উপর্যুপরি তৃতীয় টি-২০ সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। ঘরের মাঠে রোহিতরা শ্রীলঙ্কাকে চুনকাম করেন কোহলি, পন্ত, সূর্যকুমার, দীপক চাহারদের ছাড়াই। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির নিরিখে এই সিরিজ থেকে ভারতের প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ। তবে কিছু ফাঁক-ফোকর থেকেই গেল। দেখে নেওয়া যাক টিম ইন্ডিয়ার যে দু'টি সমস্যা প্রকট হয় শ্রীলঙ্কা সিরিজে।
১. ডেথ ওভারে বিস্তর রান খরচ: সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত ৬২ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিলেও শেষ ৫ ওভারে ৪৭ রান খরচ করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত শেষ ৫ ওভারে খরচ করে ৮০ রান। তৃতীয় ম্যাচে শেষ ৫ ওভারে ভারতীয় বোলাররা খরচ করেন ৬৮ রান। হার্ষাল প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান, মহম্মদ সিরাজরা কেউই ডেথ ওভারে ধারাবাহিকভাবে নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারেননি। সুতরাং, ডেথ ওভারে বুমরাহর যথাযথ জুটি খুঁজে বার করা চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে ভারতের সামনে।
২. টপ অর্ডারে রোহিতের ধারাবাহিকতার অভাব: রোহিত শর্মা সচরাচর একটানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন না। ভারত সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ওপেনিং জুটি বদলানোয় রোহিতকে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে হয়েছে আলাদা আলাদা সঙ্গীকে নিয়ে। তবে শেষ ২টি সিরিজে ১টি করে ম্যাচে রান পেয়েছেন হিটম্যান। ২টি করে ম্যাচে বলার মতো রান পাননি তিনি। শেষ ৬টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ইনিংসে রোহিতের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ৪০, ১৯, ৭, ৪৪, ১ ও ৫। সুতরাং, হিটম্যানের ব্যাটে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছে।
যদিও ঘরের মাঠে তিনটি টি-২০ সিরিজের পারফর্ম্যান্সের নিরিখে বিশ্বকাপের সঠিক দল বেছে নেওয়া ও টিম ম্যানেজমেন্টের যথাযথ কম্বিনেশন নির্ধারণ কঠিন হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। যাঁরা স্কোয়াডের বাইরে, তাঁরাও ভালো পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন। যাঁরা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন, প্রত্যেকেই নিজের ছাপ রেখেছেন। এটা যদিও নির্বাচক তথা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে ইতিবাচক সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।