শুভব্রত মুখার্জি
পুণের বুকে রবিবার যখন ম্যাচটা শুরু হল, তখন দু'দলের যে কেউ সিরিজটা জিততে পারত। সিরিজের ফল ছিল ১-১। যে দল জিতবে সেই সিরিজ জিতবে। শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ড জিতলে ভারত সফর থেকে তাদের একেবারে খালি হাতে ফিরতে হত না। তবে তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে একদিনের সিরিজও নিজেদের দখলে রাখল ভারত। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে ২-১ ফলে সিরিজ নিজেদের দখল করল হার্দিক পান্ডিয়ারা।
রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান জুটি ব্যাট হাতে বড় রান তোলেন। ধাওয়ান করেন ৬৭ রান। রোহিত, ধাওয়ান, বিরাট কোহলিরা পরপর সাজঘরে ফিরে গেলে ভারতের স্কোরিং রেট বেশ কমে যায়। এই সময় ভারত কে এল রাহুলের উইকেট হারানোর পরে জুটি বাঁধেন হার্দিক এবং ঋষভ পন্ত। তাঁদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে একেবারে দিশেহারা দেখাচ্ছিল ইংল্যান্ড বোলিংকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ভারত হয়তো ৩৫০ রানের উপর রান তুলবে। কিন্তু ঋষভ ৭৮ রান এবং হার্দিক ৬৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ৩২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় ভারত। মন করা হচ্ছিল, ভারত হয়তো ২০-৩০ রান কম করল। তবে ইংল্যান্ড রান তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায়। ডেভিড মালান ৫০ করার পরেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এই সময়টা মনে হয়েছিল, ভারত হয়তো খুব সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে।
তবে ব্যাট হাতে চেন্নাই সুপার কিংসের অলরাউন্ডার স্যাম কারানের আলাদাই চিন্তাভাবনা ছিল। কারান একাই প্রায় ইংল্যান্ডকে ম্যাচটা জিতিয়ে ফেলেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত তাঁকে ৯৫ রানেই অপরাজিত হয়ে থেমে থাকতে হয়। ইংল্যান্ড নির্ধারিত ওভারে ৩২২ রানেই থেমে যায়। ভারতের ৩২৯ রান থেকে মাত্র সাতরান দূরেই থামতে হয় জোস বাটলারদের। তবে ম্যাচ হারলেও দু'দলের ২২ জন ক্রিকেটার ব্যাট হাতে সংঘবদ্ধভাবে একটি ম্যাচে সর্বাধিক রান গড়ার রেকর্ড গড়ে ফেলল দু'দল।
∆ ২০২১ সাল ভারত বনাম ইংল্যান্ড, পুণে, ৬৫৯ রান।
∆ ২০১৭, গ্রেটার নয়ডা, আয়ারল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান, মোট ৬৪২ রান।
∆ ২০১৯, টনটন, অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান,৫৭৩ রান।
∆ ২০০১, বেঙ্গালুরু, ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৫৭০ রান।
∆ ২০০৪, মেলবোর্ন, ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৫৫৮ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।