IND vs WI: এত বছর ধরে তোমার পুজো পাঠ সার্থক- অভিষেক করেই মাকে ফোন মুকেশের

IND vs WI: বিসিসিআই সম্প্রতি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মুকেশ কুমারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে, যাতে বাংলার বোলারের আবেগ ধরা পড়েছে। আসলে অশ্বিনের হাত থেকে টেস্টের ডেবিউ ক্যাপ পাওয়ার পর নিজের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুকেশ কুমার। সেই সময়ে ভারতীয় বোলারের আবেগটা সকলের সামনে ফুঁটে উঠেছে।

ভিডিয়োতে ভেসে উঠল মুকেশ কুমারের আবেগ (ছবি-বিসিসিআই)

Mukesh Kumar Debut: প্রত্যেক ক্রিকেটারের প্রথম এবং শেষ স্বপ্ন হয় তাঁর নিজের দেশের হয়ে খেলা। নিজের দেশের জার্সি গায়ে বাইশ গজে নেমে ক্রিকেট খেলতে চায় প্রত্যেক ক্রীড়াবিদ। আর যখন তাঁর সেই স্বপ্নের দিনটা একেবারেই কাছে চলে আসে এবং যেই দিন সে দেশের জার্সি গায়ে অভিষেক করে তখন তো কথাই আলদা। সেই সময়ের আবেগ, ভালোলাগাটা অন্যকে বলে বোঝানো খুব কঠিন হয়ে যায়। যে দিন কোনও ক্রীড়বিদের এই স্বপ্নটি সত্যি হয়, সেদিন এটি তাঁর এবং তার পুরো পরিবারের জন্য একটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত হয়ে ওঠে। এই সময়ে, খেলোয়াড় তাঁর কঠোর পরিশ্রমের কথা মনে করেন, তাঁর পুরো যাত্রায় পরিবার যে সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করেছে তা স্মৃতিচারণ করে।

এমন পরিস্থিতিতে, কোনও ক্রিকেটার যখন ভারতীয় টেস্টের ডেবিউ ক্যাপ পান, তখন তো কথাই আলাদা। সেই সময়ে তিনি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই সম্প্রতি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মুকেশ কুমারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে, যাতে বাংলার বোলারের আবেগ ধরা পড়েছে। আসলে অশ্বিনের হাত থেকে টেস্টের ডেবিউ ক্যাপ পাওয়ার পর নিজের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মুকেশ কুমার। সেই সময়ে ভারতীয় বোলারের আবেগটা সকলের সামনে ফুঁটে উঠেছে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে চলতি দ্বিতীয় টেস্টে চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। তাঁর জায়গায় দলে জায়গা পেয়েছেন মুকেশ কুমার। অভিষেকের সুযোগ হাতের সামনে পেয়ে যান মুকেশ কুমার। এই সময়ে তাঁর হাতে টেস্টের অভিষেক ক্যাপ তুলে দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মুকেশ কুমার ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ৩০৮তম খেলোয়াড় হয়েছিলেন। তাঁর হাতে ভারতীয় তারকা স্পিনার আর অশ্বিন অভিষেক ক্যাপ তুলে দিয়েছিলেন। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর দলটি যখন হোটেলে পৌঁছে ছিল মুকেশ কুমার নিজের মায়ের সঙ্গে তাঁর আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর এই যাত্রায় মুকেশের মা তাঁকে অনেক সমর্থন করেছিলেন।

মুকেশের প্রয়াত বাবা কাশী নাথ সিং চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে একজন সরকারি কর্মকর্তা হোক এবং সবসময় তাঁকে শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতেন। মুকেশ সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর মা খেলাধুলার প্রতি তাঁর ভালবাসা বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাঁর ছেলেকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। এদিন মাঠ থেকে হোটেলে ফিরেই মাকে ফোন করেছিলেন মুকেশ। বিসিসিআই-এর পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মুকেশ তাঁর মাকে অভিষেক হওয়ার খুশির খবরটা দিচ্ছেন এবং তাঁর মায়ের থেকে আশীর্বাদ নিচ্ছেন।

বিসিসিআই-এর পোস্ট করা ভিডিয়োতে মুকেশ কুমারকে বলতে দেখা যায়, ‘আমার মা আমাকে সব সময় খুশি থাকতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, এগিয়ে যান। তাঁর আশীর্বাদ সবসময় আমার সঙ্গে আছে। মা চান আমি উন্নতি করতে থাকি এবং আরও ভালো করি। এই মুহূর্তটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি কতটা খুশি তা বলতে পারব না। সকালে ডেবিউ করলাম আর সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে কথা বলছি। এই সময়ে কি বলতে হবে সেটা আমি জানি না।’