ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে ২ বার এগিয়ে গিয়েও, গোল ধরে রাখতে পারেনি। যার খেসারত ম্যাচ ড্র করে দিতে হল। এদিকে মোহনবাগান শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল। তবে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অব্যাহত রাখলেন আন্তোনিয়ো লোপেড হাবাস। একই সঙ্গে, ইস্টবেঙ্গলের কাছে আইএসএলে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল মোহনবাগানও। আর ইস্টবেঙ্গল প্রথম বার আইএসএলের ডার্বি থেকে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল।
খেলা শেষ
ম্যাচের ফল শেষ পর্যন্ত ২-২ থাকল। ২বার এগিয়ে গিয়েও ইস্টবেঙ্গল গোল ধরে রাখতে পারেনি। এদিকে মোহনবাগান দু'বার পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি। ২ বারই সমতা ফিরিয়েছে। তবে ডার্বি ড্র হওয়ায় পয়েন্ট টেবলে দুই দলই ধাক্কা খেল। পুরো পয়েন্ট কোনও টিমই পেল না। ১ করে পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল দুই প্রধানকে।
৭ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। খেলার ফল ২-২। ৭ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হল। দুই দলই ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া।
গোওওওওললল.. সমতা ফেরালেন পেত্রাতোস
৮৭ মিনিট- দুরন্ত গোল পেত্রাতোসের। মনবীরের ক্রস থেকে ২-২ করে ফেললেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল কিছুটা ঢিল দিয়েছিলেন। যাইহোক জোরালো শটে গোল করেন পেত্রাতোস। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য ফাউলের আবেদন করেছিল। লাল-হলুদের দাবি ছিল, সাহাল আগে ফাউল করেছেন। কিন্তু রেফারি তাতে গুরুত্ব দেননি।
গোলের মরিয়া চেষ্টা মনবীরদের
৮১ মিনিট- মনবীর ডানদিকের ফ্ল্যাঙ্ক বরাবর বল পান। পেত্রাতোসের কাছে পাস বাড়ান তিনি। তবে কার্যকরী কিছু হয়নি। প্রভসুখন গিল নিরাপদে বল ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। এই ঘটনার মিনিট দুয়েক আগে মনবীর বক্সে স্কোর করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
প্লেয়ার পরিবর্তন
৭০ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন বাগানে। দীপক টাংরি এবং অনিরুদ্ধ থাপাকে তুলে সুমিত রাঠি এবং জেসন কামিন্সকে নামাল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রীর জায়গায় নামলেন ভিপি সুহের।
নওরেমের চোট
৬৬ মিনিট- লাল-হলুদে চোটাতঙ্ক। নওরেম মহেশ সিং আহত। শুভাশিস বোসের কাফ দিয়ে মাথায় আঘাত লাগে নওরেমের। কনকাশন হয়েছ বলে মনে হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের মেডিক্যাল টিম তৎক্ষণাৎ মাঠে ছুটে আসে। মাঠে ছাড়েন নওরেম। মহেশ। পরিবর্তে নামেন এডউইন।
মাঠে ঝামেলা
৬২ মিনিট- সায়নের সঙ্গে পেত্রাতোসের প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। সেখান থেকে সেই ঝামেলা বড় আকার নেয়। দুই দলের প্লেয়াররাই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। সায়ন মাঠে মাথা গরম করছে দেখে, কুয়াদ্রাত তাঁকে তুলে নেন। পরিবর্তে নামান বিষ্ণুকে। এদিকে পেত্রাতোস ফ্রি-কিক নিলে ইস্টবেঙ্গল তা ক্লিয়ার করে দেয়।
ফের কার্ড
৫৯ মিনিট- প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে মহেশ বল নিয়ে উপর দিকে এগোতে শুরু করেন। মার্টিন্স, যিনি চোট পাওয়া ব্রেন্ডনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন। যার ফলে হলুদকার্ড দেখেন তিনি।
সাদিকু চাপে
৫৭ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল ২-১ এগিয়ে যাওয়ার পর, মোহনবাগানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা। আর্মান্দো সাদিকু একটি হলুদ কার্ড দেখে বসলেন। যার ফলে সাদিকুকে পরের ম্যাচে পাবেন না হাবাস।
গোওওওওলললল… পেনাল্টি থেকে ২-১ করলেন ক্লেটন
৫৫ মিনিট- এই পেনাল্টি নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মোহনবাগান শিবির। তারা মাঠের মধ্যে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। এদিকে ক্লেটন সিলভা পেনাল্টি থেকে বিশাল কাইথকে পরাস্থ করে গোল করতে ভুল করেননি। ২-১ লিড নিল ইস্টবেঙ্গল।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
৫৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল পাল্টা আক্রমণে ওঠে। ক্লেটন সিলভা বাঁ-দিক থেকে ক্রস বাড়াব নন্দ কুমারকে। সায়ন ক্রস মিস করলেও, দীপক টাংরি বক্সের মধ্যে মহেশকে ধাক্কা দিলে রেফারি তাঁকে হলুদকার্ড দেখান। তার মানে টাংরিকে পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি নওরেম মহেশকে অযথা ফাউল করে, তাঁর ঘাড়ের উপর উঠে পড়েছিলেন দীপক টাংরি। পেনাল্টি দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
ফাউলের বন্যা
৪৮ মিনিট- সাদিকুকে ফাউল করে বসেন নিশু। মোহনবাগান ফ্রি-কিক পায়। পেত্রাতোস ফ্রি-কিক নেন। কিন্তু সেটা একেবারেই কার্যকরী ছিল না। সেই বল ধরে প্রতি আক্রমণে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগান থামিয়ে দেয় লাল-হলুদকে। এই সময়ে অজয় ছেত্রী পিছন থেকে এসে অকারণেই হ্যামিলকে ফাউল করেন। র্যাশ ট্যাকলের জন্য অজয়কে শুধু হলুদকার্ড দেখানো হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু, বাগানে পরিবর্তন
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। আর বিরতির পরেই কিয়ান নাসিরিকে তুলে নিলেন হাবাস। নামলেন মনবীর সিং।
বিরতি
প্রথমার্ধে খেলার ফল ১-১। মোহনবাগান কিন্তু পরের দিকে ম্যাচের রাশ ধরে নিয়েছিল। বেশ ভালো ছন্দে ছিল তারা। তবে লাল-হলুদের পার্দো বুক চিতিয়ে ডিফেন্স রক্ষা করে চলেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে কী হবে?
৩ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ম্যাচের ফল এখন ১-১। ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
লাল-হলুদের বড় সুযোগ
৪৪ মিনিট- বাঁ-দিক থেকে নিশুর ক্রস ধরে ইস্টবেঙ্গল প্রায় স্কোর করে ফেলছিল। কিন্তু নন্দা এটা পাওয়ার আগেই বিশাল কাইথ বল ধরে ফেলে। গোল আর হয়নি।
অল্পের জন্য গোল মিস করলেন সাদিকু
৪০ মিনিট- কিয়ান বক্সের মধ্যে একটি ক্রস ভাসিয়ে দেন। দীপক সেটি পেয়ে সাদিকুকে বাড়ান। কিন্তু সাদিকুর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোলের উপর দিয়ে সেটি বেরিয়ে যায়।
খেলার রাশ ধরে নিয়েছে বাগান
৩৫ মিনিট- ভালো ফুটবল খেলছে মোহনবাগান। ম্যাচের রাশ তারা ধরে নিয়েছে। পেত্রাতোস এবং সাদিকু মিলে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে বারবার আঘাত করছেন। ফের দু'জনের মিলিত প্রয়াসে আক্রমণে উঠে একটি বল ফ্লিক করে সাহালের কাছে পাঠানো হয়, কিন্তু সাহালের ক্রস শেষ পর্যন্ত পার্দোর ক্লিয়ার করে দেন। পার্দো দারুণ ডিফেন্স সামলাচ্ছেন।
হলুদকার্ড
৩৩ মিনিট- নন্দকুমারকে ফাউল করে কার্ড দেখলেন শুভাশিস। এখন শুভাশিসকে বড় ভেবেচিন্তে খেলতে হবে।
কড়া প্রহরী লাল-হলুদের পার্দো
মোহনবাগান ফ্রি-কিক পেল। পেত্রাতোস শট নেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সেটা ক্লিয়ার করে দেয়। পার্দোর উপস্থিতিতে লাভবান হয়েছে কুয়াদ্রাতের দল। তিনি এখনও পর্যন্ত কড়া হাতে লাল-হলুদের ডিফেন্স সামলানোর চেষ্টা করছেন।
বাগানের প্রয়াস
২৩ মিনিট- সাদিকুকে লক্ষ্য করে শুভাশিস লং বল বাড়ান। কিন্তু গিল সেটিকে সহজেই বাঁচিয়ে দেন। এই ঘটনার এক সেকেন্ড পরেই সাদিকু বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নেন। সেটি লাল-হলুদের কিপার কিপার গিল সেভ করেন।
ক্রেসপোকে কেন তুলে নিলেন কুয়াদ্রাত?
১৯ মিনিট- দ্রুত পরিবর্ত করল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ গোল খেতেই স্ট্র্যাটেজি বদলালেন কুয়াদ্রাত। ক্রেসপোকে তুলে নামালেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে কুয়াদ্রাতের এই পরিবর্তনের কারণটা পরিষ্কার হল না। কারণ ক্রেসপো লাল-হলুদের গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।
গোওওওললল… সমতা ফেরালেন সাদিকু
১৭ মিনিট- মোহনবাগান ডান দিকের ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে বারবার আক্রমণে উঠছে।আর সেখান দিয়ে আক্রমণে উঠেই ব্রেন্ডন হ্যামিল ক্রস বাড়ান সাদিকুকে। ভলিতে গোল করে সমতা ফেরালেন সাদিকু। ১-১ হয়ে গেল ম্যাচের ফল। উচ্ছ্বাসে ভাসছে সবুজ-মেরুন গ্যালারি।
মাঠ ছাড়লেন আনোয়ার
১৪ মিনিট- শেষ পর্যন্ত হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে সেন্টার-ব্যাক আনোয়ার আলি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন। মোহনবাগান এটা বড় ধাক্কা খেল। তাঁর জায়গায় নামলেন আমনদীপ।
আনোয়ারের চোট
৯ মিনিট- ক্রেসপোকে থামানোর চেষ্টা করার সময়ে আনোয়ার আলি বাঁদিকের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি বসে পড়েন। মাঠে মেডিক্যাল টিম এসেছে। এটা যদি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট হয়ে থাকে, তবে সেন্টার-ব্যাক চাপে পড়ে যাবে। গোড়ালির চোট সারিয়ে সদ্য ফিরেছিলেন আনোয়ার।
পেনাল্টির আবেদন বাগানের
৭ মিনিট- লং বলের হাত ধরে আক্রমণের ওঠার চেষ্টা করে মোহনবাগান। সাহাল ডান দিক থেকে একটি ক্রস পানয এবং তিনি সেটিকে সেন্ট্রালে থাকা সাদিকুকে বল বাড়ান। কিন্তু লালচুংনুঙ্গা তাঁকে মার্ক করে রেখেছিলেন। এবং বলটি হাতছাড়া হলে পেনাল্টির আবেদন করেন সাদিকু। তবে এটি কোনও পেনাল্টি ছিল না।
গোওওওলললল… অজয়ের গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
৩ মিনিট- বাঁ-দিক থেকে আক্রমণের ওঠে ইস্টবেঙ্গল। মহেশ বল পেয়ে নিশুকে পাস বাড়ান। নিশু আবার বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা অজয় ছেত্রীকে ক্রস বাড়ান। অজয় গোলের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি টুক করে বল জালে জড়ালেন। বাগানের ডিফেন্ডাররা দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন। অজয় গোলের সামনে বল পেলেও, সেটা প্রতিরোধ করার তাগিদ সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের মধ্যে দেখা গেল না। যেন ঘুমিয়ে ছিল বাগানের ডিফেন্স।
খেলা শুরু
খেলা শুরু হয়ে গেল। বাঁশি বাজিয়ে দিলেন রেফারি। আজ নিঃসন্দেহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দুই দলের। তেতে রয়েছে ইস্ট-মোহন দুই প্রধানই। আইএসএলের পরের রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্য়াচে জয় পাওয়াটা দুই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় সঙ্গীত
জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা শুরু হবে। গ্যালারি জুড়ে আবেগের বিস্ফোরণ। আজ কারা জিতবে?
পুরো টিম পাচ্ছে বাগান
মোহনবাগানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর থেকে হেড কোচের পদে আসা আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস দায়িত্ব নেওয়ার পর দল সুপার কাপের ডার্বিতে হারলেও সেই দলে প্রায় সাত জন খেলোয়াড় ছিলেন না। তাঁর তখন ছিলেন এশিয়ান কাপে খেলা ভারতীয় শিবিরে। চোটের তালিকায় ছিলেন আনোয়ার আলি, সহাল আব্দুল সামাদরা। শনিবারের ম্যাচে পুরো দল পাচ্ছে সবুজ-মেরুন। তাই লাল-হলুদের লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না।
চার বিদেশি নিয়েই খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে
সম্প্রতি আক্রমণ বিভাগের দুই বিদেশি তারকাকে ছেড়ে দিয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী। বোরহা এবং সিভেরিয়োকে ছেড়ে দেওয়ার ফলে শনিবার ডার্বিতে তারা চার জনের বেশি বিদেশি ফুটবলার পাচ্ছে না। যদিও তাঁদের পরিবর্তে দুই বিদেশির নাম লাল-হলুদ ঘোষণা করে দিয়েছে। তারা ভিক্টর ভাসকুয়েজ এবং ফেলিসিয়ো ব্রাউন ফোবর্সকে দলে নিয়েছে। কিন্তু ডার্বিতে তাদের পাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে কার্ড সমস্যায় নেই শৌভিক চক্রবর্তীও।
মোহনবাগানের একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
আমাদের কাছে তিন পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ- দাবি কুয়াদ্রাতের
মহারণের আগে কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গল একটা বড় ক্লাব। এত সমর্থক তাদের। অনেক দিন পরে ক্লাব একটা ট্রফি জিতেছে। সমর্থকেরা আনন্দ করার একটা সুযোগ পেয়েছেন। শনিবার জিততে পারলে ওঁরা আবার আনন্দ করতে পারবেন। এখন ওঁরা গর্বিত। এখন ওঁরা অন্য ক্লাবের সমর্থকদের সামনে গিয়ে গর্ব করে বলতে পারবেন, আমরাও চ্যাম্পিয়ন। বড় ম্যাচের পর ঠোক্কর খাওয়ার কথা জানি। এমনিতে কোনও একটা ট্রফি জিতে পরের ম্যাচেও ঠোক্কর খাওয়ার কথাও জানি। ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল জেতার পর সুপার কাপে আই লিগের একটা দলের কাছে হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফুটবলারদের মনঃসংযোগ ঠিক রাখাই আমার কাজ। ওরা আইএসএলের জন্য তৈরি। আরও একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে নামবে। আমাদের কাছে তিন পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখনই ট্রফির কথা ভাবতে চাই না। আমরা লিগ তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছি। শনিবার জিততে পারলে মোহনবাগানের সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের পার্থক্য হবে। তা-ও পিছিয়ে থাকব আমরা। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে পারলে আমরা ছয় নম্বরে উঠব। কিন্তু তখনও অনেক কাজ বাকি থাকবে। তবে প্লে-অফের লড়াইতে চলে আসব। ট্রফির কথা এখন থেকেই ভাবতে চাই না।’
ইস্টবেঙ্গলের কাছে কখনও হারিনি- হাবাস উবাচ
ডার্বির আগে হাবাস বলেছেন, ‘আমি কখনও কোনও ম্যাচে হারার কথা ভেবে খেলতে নামি না। মনে রাখবেন, আমি এখনও ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারিনি। ট্রফির জন্য লড়াই করতে নামলে সব ম্যাচে জয়ের কথা ভেবেই নামতে হয়। গত বারের থেকে এ বার ভারতীয় ফুটবলারের মান ভালো হয়েছে। বিশেষত মোহনবাগানের কথা বলব। অনেকেই জাতীয় দলের হয়ে ভালো খেলেছে। আমাদের দলটা খুবই ভালো। অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। কাল আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমাদের ফোকাসে শুধু কালকের ম্যাচে। ডার্বির আগে নিজের উপরে চাপ কমানোর চেষ্টা করছি। সব সময়েই আমার লক্ষ্য থাকে দলকে সেরা ফর্মে রাখা। এত বড় ম্যাচে আমরা নিজেদের সব রকম ভাবে তৈরি রাখছি। জানি যে আমরা বিপক্ষের থেকে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে। কিন্তু অন্য দল নিয়ে নয়, আমি ভালোবাসি নিজের দলকে নিয়ে ভাবতে।’
হাবাস বনাম কুয়াদ্রাতের লড়াইয়ে এগিয়ে বাগান কোচই
কোচ হিসেবে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস এবং কার্লেস কুয়াদ্রাত এখনও পর্যন্ত আইএসএলে পাঁচ বার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে তিন বার জিতেছে হাবাসের দল ও একটিতে জিতেছেন কুয়াদ্রাত, একবার ড্র হয়েছে। হাবাসের দল তিন বারই জিতেছে হোম ম্যাচে।
ফুটছে ময়দান
আইএসএলের প্রথম পর্বে বাতিল হয়ে যাওয়া ডার্বি দিয়েই শুরু হচ্ছে দুই প্রধানের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারা মোহনবাগান প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। নতুন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে ‘নতুন’ মোহনবাগান। অন্য দিকে, ১২ বছর পর ট্রফি জেতা ইস্টবেঙ্গল চাইছে কলকাতা ডার্বিতে হেরে আনন্দ এখনই মাটি না হোক। ফলে শনিবার উত্তেজক লড়াইয়ের অপেক্ষায় সমর্থকেরা।
আইএসএলের দুই প্রধানের দ্বৈরথের ইতিহাস
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গত তিন মরশুমে কলকাতার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ছ’বার। প্রতিবারই জিতেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। ইস্টবেঙ্গল এফসি এই টুর্নামেন্টে আজ পর্যন্ত হারাতে পারেনি মোহনবাগানকে এসজিকে। দুই দলের দ্বৈরথে মোট ১৭ গোল হয়েছে। মোহনবাগান করেছে ১৫টি এবং ইস্টবেঙ্গল করেছে মাত্র দু’টি। সব মিলিয়ে এই মরশুমের আগে পর্যন্ত টানা আটটি ডার্বিতে হেরেছে লাল-হলুদ। এক তরফা আধিপত্য রেখে গিয়েছিল বাগান। এই বছর অবশ্য ডুরান্ড কাপ এবং সুপার কাপ মিলিয়ে দুই দলের তিন বার মুখোমুখিতে ২-১ এগিয়ে ইস্টবেঙ্গলই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।