খারাপ মাঠ। হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্ম। সেই সঙ্গে রেফারিং নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ- মোহনবাগানের অজুহাত দেওয়ার অনেক মশলা মজুত থাকবে ঠিকই, তবে এদিন দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান সত্যিই নজর কাড়তে পারেনি। যার নিট ফল, এএফসি কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে তাদের ফিরতে হচ্ছে। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ১-২ হারতে হল বাগানকে। প্রথম দু’টি ম্যাচে ওড়িশা এবং মাজিয়াকে হারালেও, তৃতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে এই বসুন্ধরার কাছেই আটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। দু'বার এগিয়ে গিয়েও ২-২ ড্র করেছিল। আর অ্যাওয়ে ম্যাচে সেই কিংসের কাছে হেরেই বসে থাকল তারা।
১-২ হারল বাগান
জঘন্য ফুটবল খেলেছে মোহনবাগান। তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছে। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কাছে ১-২ হেরে ফিরতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। হতাশাজনক পারফরম্যান্স। রক্ষণ থেকে আক্রমণ বা মাঝমাঠ সবেতেই ল্যাজেগোবরে হয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর টিম। এমন পারফরম্যান্স করে অন্তত ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হল। মোহনবাগান কি পারবে সমতা ফেরাতে?
গোওওওওললললল… ব্রাজিলিয়ান তারকার গোলে ২-১ করল বসুন্ধরা
৮০ মিনিট- বক্সের সেন্টার থেকে কিংসের ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোর ডান পায়ের জোরালো শট। কিছুই করার ছিল না বিশাল কাইথের। ডোরিয়েল্টন রবিনহোকে নিখুঁত পাস বাড়ান। সেই পাস ধরেই ২-১ করেন রবিনহো।
হলুদকার্ড
৬৫ মিনিট- বাগানের কোলাসো ফাউল করায় তাঁকে হলুদকার্ড দেখতে হল।
প্লেয়ার পরিবর্তন
৬৩ মিনিট- মোহনবাগানের সাদিকুর বদলে নামানো হল গ্লেন মার্টিন্সকে।
হলদুকার্ড
রাকিব হোসেনকে বাডে ফাউল করেন কিংসের আসরর গাফুরভ। তাঁকে হলুদকার্ড দেখানো হয়। রাকিব হোসেন অনেকক্ষণ মাঠে পড়েছিলেন।
হুগোর প্রচেষ্টা
৫৭ মিনিট- মোহনবাগানের হয়ে হুগো বৌমাস আবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট এবার লক্ষ্যের বাইরে চলে যায়। এটি মোহনবাগান খেলোয়াড়ের আর একটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা ছিল। তবে বাগান গোলের মুখ খুলতে আর পারছে না।
ফের ঝামেলা
৫৩ মিনিট- বিশ্বনাথ এবং শুভাশিস আবার একে অপরের সঙ্গে তর্ক শুরু করেছে। এই বার অবশ্য মোহনবাগানের লিস্টন কোলসোকে বাজে ফাউল করার জন্যই শুভাশিস ঝামেলায় জড়ান।
কিংসের ফ্রি-কিক
৪৮ মিনিট- কিংস ফ্রি কিক পেলে মিগুয়েল ফেরেরা শট নেন, তবে জেসন কামিন্স একটি হেডে বলটি ক্লিয়ার করে দেন। কোনও বড় অঘটন ঘটেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধের শুরুতে মোহনবাগান এগিয়ে গেলেও, বিরতিরঠিক আগেই গোলশোধ করে দেয় কিংস। বিরতিতে খেলার ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে যদি বাগান আক্রমণের ঝড় তুলতে না পারে, তবে কিন্তু চাপ হবে।
বিরতিতে ফল ১-১
এগিয়ে গিয়ে এবারও ফের গোল হজম করল মোহনবাগান। ওড়িশার মাঠে যেমনটা ঘটেছিল। এটা কি অশনিসঙ্কেত? বিরতিতে খেলার ফল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে বাগানকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।
গোওওওওওলললললল….. ১-১ করল কিংস
৪৪ মিনিট- বসুন্ধরা কিংসের হয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন মিগুয়েল ফেরেইরা। তিনি অনেকটা দূর থেকেই গোল করেন। মিগুয়েল টার্ন করে নিজের বাঁ-পা দিয়ে বল ধরে একটি রাজকীয় সোয়াইপ নেন, এবং জোরালো শট নেটে জড়ান।
হ্যামিল-শ্রাবণ টক্কর
৩৮ মিনিট- ব্র্যেন্ডন হ্যামিলের সঙ্গে হাসান শ্রাবণের টক্কর হয়। বসুন্ধরার কিপার ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। তবে তাড়াতাড়ি আবার উঠেও পড়েন। কোনও কার্ড হয়নি।
গোলের সুযোগ নষ্ট কিংসের
৩১ মিনিট- ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের মিগুয়েল ফিগুইরা দামাসেনো। কিন্তু তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
২-০ হল না বাগানের
২৮ মিনিট- জেসন কামিন্স লুস বল পেয়ে ভালো শটটা নিয়েছিলেন। কিন্তু কিংসের কিপার শ্রাবণ তা বাঁচিয়ে দেন। দুর্দান্ত সেভ করেন তিনি। কিংসের ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে গিয়েই, বল পেয়ে গিয়েছিলেন কামিন্স। কিন্তু তিনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না। দুর্দান্ত ভলি শট নিলেও, সেটা গোলে ঢোকেনি। তবে যাইহোক কামিন্স আফসাইডও ছিলেন।
গোওওওওওলললললল….. বাগানকে এগিয়ে দিলেন কোলাসো
১৭ মিনিট- শুভাশিস বোস থ্রুবল বাড়িয়েছিলেন কামিন্সকে। কামিন্স আবার বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়ান। সেই বল ধরেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন লিস্টন কোলাসো। কিংসের কিপার শ্রাবণ প্রথমটা বলটি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোলাসো ফিরতি বল নেটে জড়ান।
কোলাসোর প্রচেষ্টা
১৪ মিনিট- লিস্টন কোলাসো দুরন্ত একটি শট নেন এবং বসুন্ধরা কিংসের কিপার শ্রাবণ কোনও মতে বলটি ক্লিয়ার করে দেন। তবে মোহনবাগান কর্নার পায়। কিন্তু সাহাল আব্দুল সামাদের শট কার্যকরী ছিল না।
বিশাল কাইথের তৎপরতা
৭ মিনিট- বসুন্ধরা কিংস প্রায় স্কোর করে ফেলছিল। ডোরিয়েল্টন প্রায় গোলে বল ঢুকিয়ে ফেলছিলেন, কিন্তু বিশাল কাইথ বেরিয়ে এসে বলটি ক্লিয়ার করে দেন। ডোরিয়েল্টন আবার একটি শট নেয়। কিন্তু এই শটে জোর ছিল না। কাইথ সহজেই বলটি ধরে ফেলেন।
সুযোগ বাগানের
৫ মিনিট- সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাগানের। তবে নেটের সাইডে শট মারেন মনবীর সিং। মোহনবাগান প্লেয়ারের থেকে এটি একটি ভালো প্রচেষ্টা ছিল। গোলের জন্য ছটফট করছে বাগান। বসুন্ধরার জন্য এটা কিন্তু চাপের হতে পারে।
ফের উত্তাপ ছড়াল
৪ মিনিট- মোহনবাগান এবং কিংস খেলোয়াড়দের মধ্যে ফের উত্তেজনা। রকি এবং লিস্টন কোলাসোর মধ্যে তর্ক বাধে। তারপর বিশ্বনাথ ঘোষ এবং শুভাশিসও জড়িয়ে পড়েন তাতে।
শুরুতেই ঝামেলা
৩ মিনিট- শুরুতেই ফাউল এবং ইতিমধ্যে দুই জন খেলোয়াড় একে অপরের দিকে তেড়ে আসছেন। ম্যাচের প্রথম দিকেই হাতাহাতি। তবে রেফারি দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন। এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন হুগো বৌমাস এবং মিগুয়েল ফেরেরা।
খেলা শুরু
মোহনবাগান এসজি বনাম বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ শুরু। দুই দলের কাছেই এদিনের ম্যাচের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ।
বসুন্ধররার একাদশ
বাগানের একাদশ
ফেরান্দো উবাচ
বাগান কোচ বলেন, ‘এএফসি কাপ টুর্নামেন্টই বেশ কঠিন। আমাদের কাছে বসুন্ধরা ম্যাচটাও যথেষ্ট কঠিন। বাংলাদেশকে সে ভাবে না জানলেও, এটুকু জানি যে বসুন্ধরা এখানকার চ্যাম্পিয়ন দল এবং ভালো দল। এই দলের অনেকেই জাতীয় দলে খেলে। আমরা প্রতিপক্ষকে সন্মান করি। তবে আমাদের এই ম্যাচে জিততেই হবে এবং সে জন্য সেরাটা দিতেই হবে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘বসুন্ধরা যে তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে কোনও টুর্নামেন্টেই অ্যাওয়ে ম্যাচ হোম ম্যাচের চেয়ে কঠিন হয়। তবে আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। যে পরিকল্পনা কার্যকরী করলে আমরা তিন পয়েন্ট পেতে পারি। এটাই আমাদের মানসিকতা। এখন আমাদের গ্রুপ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে জিততেই হবে। বসুন্ধরারও পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাই আমাদের এই ম্যাচে জিততেই হবে।’
বাগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ওড়িশা এবং বসুন্ধরা
তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষ স্থানে মোহনবাগান। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে বসুন্ধরা কিংসের সংগ্রহে রয়েছে চার পয়েন্ট। আজ জিতলেই সবুজ-মেরুনকে ধরে ফেলবে তারা। এদিকেই আজ মঙ্গলবারই মাজিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-২ হারিয়ে দিয়েছে ওড়িশা এফসি। চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে, তারা লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। স্বভাবতই মোহনবাগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এখন ওড়িশাও। তাই পয়েন্টের ব্যবধান বাড়াতে হলে আজ জিততেই হবে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে।
জয়ের খোঁজে দুই বাংলার দলই
বিজয়া দশমীর রাতে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ২-২ ড্র করার ফলে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের রাস্তা বেশ কঠিন পড়েছে মোহনবাগানের কাছে। তার উপর তো রয়েছেই চোট-আঘাত সমস্যা। বাগানের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে চোটের কারণে পাওয়া যাবে না। আশিক কুরুনিয়ান আগেই ছিটকে গিয়েছেন। এই মরশুমে তাঁর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা কার্যত নেই। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, জিততে মরিয়া বাগান। তবে এই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসও কলকাতার দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়ের খোঁজে থাকবে। আর এই ম্যাচ থেকে বসুন্ধরা তিন পয়েন্ট পেলে, তারা গ্রুপ শীর্ষে থাকা বাগানকে ধরে ফেলবে। প্রথম তিন ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৭, কিংসের ৪। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডও চাইবে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়াতে।
দুই দলের দ্বৈরথের ইতিহাস
এএফসি কাপে তিন বার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের। প্রথমবার মালেতে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচ। দ্বিতীয় বার কলকাতায় ৪-০ গোলে জেতে বাগান। আর শেষ বার ওড়িশার মাঠে ২-২ গোলে ড্র হয়। আজ ঢাকার কিংস এরিনায় চতুর্থ বারের মতো মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। এবারও লড়াই এএফসি কাপের মঞ্চেই। জিততে মরিয়া মোহনবাগান এবং বসুন্ধরা- দুই দলই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।