কলকাতা লিগের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। আর সেই দাপট বজায় রেখেই শুক্রবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মিনি ডার্বিতে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে হারিয়ে নজির গড়ে ফেললেন আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ টানা পাঁচ বার কলকাতা লিগ জিতেছিল মহমেডান। হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ হয় ১৯৩৬ সালে। তার ৮৭ বছরের অপেক্ষার পর টানা তৃতীয় বার ঘরোয়া লিগ জয় কলকাতার তৃতীয় প্রধানের। ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতে নিল মহমেডান।
এদিন মহমেডানের দু'টি গোলই হয়েছে বিরতির আগে। গোল দু'টি করেছেন যথাক্রমে লালরেমসাঙ্গা এবং ডেভিড লালানসাঙ্গা। সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে লিগ জয় নিশ্চিত করে উৎসবে মাতে মহমেডান। অন্য দিকে, মোহনবাগান সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল। সেই ম্যাচ হেরে মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। বাগানের আর লিগ জয়ের সম্ভাবনা ছিলই না। তবে তারা এদিন জিতলে বা ড্র করলে, লাভ হত ইস্টবেঙ্গলের। সেক্ষেত্রে লাল-হলুদ ব্রিগেড বাকি ম্যাচ জিতলে, শিরোপা জিততে পারত। কিন্তু মোহনবাগান নিজেরা হেরে, ইস্টবেঙ্গলের শেষ আশায় জল ঢেলে দিল।
ডেভিড ম্যাচের সেরা
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধেই দু'টি গোল হয়। প্রথমটি করেন লালরেমসাঙ্গা। দ্বিতীয় গোলটি ছিল ডেভিডের। এছাড়াও ডেভিড এদিন অনেকগুলি সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে গোলের ব্যবধান বাড়েনি। তবে ডেভিডের অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন তিনি।
ম্য়াচ শেষ, ইতিহাস মহমেডানের
মোহনবাগানকে ২-০ হারিয়ে লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল মহমেডান। সেই সঙ্গে তারা লিখে ফেলল ইতিহাস। এই নিয়ে মহমেডান দ্বিতীয় বার কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। মহমেডান লিগ পকেটে পুড়ে ফেলেছে। সাদা-কালো সমর্থকদের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে মাঠে। এখন শুধু রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার অপেক্ষা।
বাগানের সহজ সুযোগ নষ্ট
৮৯ মিনিট- সুহেল আহমেদ ভাট সহজ সিটার মিস করলেন। ডান দিক থেকে ক্রসটি নিখুঁত ছিল কিন্তু সুহেল তা লক্ষ্যে আঘাত করতে ব্যর্থ হন। যা পরিস্থিতি, তাতে মহমেডানের শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিকের অপেক্ষা।
ত্রাতা বাগান কিপার
৭৮ মিনিট- মোহনবাগানকে ফের বাঁচাবেন দেবনাথ মণ্ডল। শেখ ফৈয়াজের কাট ব্যাক দেবনাথ মণ্ডল ধরে ফেলেছে। তা না হলে ডেভিড পিছনেই ছিল। এটি ট্যাপ করতেন। এবং দলকে ৩-০ এগিয়ে দিতে পারতেন।
৩-০ করার সুযোগ সাদা-কালোর সামনে
৭১ মিনিট- ডেভিডকে একটি বিপজ্জনক এলাকায় ফাউল করা হয়েছে। ফ্রি-কিক পেয়েছে মহমেডান। তাদের জন্য ৩-০ করার বড় সুযোগ। ডেভিড শট নিয়েছিলেন ফ্রি-কিক থেকে। কিন্তু শটটি ততটা জোরালো ছিল না। বাঁচিয়ে দেন বাগান কিপার।
বাগানের আক্রমণ
৬৫ মিনিট- মেরিনার্সরা কিছুটা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে হটে, কিন্তু সেই ঝাঁজ নেই। সেই তীব্রতা নেই আক্রমণগুলোর মধ্যে, যা থেকে গোল হবে। ফারদিন আলি মোল্লাকে নিখুঁত ভাবে বল বাড়িয়েছিলেন শিবাজিৎ। কিন্তু ফারদিন বলটি বাইরে পাঠিয়ে দেন।
বাগানের আক্রমণ কোথায়?
৬২ মিনিট- মহমেডান ব্য়বধান বাড়ানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু মোহনবাগান কোনও মতে তা আটকানোর চেষ্টা করছে। তবে মহমেডানের আক্রমণের সামনে নেহাৎ-ই দিশেহারা সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগান সে ভাবে আক্রমণেই উঠতে পারছে না। বরাবরই তাদের গোল করা নিয়ে সমস্যা ছিল। সেটা মহমেডান ম্যাচেও অব্যাহত রয়েছে।
দুর্দান্ত সেভ বাগান কিপারের
৫২ মিনিট- ফের আক্রমণে ডেভিড। দুরন্ত একটি শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রাতা হন বাগান কিপার দেবনাথ মণ্ডল। দারুণ সেভ করেন তিনি।
শুরুতেই ডেভিডের আক্রমণ
৪৭ মিনিট- মহমেডানের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। ডেভিডের ভলিতে গোলের প্রচেষ্টা প্রতিহত হয়। বল ধরে নেন বাগান কিপার।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান কি গোলশোধ করতে পারবে? ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা সেই আশাই করবে। কারণ এই ম্যাচ ড্র না হলে তাদের লিগ জয়ের আশা শেষ হয়ে যাবে।
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে মহমেডান
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ল মহমেডান। মোহনবাগান খেলতেই পারেনি। মহমেডান এক তরফা ভাবেই খেলেছে। আর মোহনবাগানের বেহাল দশা দেখে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের আশার ফানুশ ধীরে ধীরে চুপসিয়ে যাচ্ছে।
৩ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। মহমেডান ২-০ এগিয়ে রয়েছে। ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
আরও একটি সুযোগ সাদা-কালোর
৪১ মিনিট- মহমেডান প্রায় আরও একটি ওপেনিং করে ফেলেছিল। গতির আকস্মিক বিস্ফোরণ এবং ডেভিডকে খুঁজে বল বাড়িয়েছিলেন আঙ্গুসানা। তবে ডেভিডের শটটি আটকে যায়। এদিকে মোহনবাগানের আমনকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে।
গোওওওওওলললল… ২-০ করে ফেলল মহমেডান
৩৮ মিনিট- ডেভিডের গোল! মহমেডান ২-০ করে ফেলল। মাঝমাঠ থেকে লম্বা একটি বল ভাসানো হয়েছিল। ১৮ গজ বক্সের ঠিক বাইরে সেই বল পান ডেভিড। বাগানের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষক দেবনাথ মন্ডলকে ডজ দিয়ে বল জালে জড়ান। দারুণ গোল ডেভিডের। এই নিয়ে লিগে ২১তম গোল হয়ে গেল তরুণ তারকার। যে পরিসংখ্যান রীতিমতো আকর্ষণীয়।
হলুদকার্ড
২৯ মিনিট- ডেভিডকে পিছন থেকে ফাউল করে হলুদকার্ড দেখলেন দীপেন্দু বিশ্বাস।
মহমেডানের জন্য দারুণ সুযোগ ছিল
২৮ মিনিট- সামাদ আলি মল্লিক এবং লালরেমসাঙ্গা মিলে বল খেলে আক্রমণে ওঠেন। এবং দুর্দান্ত ক্রস বক্সে বাড়ান, কিন্তু আঙ্গুসানা বলে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।মাথা ছোঁয়ালেই গোল ছিল। তবে মোহনবাগানকে রীতিমতো চাপে রেখেছে মহমেডান। তারা যে কোনও সময়ে ২-০ করে দিতে পারে।
নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট মহমেডানের
২১ মিনিট- সহজ সুযোগ নষ্ট মহমেডানের। তন্ময় ঘোষের কাছ থেকে একটি দুর্দান্ত পাস পান বিকাশ। কিন্তু তাঁর শট ক্রস পিসে লেগে ফিরে আসে। অল্পের জন্য মিস হয় ২-০ করার সুযোগ। ফিরতি বলে চেষ্টা করেছিলেন লালরেমসাঙ্গা। তবে গোল হয়নি।
গোওওওওওওলললললল… ১-০ করে ফেলল মহমেডান
১৩ মিনিট- ১-০ এগিয়ে গেল মহমেডান। প্রথম কর্নার পেয়ে, সেটাই কাজে লাগাল সাদা-কালো ব্রিগেড। কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান লালরেমসাঙ্গা। বলটি ক্রসবারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। বাগানের রক্ষণ নিঃসন্দেহে জঘন্য। পিছনের পোস্টে সবুজ-মেরুনের কোনও প্লেয়ার নেই।
হাফ ছাড়ল বাগান, গোললাইন সেভ
১২ মিনিট- গোল লাইন সেভ!! মহমেডানের স্যামুয়েলের শট প্রায় গোলের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছিল, কিন্তু মোহনবাগানের একজন ডিফেন্ডার গোল লাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন। কর্নার পেল মহমেডান।
আক্রমণের মেজাজে মহমেডান
৬ মিনিট- গোলের সন্ধানে ডেভিড। একটি দারুণ আক্রমণ তৈরি করেওছিলেন। একটি বল পেয়ে বাগানের রক্ষণ ভেঙে ডেভিড সাঁইসাঁই করে আক্রমণে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিহত হন। তবে শুরু থেকেই কিন্তু সাদা-কালো দাপট দেখাচ্ছে। বারবার আক্রমণে উঠছে তারা।
খেলা শুরু
মিনি ডার্বি শুরু হয়ে গেল। কী হবে খেলার ফল? কিশোর ভারতীয় স্টেডিয়ামে মহমেডান সমর্থকেরা শিরোপা জয়ের সেলিব্রেশনের জন্য তৈরি হয়ে এসেছেন। বাগানকে হারাতে পারলেই লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলবে সাদা-কালো ব্রিগেড।
মহমেডানের একাদশ
মোহনবাগানের একাদশ
কাঁদুনি বাস্তবের
মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় বলেছেন, ‘মহামেডান স্পোর্টিং যথেষ্ট শক্তিশালী দল। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে। সেই দলের বিরুদ্ধে ভালো খেলাটা আমাদের যুব দলের কাছে চ্যালেঞ্জ। আইএসএল চলছে। এএফসি কাপ দোরগোড়ায়। যুব দলের কয়েক জন ফুটবলার রয়েছে সিনিয়র দলে। সেই সব কথা মাথায় রেখেই দল নির্বাচন করতে হবে। তবে যারা খেলবে তারা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
আত্মবিশ্বাসী সাদা-কালো কোচ
মহমেডান কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে সমর্থকদের সামনে মোহনবাগানকে হারিয়েই লিগ জিততে চাই।’
দুই দলের মধ্যে লিগের ম্যাচের ফল
মহমেডানের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ জিততে পারেনি মোহনবাগান। সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল। সুপার সিক্সে পারবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড পারবে কি ম্যাচ জিতে লাল-হলুদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে?
কলকাতা লিগের শিরোপা জয়ের অঙ্ক
লিগের ফয়সলা কি আজই হবে? যা পরিস্থিতি, তাতে মোহনবাগানকে হারাতে পারলেই বাজিমাত করবে মহমেডান। শুক্রবার মিনি ডার্বিতে সাদা-কালো শিবির জিতে নিলেই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের হ্যাটট্রিক করে ফেলবে তারা। অন্য কোনও দলের দিকে আর তাকানোর কোনও প্রয়োজনই হবে না। তবে ম্যাচ ড্র হলে মহমেডান স্পোর্টিংকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলের দিকে। সেক্ষেত্রে লিগের বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে গোল পার্থক্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার হবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই বিচারে মোহনবাগান জিতলেই সুবিধা পাবে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ লাল-হলুদের ভাগ্য এখন সবুজ-মেরুনের হাতে। ১৬ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইস্টবেঙ্গল। তৃতীয় স্থানে আছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। ১৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৪১। লিগে মহমেডানের একটি ম্যাচ বাকি। ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ডের তিনটি করে ম্যাচ বাকি আছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।