বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে সিরিজে চোট-আঘাতে জর্জরিত ভারতীয় দলের সার্বিক পারফর্ম্যান্স নিতান্ত খারাপ ছিল না। তা সত্ত্বেও ৩ ম্যাচের একদিনের সিরিজে ভারত ১-২ ব্যবধানে হার মানে। এবার টেস্ট সিরিজের শুরুতেই দাপট দেখাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টর শুরুটা ভালো না হলেও প্রথম দিনের শেষে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় দিনে খেলার রাশ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেন লোকেশ রাহুলরা। তৃতীয় দিনে শাকিব আল হাসানদের তাদের ঘরের মাঠেই আরও কোণঠাসা করে ভারত।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ
জয়ের জন্য ৫১৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান সংগ্রহ করেছে। ৪৪ বলে ২২ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩টি চার মেরেছেন। ২৮ বলে ২০ রান করেছেন জাকির হাসান। তিনিও ৩টি চার মেরেছেন। জয়ের জন্য শেষ ২ দিনে বাংলাদেশের দরকার আরও ৪৭১ রান। ভারতের দরকার ১০টি উইকেট।
ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের
৬ ওভার শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ২০ রান। ১৯ বলে ১২ রান করেছেন নাজমুল। তিনি ২টি চার মেরেছেন। ১৭ বলে ৮ রান করেছেন জাকির হাসান।
রান তাড়া শুরু বাংলাদেশের
জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলিং শুরু করেন সিরাজ। প্রথম ওভারে ২ রান ওঠে।
বাংলাদেশের সামনে বিরাট টার্গেট ঝুলিয়ে দিল ভারত
৬১.৩ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৮ রান তুলে ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। সুতরাংস প্রথম ইনিংসের ২৫৪ রানের লিড মিলিয়ে ভারতের হাতে লিড চলে আসে ৫১২ রানের। সুতরাং চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের দরকার ৫১৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পূজারা ১০২ ও কোহলি ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
আগ্রাসী শতরান পূজারার
১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩০ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন চেতেশ্বর পূজারা। এটি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ১৯তম শতরান। দ্রুততমও বটে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন পূজারা। সুতরাং, প্রায় চার বছর পরে ফের টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন তিনি। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে আউট হন চেতেশ্বর।
সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পূজারা
৫৯ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ২৪৫ রান। পূজারা ৯১ ও কোহলি ১৭ রানে ব্যাট করছেন। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৪৯৯ রানের।
২০০ টপকাল ভারত
৫৩তম ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে দলগত ২০০ রানের গণ্ডি টপকায় ভারত। ৫৪ ওভার শেষে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ২০৭ রান। পূজারা ৬৫ ও কোহলি ৫ রানে ব্যাট করছেন।
পূজারার হাফ-সেঞ্চুরি
৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন চেতেশ্বর পূজারা। ৫২ ওভার শেষে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৮ রান তুলেছে। পূজারা ৫৮ ও কোহলি ৩ রানে ব্যাট করছেন। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৪৫২ রানের।
শুভমন গিল আউট
৪৯.৩ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে পরিবর্ত ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়েন শুভমন গিল। ১৫২ বলে ১১০ রান করেন তিনি। মারেন ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা। ভারত ১৮৩ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি।
সেঞ্চুরি গিলের
১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৭ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন শুভমন গিল। এটিই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম শতরান। ৪৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১৭১ রান। গিল ১০৩ ও পূজারা ৪১ রানে ব্যাট করছেন।
১৫০ টপকাল ভারত
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২তম ওভারে দলগত ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। ৪৫ ওভার শেষে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ১৫৯ রান। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৪১৩ রানের। গিল ৯২ ও পূজারা ৪০ রানে ব্যাট করছেন।
চায়ের বিরতি
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৫৪ রানে এগিয়ে থাকা ভারত তৃতীয় দিনের চায়ের বিরতিতে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান তুলেছে। ১২০ বলে ৮০ রান করেছেন শুভমন গিল। তিনি ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। চেতেশ্বর পূজারা ৫৫ বলে ৩৩ রান করেছেন। মেরেছেন ৪টি চার। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৩৯৪ রানের।
ভাগ্য সঙ্গ দিল গিলের
৩১.১ ওভারে ইয়াসির আলির বলে শুভমন গিলের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ-র জোরালো আবেদন জানায় বাংলাদেশ। তবে আম্পায়ার আউট দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নেন। তবে ডিআরএস কাজ না করায় ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বজায় থাকে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ শিবিরকে অখুশি দেখায়।
১০০ টপকাল ভারত
২৯তম ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ১০৩ রান। গিল ৬৩ ও পূজারা ১৩ রানে ব্য়াট করছেন। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৩৫৭ রানের।
হাফ-সেঞ্চুরি গিলের
৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন গিল। ২৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৮৩ রান। গিল ৫৫ ও পূজারা ২ রানে ব্যাট করছেন।
লোকেশ রাহুল আউট
২২.৪ ওভারে খালেদ আহমেদের বলে তাইজুল ইসলামের হাতেল ধরা পড়েন লোকেশ রাহুল। ৬২ বলে ২৩ রান করেন লোকেশ। মারেন ৩টি চার। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন চেতেশ্বর পূজারা। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ৩২৪ রানের। শুভমন গিল ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
৫০ টপকাল ভারত
১৯তম ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় টিম ইন্ডিয়া। ১৯ ওভার শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৬০ রান। গিল ৩৫ ও রাহুল ২২ রানে ব্যাট করছেন।
ভারতের লিড ছাড়াল ৩০০
১৮ ওভার শেষে ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪৮ রান সংগ্রহ করেছে। সুতরাং প্রথম ইনিংসের ২৫৪ রান মিলিয়ে ভারতের লিড ছাড়িয়ে যায় ৩০০ (৩০২)। শুভমন গিল ২৬ রানে ব্যাট করছেন। তিনি ২টি চার মেরেছেন। লোকেশ রাহুল ২১ রান করেছেন। তিনি ৩টি চার মেরেছেন।
লাঞ্চের বিরতি
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৫৪ রানে এগিয়ে থাকা ভারত তৃতীয় দিনের লাঞ্চে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তুলেছে। তারা ১৫ ওভার ব্যাট করেছে। লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ২০ রান করেছেন। তিনি ৩টি চার মেরেছেন। ৪৭ বলে ১৫ রান করেছেন শুভমন গিল। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ২৯০ রানের।
জমাট প্রতিরোধ গিলদের
১২ ওভার শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১২৮ রান। শুভমন গিল ১৫ ও লোকেশ রাহুল ১২ রানে ব্যাট করছেন। ভারতের হাতে লিড রয়েছে ২৮২ রানের।
সতর্ক শুরু ভারতের
৭ ওভার শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১৫ রান। ২২ বলে ৯ রান করেছেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১টি চার মেরেছেন। ১৪ বলে ৬ রান করেছেন শুভমন গিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু ভারতের
দ্বিতীয় ইনিংসে যথারীতি শুভমন গিলকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল। বোলিং শুরু করেন কালেদ আহমেদ। শেষ বলে চার মেরে খাতা খোলেন রাহুল।
প্রথম ইনিংসে অল-আউট বাংলাদেশ
৫৫.৫ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে মেহেদি হাসান মিরাজকে স্টাম্প-আউট করেন ঋষভ পন্ত। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮২ বলে ২৫ রান করেন মেহেদি। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শাকিবদের ফলো-অনের লজ্জা থেকে মুক্তি দেয় টিম ইন্ডিয়া। বদলে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে ৪০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন।
১৫০ ছুঁল বাংলাদেশ
৫৫তম ওভারে দলগত ১৫০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৫০ রান। মেহেদি ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
এবাদত আউট, ৫ উইকেট কুলদীপের
৪৮.৫ ওভারে কুলদীপ যাদবের বলে ঋষভ পন্তের দস্তানায় ধরা পড়েন এবাদত হোসেন। ৩৭ বলে ১৭ রান করেন তিনি। মারেন ২টি চার ও ১টি ছক্কা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ৯ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন খালেদ আহমেদ। কুলদীপ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বৃত্ত পূর্ণ করেন। মেহেদি ব্যাট করছেন ২৩ রানে।
তৃতীয় দিনের খেলা শুরু
তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামেন গত দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদি ও এবাদত। বোলিং শুরু করেন কুলদীপ। দিনের প্রথম ওভারে কোনও রান ওঠেনি। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর চতুর্থ বলে চার মারেন এবাদত। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ১৩৭ রান।
ফলো-অন এড়াতে কত রান দরকার বাংলাদেশের?
২০০ রানের লিড থাকলেই বাংলাদেশকে ফলো-অন করাতে পারবে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। সুতরাং ফলো-অন এড়াতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে তুলতে হবে ২০৫ রান। অর্থাৎ ১৩৩ রানে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে এখনও ৭২ রান সংগ্রহ করতে হবে।
দ্বিতীয় দিনের স্কোর
দ্বিতীয় দিনে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানে অল-আউট হয়। শ্রেয়স আইয়ার ৮৬, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৫৮ ও কুলদীপ যাদব ৪০ রান করেন। ৪টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশে দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে। মেহেদি ১৬ ও এবাদত ১৩ রানে নট-আউট থাকেন। কুলদীপ ৪টি ও সিরাজ ৩টি উইকেট নেন।
প্রথম দিনের স্কোর
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারত একসময় ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে শ্রেয়স আইয়ার ও চেতেশ্বর পূজারার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। পূজারা ৯০ রানে আউট হয়ে বসেন। প্রথম দিনের শেষে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তোলে। দিনের শেষ বলে আউট হন অক্ষর প্যাটেল। শ্রেয়স আইয়ার নট-আউট থাকেন ব্যক্তিগত ৮২ রানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।