মাত্র বছর খানেক আগেই উয়েফা ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ইতালি। এক বছরের বদলেই একই রাতে পর্যদুস্ত হতে হল দুই ইউরো ফাইনালিস্টকে। ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে পরাজিত হল ইংল্যান্ড। আর জার্মানি ৫-২ গোলে পর্যদুস্ত করল ইতালিকে।
প্রথমার্ধে শুরুর দিকেই রোল্যান্ড সালাইয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। সেই লিড বজায় রাখার জন্যই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল হাঙ্গেরি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ইংল্যান্ড রক্ষণ সম্পূর্ণরূপে পর্যদুস্ত হয়। ৭০ মিনিটে সালাইয়ের গোলেই হাঙ্গেরির লিড দ্বিগুণ হয়। জল্ট ন্যাগি তার ১০ মিনিট পরে বক্সের একেবারে কোণ থেকে জোরালো শটে স্কোর ৩-০ করেন। ঠিক তার দুই মিনিট পরেই ইংল্যান্ডের সমস্যা বাড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ৮৯ মিনিটে ড্যানিয়েল জাগডাগ হাঙ্গেরির হয়ে চতুর্থ গোলটি করে ইংল্যান্ডের লজ্জা বাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন:- ৪ ম্যাচ পরেও জয়হীন ফ্রান্স, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাল ক্রোয়েশিয়া
১৯২৮ সালের পর থেকে এটিই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের সবথেকে বড় পরাজয়। দীর্ঘ মরশুমের পর এই ম্যাচে হ্যারি কেনদের বেশ ক্লান্ত দেখায়। আক্রমণের দিক থেকে তারা কার্যত কোনও ভাল সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। অপরদিকে, ইতালি ইউরো জিতলেও, বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। হালে খুব একটা ভাল ফর্মেও নেই তারা। তবে জার্মানিও তাদের শেষ চার ম্যাচের চারটিই ড্র করেছিল। তাই লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার প্রত্যাশা ছিলই। ইতালি শুরুটাও ভাল করে।
আরও পড়ুন:- অজিরা পারলেও, পড়শি কিউয়িরা ব্যর্থ হল, শেষ দল হিসাবে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করল কোস্টারিকা
ইতালির হয়ে রাসপাদোরি শুরুতেই গোলের এক দারুণ সুযোগ পান বটে। তবে মুহূর্তের মধ্যেই টিমো ওয়ার্নারের পাস থেকে ১০ মিনিটে দারুণ এক গোল করেন জশুয়া কিমিক। প্রথমার্ধের শেষে কিকে পেনাল্টি থেকে জার্মানির লিড দ্বিগুণ করেন ইলকায় গুন্দোয়ান। ৫১ মিনিটে থমাস মুলার তৃতীয় গোলটি করেন। খারাপ ফর্মে থাকা টিমো ওয়ার্নার এরপর চার ম্যাচ বাদে দুই মিনিটে দুই গোল করেন। ৫-০ পিছিয়ে পড়ার পর আজুরিদের হয়ে নটো ও বাস্তোনি দুই গোল করেন। ম্যাচ শেষ হয় ৫-২ স্কোরলাইনে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।