অস্ট্রেলিয়া সফরে যে আগ্রাসী মনোভাবের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন, সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সেই মনোভাবই কাল হয়ে দাঁড়াল ঋষভ পন্তের। দল মুশকিল পরিস্থিতিতে থাকলেও বারংবার ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা এবং উইকেট হারানোর জন্য সমালোচনার তীর পন্তের দিকে।
ফাইনালের শেষদিনে ভারত পরপর বিরাট কোহলি এবং চেতেশ্বর পূজারার উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন পন্ত। স্বভাবোচিত আগ্রাসী ভঙ্গিমায় কিউয়ি বোলারদের বারংবার আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটের মাঝখান নয়, বরং কোণা-খোঁচাই লাগছিল পন্তের। ইনিংসের শুরুতেই টিম সাউদি তাঁর ক্যাচও ফেলে দেন। অবেশেষে ভাগ্য তাঁর সাথ ছেড়ে দেয়। ৪১ রানে ট্রেন্ট বোল্টকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
পন্তের আউট হওয়ার আগেই ভারত ছয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের এহেন শট মানতে পারছেন না সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থক অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর শট বাছাইকে কেন্দ্র করে। তবে এমন অবস্থায় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পাশেই পাচ্ছেন তরুণ ক্রিকেটার।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘সুযোগ পেলেই পন্ত আক্রমনাত্মক ভঙ্গিমায় ব্যাট করার চেষ্টা করবে। কখন আক্রমণ করতে হবে এবং কখন করতে হবে না, সেই সিদ্ধান্তটা ও ভালই নিতে পারে। যখন সেটা পরিকল্পনা মতো যায় না, তখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। খেলায় এমনটা হতেই পারে। তবে আমরা চাই না ও নিজের ইতিবাচক মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাক। ওকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই আমরা। শট বাছাইয়ে ওর কোন ভুল হয়েছে কিনা সেটা পন্ত নিজেই বিচার করবেন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।