এমন দুর্দান্ত ক্যাচ কম-বেশি সব ভারতীয় উইকেটকিপাররাই ধরেছেন। তবে এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতীয়-এ দলের উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেল যে ক্যাচটি ধরেন, সেটা সবার আগে মনে করিয়ে দেয় ঋদ্ধিমান সাহার কথা। ভারতীয় দলের টেস্ট জার্সিতেই হোক বা আইপিএলে, ঋদ্ধিকে সুপারম্যান বলে ডাকা শুরু হয় শূন্য উড়ে এমন অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ ধরতেন বলেই।
গত শুক্রবার আমিরশাহি-এ দলের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে এমার্জিং এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করে ভারত। টস জিতে আমিরশাহিকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক যশ ধুল। প্রথম ইনিংসের সপ্তম ওভারে হার্ষিত রানার বলে আমিরশাহির তিন নম্বর ব্যাটার অংশ ট্যান্ডন উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলের দস্তানায় ধরা পড়েন।
এই উইকেটটির জন্য বোলার হর্ষিতের থেকেও বেশি কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন উইকেটকিপার জুরেল। ৬.৪ ওভারে হর্ষিতের লেগ-স্টাম্পের উপর রাখা ডেলিভারিতে ফ্লিক শট খেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার অংশ। বল ব্যাটের হালকা ছোঁয়ায় ফাইন-লেগ বাউন্ডিরর দিকে উড়ে যাচ্ছিল। উইকেটকিপার জুরেল যথা সময়ে শরীর ছুঁড়ে শূন্যে ভেসে থাকা অবস্থায় বল দস্তানাবন্দি করেন। ফলে ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ট্যান্ডনকে।
ম্যাচে কার্যত একতরফাভাবে জয় তুলে নেয় ভারত। বল হাতে হর্ষিত রানা ও ব্যাট হাতে ক্যাপ্টেন যশ ধুল দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে আমিরশাহি-এ দল ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে। অশ্বন্ত ভালথাপা দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৬ রান করে আউট হন। যদিও তিনি টেস্টের গতিতে রান সংগ্রহ করেন। ১০৭ বলের ঠুকঠুকে ইনিংসে একটিও চার-ছয় মারতে পারেননি তিনি।
ভারতের হয়ে ৯ ওভার বল করে ৪১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন হর্ষিত রানা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নীতীশ কুমার রেড্ডি ও মানব সুতার। ১টি উইকেট দখল করেন অভিষেক শর্মা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৬.৩ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৪১ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করে ভারতীয়-এ দল। যশ ধুল ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ১০৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।