২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় মুশফিকুর রহিমের। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ ইনিংসটি তাঁর। সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মানুষটি ১৪ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হন কিশোর আলো সাক্ষাৎকার দলের। বলেন ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, পারিবারিক সহযোগিতাসহ ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা। কোন ম্যাচটি কখনও ভুলতে পারবেন না মুশফিকুর? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৭–এ ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচটি। আমার প্রথম বিশ্বকাপ। আমি অনেক উত্তেজিত ছিলাম। অপরাজিত অর্ধশতক করে সেবার অনেক ভালো খেলি। উইনিং শটটাও আমার ছিল। ওই ম্যাচটি কখনো ভুলব না।’
ছোটবেলায় ‘বড় হয়ে’ কী হতে চাইতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘ছোটবেলায় ভাবিনি যে এটা হব বা ওটা হব না। খেলাধুলা করার ইচ্ছা ছিল প্রবল। পড়াশোনা খুব একটা ভালো লাগত না। তবে খেলোয়াড় হব, এ রকম ইচ্ছাও ছিল না। ছোটবেলা থেকে পাড়ায় ক্রিকেট খেলি। তখন শুধু ইচ্ছা ছিল যে খেলাধুলা করব, পাশাপাশি পড়াশোনা করব। তারপর কী হবে, সেটা পরের ব্যাপার। ২০০০ সালে ভর্তি হই বিকেএসপিতে। তখন থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল যে আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলব। আস্তে আস্তে স্বপ্নটা বড় হতে থাকে। তবে এর আগে আসলে শুধু খেলার জন্যই খেলা শুরু করেছিলাম।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: পরপর বলে আউট বেঙ্কটেশ, মনদীপ! উইলির সুইংয়ে বেআব্রু KKR টপ অর্ডার
ক্রিকেটে কীভাবে এসেছিলেন তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা পুরোটাই পরিবারের সহযোগিতা বলে আমি মনে করি। বিকেএসপি নামে যে এমন একটা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে শুধু খেলাধুলাকেই অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়, এটা আসলে আমি জানতাম না। বাবাই এটার প্রথম খোঁজ নেন। বাবার কাছে অনেক অভিযোগ আসত, আমি পড়াশোনা কম করছি, শিক্ষকদের কথা শুনছি না। স্কুলে মাঝেমধ্যে যাই, আবার যাই না। তাই বাবা একটু চিন্তিতই ছিলেন আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এক আত্মীর মাধ্যমে তিনি যখন এই প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পেলেন, বললেন, যেহেতু আমার ছেলে একটু পাগলই, খেলাধুলার পেছনে দৌড়াদৌড়ি করে বেশি, তাহলে দেখি একটু চেষ্টা করে কিছু হয় কি না। কারণ এইখানে তো ওর ভালো কিছু হচ্ছে না। পড়াশোনা করছে না। খেলাধুলাই করুক। বাবাই আসলে আমাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন। তারপর আমার পুরো পরিবারই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। শুধু বাবা না, আমার মা, বড় ভাইবোনেরা, আমার চাচা-চাচিরা। আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। প্রায় ৩০ জন একসঙ্গে থাকতাম। ওরাই অনেক সাহস জুগিয়েছে আমাকে। আর আমি মনে করি, যে কারোর জন্যই পরিবারের সহযোগিতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন… নীতিশ নাকি ফ্যাফ! আসলে টস জিতল কে? টস বিতর্ক দিয়ে শুরু KKR vs RCB ম্যাচ
উইকেটকিপার কেন হলেন তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটার পিছনে একটা গল্প আছে। ছোটবেলায় পাড়ায় পাড়ায় খেলতে যেতাম বড় ভাইদের সঙ্গে। কৃষ্ণপুর নামের একটা জায়গা আছে বগুড়ায়। ওখানে খেলতে গিয়েছিলাম। যে ভাইয়া নিয়মিত কিপিং করতেন, তিনি সেদিন করতে পারেননি। তখন খোঁজা হচ্ছিল কিপিং কে করতে পারে। আমি বললাম, দেখি আমি একটু চেষ্টা করে। ওই দিন আবার আমি দুইটা ক্যাচ খুব ভালো নিয়েছিলাম। বলতে পারো গোড়াপত্তনটা ওইখান থেকেই শুরু। অন্তত কিপিংটায় ভালোই মজাই পেয়েছিলাম। এমন একটা কাজ, যেটা কিনা আমি করতে পারছি। কারণ, তখন আমার চেয়ে আমার ব্যাটই অনেক বড় ছিল। এই জন্য টিমে আমাকে নেওয়া হতো অন্তত যেন কিপিং করতে পারি। তখন থেকেই উত্সাহটা ওভাবে আসে। কিপিংয়ের ওপর জোরটা বেশি দেওয়া শুরু করি। কিপার–ব্যাটসম্যান হলে বা একটা অলরাউন্ডার হলে টিমে খেলার সুযোগটা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। তো এটাই ইচ্ছা ছিল কোনো অলরাউন্ডার হওয়া যায় কি না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।