মাত্র মাস দুয়েক আগেই যিনি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে, সেখানেই মঙ্গলবার হয়ে গেল তাঁর স্মরণসভা। সেই স্মরণসভায় সুভাষে আচ্ছন্ন ছিলেন সকলে। আর সেই স্মরণসভায় উপস্থিত থেকে বিধায়ক দেবাশিস কুমার জানিয়ে দিলেন, সুভাষকে ঘিরে তাঁদের একাধিক ভাবনার কথা। সেই সঙ্গে সুভাষ ভৌমিককে মরণোত্তর দ্রোণাচার্য দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানাল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
দ্রোণাচার্য না পাওয়ার আক্ষেপটা শেষ দিন পর্যন্ত থেকেই গিয়েছিল প্রয়াত কিংবদন্তির। সুভাষ ভৌমিককে মরণোত্তর দ্রোণাচার্য দেওয়ার জন্যই এ বার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানোর কথা ঘোষণা করা হয় ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে।
সুভাষ ভৌমিকের নামে একটি পার্ক করা হবে। নিউ আলিপুর বা কালীঘাটের কোনও উদ্যানকে প্রয়াত ফুটবলার এবং বিশিষ্ট কোচের নামে নামাঙ্কিত করা হবে। উদ্যোগ নেবে কলকাতা পুরসভা। এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এ ছাড়াও কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে আরও বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাংলার ফুটবলে অত্যাধুনিকতা নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। স্পোর্টস মেডিসিনে গুরুত্ব দেওয়া শিখিয়েছিলেন তিনিই। তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সুভাষ ভৌমিকের নামে হবে স্পোর্টস ক্লিনিকও।
এই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এ ছাড়াও ছিলেন ছিল প্রাক্তন ফুটবলারদের ভিড়। তালিকায় ছিলেন শ্যাম থাপা, মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, সমরেশ চৌধুরী, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, আলোক মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়, দেবজিৎ ঘোষ, মেহতাব হোসেন, রহিম নবিরা। গুরুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সুদূর কেরল থেকে এসেছিলেন আইএম বিজয়নও। ছিলেন ফেডারেশনের সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত এবং আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। স্মরণ সভায় হাজির ছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এ ছাড়াও ছিলেন সুভাষ ভৌমিকের স্ত্রী শুভ্রা ভৌমিক এবং পুত্র অর্জুন ভৌমিক। পল্টু দাস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রয়াত কিংবদন্তির পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।