আইপিএল ২০২২-এ, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দলের ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলারদের উপরেও ভরসা রাখলেন। সেই কারণেই এবারের নিলামে টাকার ভারী বৃষ্টিপাত হল পেস বোলারদের জন্য। যেখানে শ্রেয়স আইয়ার এবং ইশান কিষাণদের মতো তরুণ ও অভিজ্ঞ বোলাররা নিলামে মোটা টাকা পেয়েছেন। ভারতীয় ফাস্ট বোলার দীপক চাহার এবং প্রসিধ কৃষ্ণাও মোটা অর্থ পেয়েছেন। এই নিলামে বেশকিছু ফাস্ট বোলারের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কত টাকা খরচ করল দেখে নিন।
দীপক চাহার: সবার চোখ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা বোলার দীপক চাহারের দিকে। সকলেই আন্দাজ করেছিলেন যে এবারের নিলামে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা পেতে চলেছেন এবং সেটাই হয়েছে। অনেক দলের মধ্যে বিডিং যুদ্ধের মধ্যে, চেন্নাই সুপার কিংস দীপক চাহারকে কিনেছে। তার জন্য তাদের ১৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এর আগে তিনি ৮০ লক্ষ টাকায় সিএসকে-তে ছিলেন।
শার্দুল ঠাকুর: চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা শার্দুল ঠাকুরকেও এবার ধোনির সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে না। তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শার্দুলকে ১০.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছে দিল্লি। এর আগে শার্দুলকে ২.৬০ কোটি টাকা দিয়ে নিয়েছিল সিএসকে।
হার্ষাল প্যাটেল: ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় হার্ষালকে দলে কেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২ কোটি টাকা বেস প্রাইসের হার্ষাল প্যাটেলের জন্য লড়াই চালায় আরসিবি ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ পযর্ন্ত ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় হার্ষালকে দলে ফেরায় আরসিবি।
আবেশ খান: আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে দামী 'আনক্যাপড' খেলোয়াড় হয়েছেন আবেশ খান। তাঁকে ১০ কোটি টাকায় কিনল লখনউ সুপার জায়েন্টস। আবেশ খানের বেস প্রাইজ ছিল ২০ লাখ টাকা। ১০ কোটি টাকা দাম উঠেছে। ৫০ গুণ বেড়েছে দাম। ২০২১ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের ভালো পারফরম্যান্সের অন্যতম কারণ ছিলেন আবেশ। ১৬ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছিলেন।ইকোনমি রেট ৭.৩৭। গতবার ৩০ ইয়র্কার করেছিলেন। যা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল।
প্রসিধ কৃষ্ণ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হওয়া প্রসিধ কৃষ্ণাও এই নিলামে কোটিপতি হয়েছেন। দলগুলি তার জন্যও প্রচণ্ডভাবে বিড করা হয়েছে। তবে রাজস্থান রয়্যালস তাকে ১০ কোটি টাকায় শেষ পর্যন্ত কিনেছে। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন কৃষ্ণ। সেই সময় দল তাকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে ছিল।
লকি ফার্গুসন: কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা লকি ফার্গুসনের জন্যেও দলগুলো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। গুজরাট টাইটানস শেষ পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা দিয়ে তাকে তাদের দলে নিয়েছে।
জোস হ্যাজেলউড: গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা জশ হ্যাজলউডকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৭.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছে। গত আইপিএল মরশুম জোশের জন্য খুব ভালো ছিল। হ্যাজেলউডকে এর আগে সিএসকে ২ কোটি টাকায় নিয়েছিল। মার্ক উডকে ৭.৫ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।