সেঞ্চুরিয়ানে তৃতীয় দিনের শুরুতে ভারতীয় দল তিন উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রানে নিজেদের ইনিংস শুরু করে। আশা ছিল সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল এবং সেট হয়ে যাওয়া অজিঙ্কা রাহানে দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সে গুড়ে বালি। লোকেশ রাহুল দিনের শুরুতে আউট হওয়ার পড়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ভারতীয় ইনিংস।
একে একে রাহানে, ঋষভ পন্ত সবাই সাজঘরে ফিরে যান। মাত্র ৫৫ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। শেষ উইকেটে মহম্মদ সিরাজ এবং জসপ্রীত বুমরাহ ১৯ রান যোগ না করলে অবস্থা আরও করুণ হতে পারত। প্রোটিয়া ফাস্ট বোলিংযুগল কাগিসো রাবাদা এবং লুঙ্গি এনগিদির আগুনে বোলিংয়ের সামনে কার্যত আত্মসমর্পন করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এনগিদি ৭১ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট নেন, তিন উইকেট জোটে রাবাদার ভাগ্যে।
প্রথম দিনে যেখানে গোটা ৯০ ওভারে মাত্র তিন উইকেট পড়ে, সেখানে কী এমন বদল ঘটল যে প্রায় এক ঘন্টাতেই সাফ হয়ে গেল বাকি সাত ব্যাটার? বদলটা আর কিছু না লাইনের। প্রথম দিনে যেখানে পঞ্চম বা ষষ্ঠ স্টাম্পে প্রোটিয়া বোলাররা বল করছিলেন, সেখানে তৃতীয় দিনের সকালে বলের লাইনের ক্ষেত্রে গড়ে ১৭ সেন্টিমিটারের বদল ঘটিয়ে মিডল-অফ স্টাম্পে বল রাখেন এনগিদি এবং রাবাদা। এতেই কুপোকাত ভারতীয় ব্যাটাররা। এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয় লাইন বা লেংথের সামান্য বদল কোনো ম্যাচে কতটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।