ে খুব একটা খারাপ সুযোগ পাননি হোলিচরণ নাজরি। তবে চাঁর শট গোলে তিনি গোলে রাখতে পারেননি।
৯১ মিনিট- কেরালার বদল
দিয়াজের বদলে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে মাঠে নামলেন চেঞ্চো।
এক্সট্রা টাইমের খেলা শুরু
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ৩০ মিনিট এক্সট্রা টাইমের খেলা শুরু।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ
কেরালার হয়ে রাহুল কেপির গোলের জবাবে তাভোরার তুখর শটে ম্যাচে সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হল ১-১ গোলে সমতায়। সুতরাং, তৃতীয় বার এক্সট্রা টাইমে পৌঁছল আইএসএল ফাইনাল।
৯০+১ মিনিট- ভাজকেজের সুযোগ নষ্ট
হেডারের মাধ্যমে কেরালাকে ম্যাচ জেতানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ভাজকেজ, তবে তাঁর হেডার তেকাঠির উপর দিয়ে চলে যায়।
চার মিনিট অতিরিক্ত
৯০ মিনিটের শেষে অতিরিক্ত চার মিনিট যোগ করা হল।
৮৮ মিনিট- অবিশ্বাস্য, অনবদ্য, অকল্পনীয়! তাভোরা, গোওওওওল!
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে মরশুমের ফাইনালের সম্ভবত মরশুমের সেরা গোলটি করে ফেললেন সাহিল তাভোরা। অন্তত ২৫-৩০ গজ দূর থেকে তাঁর বুলেট শট, গিলকে নড়ারই তেমন সুযোগ দেয়নি। ম্যাচে সমতায় ফিরল হায়দরাবাদ। স্কোর ১-১।
৮৬ মিনিট- হায়দরাবাদের জোড়া বদল
গোলের খোঁজে থাকা হায়দরাবাদের হয়ে হুয়ানান ও ইয়াসিরের বদলে খাসা কামারা ও অ্যারন ডি'সিলভা মাঠে নামলেন।
৮৫ মিনিট- ফের দুর্বল গোলকিপিং কাট্টিমানির
ফাইনালের চাপে নড়বড়ে দেখাচ্ছে কাট্টিমানিকে। গোলের ক্ষেত্রে তো তাঁর ভুল ছিলই, এবার লুনা ফ্রি-কিক থেকেও একটা সহজ সেভ করতে গিয়ে বল আবার পেনাল্টি বক্সে লেসকোভিচের দিকেই ঠেলে দেন তিনি। লেসকোভিচ পায়ে বল আটকে যায়। পা ঠিক করে শট মারতে মারতেই হায়দরাবাদ রক্ষণ তা ব্লক করে দেন।
৮১ মিনিট- কেরালার বদল
গোলদাতা রাহুল কেপিকে তুলে নিয়ে তুলনামূলক রক্ষণাত্মক নিশু কুমারকে নামালেন কেরালা কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ।
৮০ মিনিট- হলুদ কার্ড
ওগেবেচের বিরুদ্ধে লেট ট্যাকেল করে হলুদ কার্ড দেখলেন কেরালার দিয়াজ।
৭৫ মিনিট- অবিশ্বাস্য গিল
ওগবেচের ফ্রি-কিক থেকে এক অসামান্য সেভ করলেন কেরালা গোলরক্ষক গিল। তবে তারপর ফিরতি বল হুয়ানানের পায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ঝাঁপিয়ে পড়ে হুয়ানানের শট রুখে দেন গোলদাতা রাহুল কেপি। দুর্ধর্ষ ফুটবল!
৭১ মিনিট- জোড়া বদল হায়দরাবাদের
খেলার গতির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার পরেই জোড়া বদল ঘটালেন মার্কেজ। সৌভিক চক্রবর্তী ও অনিকেত যাদবের বদলে মাঠে নামলেন সাহিল তাভোরা ও হোলিচরণ নাজরি।
৬৮ মিনিট- গোওওওওওলললললল!
অবশেষে গোলের দেখা মিলল। খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে একটি শট নেন রাহুল কেপি। শটে এমন কিছু জোর ছিল না। তবে অদ্ভুতভাবে মরশুমে সবথেকে বেশি শট সেভ করা হায়দরাবাদ গোলরক্ষক বল ধরতে গিয়েও ব্যর্থ হন। তাঁর হাতে লেগেই বল জালে জড়িয়ে গেল। কেরালা ১-০ গোলে এগিয়ে গেল।
৬৫ মিনিট- ফ্রন্টফুটে হায়দরাবাদ
হু হু করে বারবার আক্রমণে উঠে আসছে হায়দরাবাদ। ওগবেচে ধীরে ধীরে খেলার উপর নিজের প্রভাব তৈরি করতে শুরু করেছেন।
৬০ মিনিট- এখনও গোলের দেখা নেই
প্রথমার্ধের শুরুতে কেরালা দাপট দেখালে, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দাপট দেখাচ্ছে হায়দরাবাদ। তবে ম্যাচের এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গোলের দেখা নেই।
৫৫ মিনিট- ওগবেচের অদ্ভুত মিস
ডান দিক থেকে আশিসের ক্রস থেকে দুর্ধর্ষ টাচ নিয়ে গোটা কেরালা রক্ষণকে বোকা বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন ওগবেচে। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে একেবারে গিলের সামনেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে জিকসন ঝাঁপিয়ে পড়ায় হয়তো তাঁর একাগ্রতা সামান্য নষ্ট হয়। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বল গোলের উপর দিয়ে বের করে দেন ওগবেচে। এমন জায়গা থেকে সাধারণত গোল মিস করেন না লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার। ভাগ্য ভাল বলতে হবে কেরালার।
৪৯ মিনিট- হায়দরাবাদ অধিনায়কের ভাল প্রয়াশ
প্রথমার্ধের শেষটা ভালভাবে করেছিল হায়দরাবাদ, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও দারুণ করল নিজামের শহর। দুই মিনিটে পরপর দুইটি সুযোগ তৈরি করল হায়দরাবাদ। প্রথমবার আকাশ মিশ্রর দুরন্ত রান গিলের সুবাদে আটকে যাওয়ার পর, অধিনায়ক জাও ভিক্টরের দূরপাল্লার শটও বাঁচিয়ে দিলেন গিল। ফিরতি কর্ণার কাজে লাগাতে পারেনি হায়দরাবাদ।
৪৮ মিনিট- হাই ভোল্টেজ স্টার্ট
একেবারে টপ গিয়ারে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করেছে দুই দল। শুরু থেকেই এন্ড টু এন্ড খেলা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
রোমাঞ্চক ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। কোন দল আগে গোলের দরজা খুলবে?
হাফ টাইম
ঘটনাবহুল প্রথমার্ধ শেষ হল গোলশূন্য। ম্যাচের শুরুটা একটু মন্থর হলেও, সময় গড়াতেই দুই দলই আক্রমণে উঠে আসে। তবে এখনও পর্যন্ত কেরালা ব্লাস্টার্সই বেশি ভাল ফুটবল খেলেছে।
৪৫+২ মিনিট- গিলের দুরন্ত সেভ
এই মরশুমে এখনও অবধি সুপার সাব সিভেরিয়োর চারটি গোল করেছেন। আবারও তিনি হায়দরাবাদকে এগিয়ে দেওয়ার বড় সুযোগ পেয়েছিলেন। ইয়াসিরের ফ্রি-কিক থেকে দ্বিতীয় পোস্টে তাঁর রান কেউ ট্রেকই করেনি। অনেকটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে জোরালো হেডারও নেন সিভেরিয়ো, তবে গিল তুখর রিফ্লেক্স দেখিয়ে শট বাঁচিয়ে দেন। এই কারণেই তো গিল এখনও অবধি সবথেকে বেশি ক্লিনশিট রেখেছেন।
৩ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে তিন মিনিটের ইনজুরি টাইম যোগ করা হল।
৪১ মিনিট- ভুটিয়ার শট
কেরালার হয়ে ভুটিয়া দূরপাল্লার এক শট নিয়ে গোলের প্রয়াশ করেছিলেন বটে, তবে তা অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
৩৯ মিনিট- বারে মারলেন ভাজকেজ
ম্যাচের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েছিলেন কেরালার ভাজকেজ। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, একই মুভে প্রতিআক্রমণে ছোটে হায়দরাবাদও। তবে সিভেরিয়োর পাস ওগবেচের পায়ে পৌঁছনোর আগেই তা কেরালা ডিফেন্ডাররা ব্লক করে দেন।
৩৯ মিনিট- হায়দরাবাদের বদল
সদ্য চোট সারিয়ে মাঠে নামা চিয়ানেজের গত রান দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি ফিট নন। তাই তাঁর বদলে হাভি সিভেরিয়োকে মাঠে নামাল হায়দরাবাদ।
৩৭ মিনিট- সুযোগ নষ্ট
হায়দরাবাদ রক্ষণে ব্লক থেকে সোজাসুজি মাঝমাঠে ওগবেচে হয়ে উইংয়ে চিয়ানেজের পায়ে বল চলে এসেছিল। তবে তিনি অনেকটা জায়গা পেয়েও নিজের গতির ব্যবহার করতে পারেননি। তাঁর ক্রসও ওগবেচের মাথার বদলে গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট- হায়দরাবাদের প্রথম ভাল আক্রমণ
বাঁ-দিকের উইং ধরে প্রথমবার বেশ খানিকটা উপরে উঠার সুযোগ পেয়েছিলেন অনিকেত যাদব। ওগবেচে, আকাশ মিশ্ররা মিলে মুভটা সার্থক করার চেষ্টা করলেও, শেষমেশ আশিস রাই নিজের ক্রস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি এবং তা থেকে বল সোজা কেরালা গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের দস্তানায় চলে যায়।
৩০ মিনিট- লুনার দুর্বল শট
হায়দরাবাদ পেনাল্টি বক্সের অনেক বাইরে থেকে এক দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন আদ্রিয়ান লুনা। তবে তাঁর শটে তেমন জোর না থাকায়, তা হায়দরাবাদ গোলরক্ষক কাট্টিমানি সহজেই দস্তানাবদ্ধ করেন।
২৭ মিনিট- গোলশূন্য ম্যাচে কেরালার দাপট
কেরালা বারংবার উইং ধরে হায়দরাবাদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করলেও এখনও তা বিফল হয়েছে। তবে এখনও অবধি ৬৩.৩৭ শতাংশ সময় কেরালা বল নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা ম্যাচে তাদের দাপটই প্রমাণ করে। এথনও স্কোরলাইন কিন্তু গোলশূন্যই।
২৩ মিনিট- মরিয়া ক্লিয়ারেন্স মিশ্রর
মাঝমাঠ থেকে প্রথমে ভুটিয়া এবং পরে ভাজকেজ দুর্ধর্ষ এক টাচ নিয়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নিজের জন্য খানিকটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। তবে ভাজকেজ গোলে শট নেওয়ার আগেই হায়দরাবাদের হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ক্লিয়ার করে দেন আকাশ মিশ্র।
২০ মিনিট- ম্যাচ গোলশূন্য
ফাইনালে এখনও দুই দলের কেউই গোল করতে সক্ষম হয়নি। হায়দরাবাদ সাধারণত শুরুতে গোল করতে দক্ষ হলেও, কেরালার চাপে তেমন বলই পাচ্ছেন না ওগবেচেরা। এখনও অবধি কেরালাকে বেশি ভাল দেখিয়েছে।
১৪ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া দিয়াজের
জান দিকে থ্রো-ইন থেকে হরমনজ্যোৎ খাবরা একটা দারুণ ক্রস বাড়িয়েছিলেন। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অনেকটা ফাঁকা জায়গা পেলেও, হেডার মিসটাইম করেন জর্জ পেরেইরা দিয়াজ। গোলের বড় সুযোগ হাতছাড়া করল কেরালা।
১০ মিনিট, খেলার ফল ০-০
দুটো দলই গোলের মুখ খুলতে চাইছে। কেরালা-হায়দরাবাদ দু দলই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সৌভিক গোলে শট রেখেছিলেন কিন্তু গোলরক্ষকের হাতে বল চলে যায়।
ম্যাচের প্রথম কার্ড
ম্যাচের পাঁচ মিনিটে পকেট থেকে হলুদ কার্ড বের করলেন রেফারি ক্রিস্টল জন। স্ট্রং ট্যাকেল করে লহুদ কার্ড দেখলেন সন্দীপ।
শুরু ফাইনাল ফাইট
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ পাবে তাদের নতুন চ্যাম্পিয়নকে। ফাতোর্দার পন্ডিত জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের মুখোমুখি হায়দরাবাদ ও কেরালা।
২৩০ পরে ISL-এ মাঠে দর্শক
২৩০ দিন পরে মাঠে প্রবেশ করলেন ফুটবল সমর্থকেরা। বহুদিন পরে যেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের গ্যালারি আবার তার প্রাণ খুঁজে পেল।
ঘোষিত হল দুই দল
সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের প্রথম একাদশ থেকে দুই বদল কেরালা ব্লাস্টার্স দলে, আয়ুষ অধিকারী ও নিশু কুমারের বদল মাঝমাঠে এলেন জিকসন সিং ও রাহুল কেপি।চোটের কবলে পড়া সাহাল আব্দুল সামাদ ফিট না হওয়ায় স্কোয়াডে নেই।অপরদিকে, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের প্রথম একাদশ থেকে দু'টি বদল করল হায়দরাবাদ। নিম দর্জের বদলে ডিফেন্সে ফিরে এলেন আশিস রাই আর আক্রমণ বিভাগে হাভি সিভোরিয়োর বদলে এলেন জোয়েল চিয়ানেজে।
উপস্থিত হায়দরাবাদ এফসিও
ফতোরদায় এসে পড়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স
হেড-টু-হেড রেকর্ড
এখনও অবধি ছয় বার সাক্ষাৎকারে দুই দলের একটি ম্যাচও ড্র হয়নি। দুই দলই তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে। এ মরশুমেও উভয়ই একটি করে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১-০ জিতেছিল কেরালা। দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ জয় পায় মার্কেজের হায়দরাবাদ।
সাম্প্রতিক ফর্ম
সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ জিতলেও, শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দু'টিতে হেরেছে হায়দরাবাদ এফসি। অপরদিকে, সেমিতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ জয়সমেত শেষ পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত কেরালা ব্লাস্টার্স।
সেমিফাইনালের ফলাফল
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সাহাল আব্দুল সামাদের গোলে জামশেদপুরকে হারায় কেরালা। দ্বিতীয় লেগে আদ্রিয়ান লুনা কেরালাকে এগিয়ে দিলেও প্রণয় হালদার জামশেদপুরের হয়ে গোল শোধ করে ম্যাচ ১-১ করে। তবে দ্বিতীয় লেগ ড্র করলেও, দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ জিতে ফাইনালে পৌঁছয় কেরালা।হায়দরাবাদ অপরদিকে প্রথম লেগে সিংহভাগ কাজটা করে রেখেছিল। রয় কৃষ্ণর গোলে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়লেও, বার্থোলোমিউ ওগবেচে, মহম্মদ ইয়াসির ও হাভি সিভেরিয়োর গোলে ৩-১ প্রথম লেগ জেতে তারা। দ্বিতীয় লেগে রয় কৃষ্ণ এক গোল করে মোহনবাগানকে ম্যাচ জেতালেও, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে পৌঁছয় হায়দরাবাদ এফসি।
গ্রুপ পর্বে অবস্থান
২০ ম্যাচের মরশুমে ১১টি জয় ও পাঁচটি ড্রয়ের মাধ্যমে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল ম্যানুয়েল মার্কেজের হায়দরাবাদ এফসি। অপরদিকে, নয়টি জয় ও সাতটি ড্রয়ের সুবাদে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্স।