ভারতীয় মহিলা হকি দলের হয়ে সর্ড মারাইনের অবদান ভোলার মতো নয়। তাঁর কোচিংয়েই রানি রামপালরা এবারের অলিম্পিক্সে প্রখমবার চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। অলিম্পিক্স শেষেই দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন মারাইন। তবে ডাচ কোচের এখনও লাখ খানেক টাকার ওপর বেতন বাবদ পাওনা রয়েছে বলে জানানো হয় সাইয়ের (স্পোটর্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) তরফে।
হকি ইন্ডিয়ার তরফেই তাঁর শেষ ছয়দিনের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি বোর্ডের তরফ থেকে কোচ থাকাকালীন তাঁকে দেওয়া ল্যাপটপটি ফেরত দেননি। PTI-কে সাইয়ের এক সূত্র মারফৎ জানানো হয়, ‘৩১ জুলাই ২০২১ অব্ধি ওনার সমস্ত বেতন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ১ অগস্ট থেকে ৬ অগস্ট অবধি ওনার বেতন, মোট ১৮০০ মার্কিন ডলার (এক লাখ ৩৪ হাজার টাকা) এখনো বকেয়া রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী অফিসিয়াল ল্যাপটপটি পাওয়ার পরেই সেটা মিটিয়ে দেওয়া হবে। হকি ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বলার পরই সাই ওই কয়েকদিনের বেতন বাকি রেখেছে। ওরাই এনওসি দিতে বারণ করে কারণ উনি এখনও ল্যাপটপটি ফেরত দেননি।’
তবে ল্যাপটপটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারাইনকে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। মারাইন নিজেও সে কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান এই সপ্তাহের মধ্যেই ল্যাপটপটি ভারতে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, ‘সাইয়ের তরফে আমার বেশ মোটা টাকা পাওনা রয়েছে। তবে আমি ওদের কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে রয়েছি। ল্যাপটপটি পেলেই ওরা বকেয়া মিটিয়ে দেবে বলে আমায় আশ্বস্ত করেছে। আমি ভারতের উদ্দেশ্য়ে সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি এবং এই সপ্তাহেই তা পৌঁছে যাবে।’ অলিম্পিক্সের সময় তাঁর ল্যাপটপটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল বলেই তিনি তা সারাতে সঙ্গে করে দেশে নিয়ে এসেছিলেন বলে জানান প্রাক্তন ভারতীয় কোচ।