ভারতীয় ফুটবলের আর কোনও টিম ধারাবাহিক ভাবে এত খারাপ পারফরম্যান্স বোধহয় এ বারের এসসি ইস্টবেঙ্গলের আগে করেনি। সাতটি ম্যাচ লাল-হলুদ বাহিনী খেলে ফেলেছে। কিন্তু জয়ের দেখা তো দূরের কথা, এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতেই তারা হেরে বসে রয়েছে। ৩টি ম্যাচ ড্র করেছে।
শুক্রবার নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ০-২ হেরে বসে থাকল তারা। ৯ গোল দিয়ে ১৭ গোল খেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণের অবস্থা তো অত্যন্ত খারাপই। আসলে পুরো টিমই ফ্লপ করছে। রক্ষণ, মাঝমাঠ, ফরোয়ার্ড লাইন, প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের হাল অত্যন্ত খারাপ। এর পরেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ বলছেন, নর্থ-ইস্টের প্রথম গোলের পর নাকি তাঁরা দল ভালো খেলেছে। তা সত্ত্বেও ২-০ হেরেছে দিয়াজ ব্রিগেড। শেষে অবশ্য বলেছে, এই টিমের পক্ষে ম্য়াচ জেতা সম্ভব নয়। তাঁর টিম যা খেলছে,
শুক্রবার রাতে আইএসএলের চার নম্বর ম্যাচে হারের পরে কী বললেন দিয়াজ, দেখে নিন এক নজরে:
আর কবে জিতবে এসসি ইস্টবেঙ্গল?
পরিস্থিতি খুবই কঠিন। তবে নর্থ-ইস্টের প্রথম গোলের পরে আমরা ভালো খেলেছি। আমরা গোলের একাধিক ভাল সুযোগও পেয়েছিলাম।
আমির দার্ভিসেভিচ ও ওয়াহেংবাম লুয়াংকে খেলালেন। অথচ আদিল খান বেঞ্চে বসে ছিলেন। কেন ওঁকে নামালেন না?
আমির ও লুয়াং মাঝমাঠে ওদের নিজেদের জায়গাতেই খেলেছে। রাজু গায়কোয়াড় সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলেছে। ওরও ওটাই আসল জায়গা। সে জন্যই এই পরিবর্তনগুলো করি।
অমরজিৎ কিয়াম ও আদিল খান দু’জনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। কেন প্রথম এগারোয় দেখা যাচ্ছে না?
এগারো জনের বেশি তো আর মাঠে নামতে পারব না। প্রথম এগারো আমি আমার পছন্দ অনুযায়ীই বাছি।
আপনার কি মনে হয়, আপনার দলের ছেলেরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছে না?
ছেলেরা তাদের সেরাটাই দিচ্ছে। কিন্তু ওদের পারফরম্যান্স এ রকমই।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আপনার কী মত?
তিন পয়েন্ট জেতাটা আমাদের কাছে খুবই কঠিন কাজ। আমাদের আরও উন্নতি দরকার। দলের ফুটবলাররা তাদের সেরাটাই দিচ্ছে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। আমাদের দলের মান এ রকমই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।