ইউরো ফাইনালের পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গিয়েছে। ৫৫ বছর পর ইউরো ফাইনাল পৌঁছেও ইংল্যান্ডের প্রথম খেতাব জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে। তবে পেনাল্টি মিসের পর রাশফোর্ডদের উদ্দেশ্যে বর্ণবাদী মন্তব্য ঘিরে উত্তাল গোটা ইংল্যান্ড।
ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে এগিয়ে গিয়েও মার্কাস রাশফোর্ড, জেডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা পরপর তিনটি পেনাল্টি মিস করেন। অবশেষে তার জেরে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। রাশফোর্ড মেনে নিচ্ছেন পেনাল্টি মারার সময় তাঁর আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘এই মরশুমটা আমার ভাল কাটেনি, সেটা সকলেই জানে। আমি বরাবরই পেনাল্টি নিতে আত্মবিশ্বাসী থাকি, তবে ফাইনালে আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। আমি জানি আমি আমার সতীর্থ এবং গোটা দেশকে হতাশ করেছি। এই সময়ে আমার অনুভূতি প্রকাশের কোন ভাষা নেই। সবশেষ আমি শুধুমাত্র ক্ষমাই চাইতে পারি।’
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই গ্যারেথ সাউথেগেটের অধীনে ইংল্যান্ড দলের ফুটবলারদের একতা চোখে পড়ার মতো ছিল। অতীতে এই একতার অভাবই বারংবার হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে বহুবার দাবী করেছেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, স্টিভেন জেরার্ডের মতো একাধিক তারকারা। তবে রাশফোর্ডের কথাতে আবারও বর্তমান ইংল্যান্ড দলের ফুটবলারদের একতার ছবি ভেসে উঠল।
কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা শুনতে রাজি হলেও তাঁর গায়ে রঙ নিয়ে যে তিনি কোন মন্তব্য মেনে নেবেন না তা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা। ‘আমার পেনাল্টিটা একেবারেই ভাল ছিল না, ওটা গোল হওয়া উচিত ছিল। তবে নিজের রঙ বা আমি যেখান থেকে এসছি, তার জন্য আমি কোনদিনও ক্ষমা চাইব না। আমার কাছে কিছু না থাকলেও আমি ২৩ বছর বয়সী উইদিংটন নিবাসী একজন মানুষ। এই পরিচয়টা কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, ফাইনালে পেনাল্টি মিসের পর দক্ষিণ ম্যাঞ্চেস্টারে রাশফোর্ডের বিশাল মুরালে একাধিক কদর্য গ্র্যাফিটি করা হয়। তবে সেখানকার নিবাসীরা মুরালের নষ্ট হওয়া অংশ একাধিক আন্তরিকতাপূর্ণ বার্তায় ঢেকে দেন। সেই ছবিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন রাশফোর্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।