২০১৯ সালে ভারতীয় পুরুষদের জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইগর স্টিম্যাচ প্রথমেই বলেছিলেন, ‘আমি এই সুযোগটি নিয়েছিলাম কারণ ভারতকে ঘুমন্ত দৈত্য হিসেবে আমি মনে করি। যারা জেগে ওঠার অপেক্ষায়।’ চার বছরের লড়াইয়ের পর, অনেক নতুন প্রতিভাকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার পর ভারত নিজেদের একটি আত্মবিশ্বাসী ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
জাতীয় দল বর্তমানে ২০২৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ব্যস্ত। যেখানে তারা বেশ ভালো ছন্দে রয়েছে। পাকিস্তানকে ৪-০ হারানোর পর নেপালের বিরুদ্ধে ২-০ জয় পেয়েছে। এ ছাড়াও, ভারতের ডিফেন্সও এখন দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছে। শেষ আট ম্যাচের মধ্যে সবগুলোতেই ক্লিনশিট রেখেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে একান্ত আড্ডায় ভারতের প্রধান কোচ ইগর স্টিম্যাচ দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে তাঁর ভবিষ্যত নিয়েও কথা বলেছেন।
ইগর স্টিম্যাচ উবাচ-
স্টিম্যাচের দায়িত্ব চার বছরে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থান: আমরা যে পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি নিয়ে এগিয়েছিলাম, তাতে দলটি ভালো জায়গায় গিয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া, যেটি বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই পালন করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা এবং সামগ্রিক জ্ঞানের ভিত্তিতে তা কার্যকর করা হয়েছে, যা এদেশে কেউ বিশ্বাস করে না।
লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের পারফরম্যান্স: আমি বলব ছাংতে এবং (নওরেম সিং) মহেশের কথা। ওরা দু'জন এখন ফাইনাল থার্ডে গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠেছে। ওরা খুব বিশেষ প্লেয়ার। অবশ্যই ক্লাবে ওদের কোচ সুযোগ দিয়েছে, বিশ্বাস রেখেছে, তাতে ওরা মাঠে আরও বেশি স্বচ্ছন্দ্য, সাবলীল এবং সৃজনশীল হয়ে উঠতে পেরেছে। নিজেকে প্রকাশ করা এবং জাতীয় দলের হয়ে ভালো খেলাটা আমাদের জন্য একটি ভালো বিষয়।
ছাংতে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠতে চলেছে। কারণ ও পেশাদার ফুটবলের উপযুক্ত রোল মডেল। বিশ্বের তারকা প্লেয়ার রোনাল্ডোর মতো। রোনাল্ডোর মতোই হয়ে উঠছে ভারতের ছাংতে।
কুয়েতের বিরুদ্ধে ভারতের একাদশ: একাদশে যে কেউ শুরু করতে পারে। নামগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলটাই আসল। এটা এখন বেশ স্পষ্ট যে, আমাদের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে। আমাদের তিন জন দুর্দান্ত মিডফিল্ডার আছে, যাদের সবাই একাদশে থাকার যোগ্য। আমাদের একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড আছে, যে আবার প্রথম বিকল্প, রাইট উইঙ্গারও প্রথম বিকল্প। এবং আমরা প্রতিপক্ষের উপর নির্ভর করে ফুলব্যাক এবং লেফট উইঙ্গার পজিশনে সমন্বয় করছি, জাতীয় দলের চাহিদা এবং সাফল্যের উপর সবটা নির্ভর করে।
ভারতের টানা ৮ ম্যাচে ক্লিনশিট: আমার শুরুতেই প্রথম লক্ষ্য ছিল, খেলোয়াড়দের মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং ফুটবলারদের নির্ভীক ফুটবল খেলায় উৎসাহি করা। আমি প্লেয়ারদের বলেছিলাম, সব টিমকে সম্মান করতে, কিন্তু কাউকে পেতে বারণ করেছিলাম। যে দলই প্রতিপক্ষ হোক, এই মানসিকতা যেন না বদলায়।
তাই আমি বলতে পারি, ভবিষ্যতে প্রতিপক্ষের মানের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, ভারত তার ফুটবলের দর্শন পরিবর্তন করবে না। যে দলই থাকুক, আমরা আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই খেলব। জিতি বা হারি, আমরা ফুটবল দর্শন বদলাবো না। এটিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।