আইসিসি ইভেন্টে ধারাবাহিক, তবে ফিনিশিং লাইনের কাছে এসে থেমে যাওয়ার বদভ্যাসটার জন্যই নিউজিল্যান্ডকে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ফেবারিট বাছতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। আপাতত বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে কেন উইলিয়ামসনদের শক্তি ও দুর্বলতায় চোখ রাখা যাক।
নিউজিল্যান্ডের শক্তি:-
১. অস্ট্রেলিয়ার পিচে তুলনায় বাউন্স বেশি হলেও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশেষ অসুবিধা হবে না নিউজিল্যান্ডের।
২. বড় মঞ্চের চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে কেন উইলিয়ামসনদেরও। গত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও ফাইনালে ওঠে তারা। তাছাড়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জেতেন কিউয়িরা।
৩. ডেভন কনওয়ে, মাইকেল ব্রেসওয়েলরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। অভিজ্ঞ মার্টিন গাপ্তিল নির্ভরযোগ্য। তাছাড়া ফিন অ্যালেন, গ্লেন ফিলিপসের মতো তরুণরা টি-২০ ফর্ম্যাটে আলাদা করে পিরিচিতি তৈরি করে নিয়েছেন।
৪. নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং আক্রমণ বরাবর শক্তিশালী। বোল্ট-সাউদি-ফার্গুসনরা টি-২০ ক্রিকেটে কতটা কার্যকরী, সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।
৫. টিম গেমই হল নিউজিল্যান্ড দলের মূল মন্ত্র। তারকা প্রথায় কোনও দিনই বিশ্বাসী ছিল না নিউজিল্যান্ড। তাদের যাবতীয় সাফল্যের মূলে রয়েছে দলগত প্রচেষ্টা।
নিউজিল্যান্ডের দুর্বলতা:-
১. ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পরে একেবারেই ছন্দে নেই। তাঁর ধীর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
২. স্যান্টনার-সোধিরা কার্যকরী স্পিনার। তবে সেই অর্থে প্রভাবশালী নন। মাঝের ওভারে রান আটকানোর মতো স্লো বোলার নেই নিউজিল্যান্ড দলে। অল-রাউন্ডার নিশাম নিয়মিত কয়েক ওভার হাত ঘোরান বটে, তবে রান খরচ করেন যথেচ্ছ।
৩. অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বড় মাঠে সমস্যায় পড়তে পারে নিউজিল্যান্ড। তাছাড়া দল হিসেবে তারা খুব ভালো ফর্মে রয়েছে, এমনটাও বলা যাবে না। প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাজেভাবে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তার আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের খেতাব হাতছাড়া করেন উইলিয়ামসনরা।
৪. টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জিতলেও চোকার্স তকমা সেঁটে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের নামে। আইসিসি ইভেন্টে ধারাবাহিক, তবে শেষ হার্ডলে আটকে যাওয়ার বদভ্যাস রয়েছে কিউয়িদের।