দুই বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতেই ইয়ন মর্গ্যানদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। সেই ইংল্যান্ডের মাটিতেই হার না মানা মনোভাব ও দুর্দান্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব নিজেদের নামে করেছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড।
এমন এক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভেসে যাওয়ার কথা যে কোন দলের অধিনায়কেরই। কিন্তু তিনি যে কেন উইলিয়ামসন, বিশ্ব ক্রিকেটের ‘গুডবয়’। অল্পের জন্য বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার পরও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি, টেস্ট ক্রিকেটের শিখরে পৌঁছেও একইরকম বিনয়ী, নমনীয় মনোভাব বজায় রাখলেন কেন। এটিই কিউয়ি ক্রিকেট ইতিহাসে সব বড় কৃতিত্ব কিনা প্রশ্নের জবাবে খেতাব জয়ের জন্য দলের সকলের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বেশ চতুরভাবে উত্তরটি এড়িয়ে গেলেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে কিউয়ি অধিনায়ক জানান, ‘আমি এখনও অবধি খুল অল্প সময়ের জন্যই নিউজিল্যান্ড দলের অংশ থেকেছি। আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্ব খেতাব জেতাটা আমার কাছে এক বিশেষ মুহূর্ত। আমরা জানি আমাদের দলে কোন তারকা নেই এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের আলাদা আলাদা দক্ষতার ওপরই আমরা নির্ভর করি। বিগত দুই বছরে ২২ জন খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা সকলেই বিভিন্ন সময়ে দলের হয়ে নিজেদের অবদান রেখেছেন। এই মুহূর্তটা সারাজীবন আমার স্মরণে থাকবে।’
ম্যাচের বেশিরভাগ সময়েই নিউজিল্যান্ডে ভারতের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনে সক্ষম হলেও, এমনটা মানতে নারাজ কেন। বরং ম্যাচে সবসময়ই দুই দল সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে বলে তাঁর মত। পাশাপাশি সবকিছুর মধ্যেও পিচের প্রশংসা করতেও ভোলেননি কিউয়ি অধিনায়ক।
‘একটি টেস্ট ম্যাচের ফাইনালে সবসময় পরিস্থিতি সহায়ক হয় না এবং সেটাকে আমরা সম্মানও করি। ম্যাচের ছয়দিন ধরেই কোন দল একে অপরের থেকে খুব বেশি এগিয়ে ছিল না, বরং প্রতিদিনই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। অবশেষে ম্যাচের ষষ্ঠদিনে এসে ফলাফল নির্ণয় সম্ভব হয়। আমার মতে পিচটাও খুবই স্পোটিং ছিল, যার ফলেই মাত্র চারদিন খেলা হলেও সবসময়ই ম্যাচে ফলাফল বের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’ দাবি উইলিয়ামসনের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।