আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি কোথায় হবে, সেটা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিসিসিআই-এর কাছে এটা বড় ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে কেভিন পিটারসেন মুশকিল আসান করে দিলেন। তিনি জানিয়েছেন, আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি ইংল্যান্ডে করাই ভাল। তাঁর মতে, সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া খুবই মনোরম থাক। ওই সময়ে ইংল্যান্ডে আইপিএল হলে ভালই হবে।
এই বিষয়ে তাঁর কিছু যুক্তিও রয়েছে। নিজের কলামে পিটারসেন লিখেছেন, ‘দেখতে পাচ্ছি, আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য (সংযুক্ত আরব) আমিরশাহীর কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু, আমার মনে হয় আইপিএল ইংল্যান্ডে হওয়া উচিত। ভারত ও ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের পর সেপ্টেম্বরে সময়ও রয়েছে। আর সেরা ভারতীয় ক্রিকেটাররা ওই সময় ইংল্যান্ডেই থাকবে। ইংল্যান্ডের সেরা ক্রিকেটারদেরও পেতে অসুবিধে হবে না তখন।’
এখানেই শেষ নয়। প্রাক্ত ব্রিটিশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইংল্যান্ডের সময়টা খুব ভাল থাকে। তখন ম্যাঞ্চেস্টার, লিডস, বার্মিংহাম ছাড়াও লন্ডনের দু'টো মাঠকে ব্যবহার করা যাবে। তখন মাঠে দর্শকদের প্রবেশ করানো যেতেও পারে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘এর আগে আইপিএল আরব আমিরশাহীতে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও হয়েছে। এ বার না হয় আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো ইংল্যান্ডেই হোক। এটাই একেবারে সঠিক জায়গা।’
ইংল্যান্ডের মিডলসেক্স, সারে, ওয়ারউইকশায়ার ও ল্যাঙ্কাশায়ারের মতো কাউন্টি দলগুলো এর মধ্যেই আইপিএলের বাকি ৩১ ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তার পরই পিটারসেনের এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ক্রিকেটমহল।
প্রসঙ্গত, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পরও ক্রিকেটারদের করোনা হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে আইপিএল। তবে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি করার বিষয়ে বিসিসিআই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা নিয়ে আলোচনাও চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, শ্রীলঙ্কার পর এ বার সেই আলোচনায় ঢুকে পড়ল ইংল্যান্ডের নামও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।