হাত বাকি রয়েছে আর একটা দিন, তারপরেই মরশুমের প্রথম ডার্বির স্বাদ পাবে বাংলার ফুটবল প্রেমী মানুষ। এবারে প্রথম মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান শক্তিশালী তবে হাল ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ, লাল হলুদের লড়াকু মেজাজ দেখাবেন কুয়াদ্রাত। চলতি মরশুমের শুরুতেই আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল। ধারে-ভারে সবদিকেই এগিয়ে প্রতিপক্ষ দল। অনেকেই মনে করছেন যে এই ডার্বিতে লাল হলুদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কারণ মোহনবাগান অনেকটাই সেট টিম নিয়ে মাঠে নামবে। এরপরেও দলে রয়েছে তারকা বিদেশি ফুটবলার। সেখানে ইস্টবেঙ্গল দলের অধিকাংশই নতুন মুখ। গতবছরের মাত্র দু'জন রয়েছে এই দলে। নাওরেম মহেশ এবং লালচুংনুঙ্গা।
কিছুদিন আগেই কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে ইস্টবেঙ্গল অনুশীলন শুরু করেছে। স্প্যানিশ কোচের অধীনে মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল দল। ডুরান্ডে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে দু'গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করেছিল তারা। শোনা যাচ্ছে ডার্বিতেও নাকি পুরো দল হাতে পাবেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা খাতায় কলমে ফেভারিট হিসাবে মোহনবাগানকেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এই অবস্থাতেও নিজেদের আন্ডারডগ ভাবছেন না লাল হলুদের নতুন কোচ। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মনে করলেও, কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ। ডার্বির আগে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ডার্বি অবশ্যই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি পুরো দল পাব না। দেখতে গেলে এটা আমাদের তৃতীয় প্রাক মরশুম ম্যাচ। গত মরশুমের মাত্র দু'জন প্লেয়ার নাওরেম এবং নুঙ্গা এই দলে আছে। তাই প্রত্যেক ম্যাচই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই। এটা আমাদের ট্যাকটিক্স পরীক্ষা করার মঞ্চ। সব ফুটবলার ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। তারমধ্যে সেরা এগারোকে নামতে হবে। জানি মোহনবাগান শক্তিশালী দল। ওরা এএফসি কাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আমাদের দলেও মন্দারের মতো ফুটবলার রয়েছে।’
শেষ আটটি ডার্বিতে জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ বড় ম্যাচ জিতেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। তারপর থেকে ডার্বি মানেই হার। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ফুটবলে চাপটা থাকবেই। এল ক্লাসিকোতেও আছে। অতীতেও আমি চাপ হ্যান্ডেল করেছি। কলকাতা ডার্বি স্পেশাল ম্যাচ। আমরা নিজেদের আন্ডারডগ বলব না। জানি বিপক্ষ শক্তিশালী। শেষ আটটা ডার্বি জেতায় তাদের মানসিকভাবে ওরা ভালো জায়গায় থাকবে। আমরা প্রস্তুতির যথাযথ সময় পাইনি। দল গড়তে বা প্লেয়ার পেতে আমাদের সময় লেগেছে। এটা আমাদের হাতে ছিল না।’
দলের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত স্প্যানিশ কোচ। ফুটবলারদের ক্লান্তিও টেনশনে রাখছে। জানান, অন্তত ৬জন ফুটবলারকে নব্বই মিনিট মাঠে থাকতে হবে। তবে পাশাপাশি এও জানিয়ে দিলেন, কোনও ভাবেই পয়েন্ট নষ্ট করে মাঠ ছাড়া যাবে না। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমাদের ম্যাচ জিততে হবে। আমরা ২ পয়েন্টও হারাতে পারব না। এটা প্লেয়ারদের বলে দিয়েছি। আমরা সাপোর্টারদের রেজাল্ট দিতে চাই। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। বেঙ্গালুরুতে আমি যা করেছিলাম। বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ডুরান্ড কাপ জিততে চাই। মোহনবাগানের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে জেতা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের তিন পয়েন্ট চাই।’ পিছিয়ে থেকে জয়ের লক্ষ্যে নামলেও ফুটবলারদের ওপর কোনও চাপ সৃষ্টি করতে চান না ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ। ডার্বিতে কোনও রকম ভুল করতে চান না স্পানিয়ার্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।