সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোর এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই খেলতে নামতে হচ্ছে আরও একটি ডার্বি। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি ৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)।
জাতীয় পর্যায়ে এই মরশুমে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছে মোট তিন বার। দু’বার জিতেছে লাল-হলুদ। এক বার সবুজ-মেরুন। শনিবার আইএসএলের প্রথম এবং মরশুমের চতুর্থ বড় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। চলতি মরশুমে ডুরান্ড এবং সুপার কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আধিপত্য দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে এখনও আইএসএলে জিততে পারেনি তারা। সেই খরা কাটাতে মরিয়া হয়ে থাকবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।
শুধু আইএসএলের পরিসংখ্যানেই যে ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে রয়েছে, তা নয়। এই বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পয়েন্টের নিরিখে বিচার করলেও, মোহনবাগান কিন্তু অনে এগিয়েক রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট লাল-হলুদের। তারা রয়েছে লিগ তালিকায় আট নম্বরে। সেখানে ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান রয়েছে পাঁচে।
তবে ডার্বির লড়াই সব সময়েই আলাদা হয়ে থাকে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দল যখনই মুখোমুখি হয়, তখন একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ে না। পুরো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। গত এক মাসে ইস্টবেঙ্গল তাদের খেলায় অসাধারণ উন্নতি দেখা গিয়েছে। কলিঙ্গ সুপার কাপ তারা দাপটের সঙ্গে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরের ট্রফি খরা কেটেছে ইস্টবেঙ্গলের। স্বভাবতই তারা এখন চনমনে।
ডার্বির আগে লাল-হলুদের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত অবশ্য সতর্ক। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যাতে দলের মধ্যে আত্মতুষ্টি না আসে, সেই দিকে কড়া দৃষ্টি রয়েছে তাঁর। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ‘বড় জয়ের পরে মনোযোগ নষ্ট হতেই পারে। ছেলেদের মনোসংযোগ যাতে নষ্ট না হয়, সেই চেষ্টা করছি আমরা। বেঙ্গালুরুর সঙ্গেও ঘটেছে এমনটা। আমরা ফুটবল জগতের সঙ্গে রয়েছি দীর্ঘ দিন। অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে। আমি এটাও জানি যে, আমার ছেলেদের মোটিভেশনের দরকার পড়বে না। আরও একটা বড় ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি ওরা। বড় ম্যাচ খেলার মোটিভেশন রয়েছে ওদের।’
এর সঙ্গে কুয়াদ্রাত যোগ করেছেন, ‘মোহনবাগান আমাদের থেকে এই মুহূর্তে আট পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। আমাদের তিন পয়েন্ট দরকার এখন। আমরা জেতার চেষ্টা করব আর মোহনবাগানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করব। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
সুপার কাপের পর ইস্টবেঙ্গল বোরহা আর সিভেরিয়োকে ছেড়ে দিয়েছে। বড় ম্যাচে তাই চার বিদেশি নিয়েই ছক সাজাতে হবে কুয়াদ্রাতকে। যদিও তাঁদের পরিবর্তে দুই বিদেশির নাম লাল-হলুদ ঘোষণা করে দিয়েছে। তারা ভিক্টর ভাসকুয়েজ এবং ফেলিসিয়ো ব্রাউন ফোবর্সকে দলে নিয়েছে। কিন্তু ডার্বিতে তাদের পাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে কার্ড সমস্যায় নেই শৌভিক চক্রবর্তীও।
এই প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলছিলেন, ‘লড়াইটা এগারো বনাম এগারোই হবে। শৌভিকের কাজটা কে করতে পারে, সেটাই আগে দেখতে হবে। শৌভিককে নিয়ে আমরা খুশি। তবে শৌভিকের জায়গায় কাকে নামান যায়, সেটাই দেখতে হবে।’ তিনি আর বলেছেন, ‘চার জন বিদেশিকে নিয়ে খেলব আমরা। আমার ছেলেদের উপরে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা ভালো খেলছি। মানোলোর হয়ে খেলতে চেয়েছিল বোরহা। আমি আটকায়নি। ওকে যেতে দিয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।