রবিবারই কাতারে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের টিকিট পাকা করার সুযোগ ছিল পর্তুগাল, স্পেনের মতো দলের কাছে। তবে একাধিক ম্যাচে শেষের দিকে গোলের দরুণ কারুর মন ভাঙল, তো কেউ রচনা করলেন ইতিহাস। বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ারের একাধিক রোমহর্ষক ম্যাচের সাক্ষী থাকল ফুটবলবিশ্ব।
সরাসরি বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন করতে কেবল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করাই যথেষ্ট ছিল। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটেই রেনাটো স্যাঞ্চেজ যখন গোল করেন, তখন তো কাতারের পথে এক পা বাড়িয়েও রেখেছিল পর্তুগাল। তবে ৩৩ মিনিটে ডুসান ট্যাডিচের গোল সার্বিয়াকে প্রতিযোগিতায় বজায় রাখে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ সকলকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় গোল করে সার্বিয়াকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সরাসরি কাতারের টিকিট এনে দেন।
তবে পর্তুগাল না পারলেও স্পিন কিন্তু প্রায় একই পরিস্থিতিতে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। সুইডেনের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে পরাজয় মিললেও সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা আলভারো মোরাতা ৮৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। এর ফলে বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল সদ্য সুইডেন দলে কামব্যাক করা ৪০ বছর বয়সী তারকা জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের। জর্জিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে বিস্ময়কর পরাজয়ই কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের জন্য।
তবে পরাজিত হলেও বিশ্বকাপে এখনও কোয়ালিফাই করার সুযোগ রয়েছে পর্তুগালের কাছে। সেজন্য তাদের কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে। পর্তুগাল, স্পেনর ঠিক বিপরীত পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলে তবেই সরাসরি বিশ্বকাপে যেত লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। বৃষ্টিস্নাস্ত পরিবেশে আত্মঘাতী গোলে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে গতবারের ফাইনাসিস্ট ফের কবার বিশ্বকাপের টিকিট পাকা করে। ফেদর কুদরাইশভ কার্যত চাপহীন অবস্থায় বল দখলে আনতে না পেরে তা নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন।