নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারালেও ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। শেষমেশ দুই বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় তাদের। এই ম্যাচের পরেই দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্তের সমালোচনায় মুখর হন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
দারুণ শুরুর পর অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে এক সময় বেশ চাপে পড়ে যায় দিল্লি। সেখান থেকে পন্ত ও সরফরাজ খান দিল্লির হাল ধরেন। তবে ইনিংসের শেষের দিকে গিয়ে একেবারেই বড় শট হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়াতে ব্য়র্থ হন পন্ত। ৩৬ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দিল্লি ফ্রাঞ্চাইজির প্রাক্তন অধিনায়ক সেহওয়াগের মতে পন্ত অন্তত ২০ রান কম করেন, যার ফল সরাসরি ম্যাচে দেখা যায়। লখনউ ম্যাচে পন্তের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়েই সেহওয়াগ হতাশ।
Cricbuzz-এ সেহওয়াগ বলেন, ‘ও যে ভঙ্গিমায় ব্যাট করছে, সেটাই চিন্তার বড় কারণ। হার-জিত তো থাকবেই। ও যে পরিমাণ বল খেলেছে, তাতে অন্তত ৬০ রান করা উচিত ছিল পন্তের। ও যদি ওই ২০ রান করতে পারতো, তাহলে সেটা লখনউয়ের উপর বড় চাপ তৈরি করত। আমার মতে কোনও অবস্থাতেই ওর নিজের খেলার ধরণ বদল করা উচিত নয়। ওর আরও খোলা মনে খেলা দরকার। কারণ সবাই জানে, যেদিন পন্ত বড় রান করবে, সেদিন ও একাই নিজের হাতে দলকে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’
সেহওয়াগ পন্তকে সাবধান করে বলেন, তিনি যদি অধিনায়কত্বের কথা ভেবে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলেন, তাহলে তাঁর ব্যর্থ হওয়া নিশ্চিত। ‘ওর যদি মনে হয় ও অধিনায়ক বলে ওকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে, তাহলে এ মরশুমের আইপিএলে ও ব্যর্থ হবে। কারণ ওর খেলার ধরণ একেবারেই ওরকম নয়। ও ওইরকম দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসার খেলোয়াড় নয়। ও আসবে বড় শট মারবে এবং ঠিকঠাক না লাগলে আউট হবে, এটাই ওর মানসিকতা হওয়া উচিত এবং এ বিষয়টা ওকে পরিস্কারভাবে বলে দেওয়া দরকার।’ দাবি ভারতীয় প্রাক্তনীর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।