নিজেদের ডেরায় ডেকে এনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসকে দুরমুশ করার সুযোগ ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে। লোকেশ রাহুলরা হাসতে হাসতে জয় তুলে নিতে পারতেন হার্দিক পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে। যদিও ঘরের মাঠে খারাপ ব্যাটিংয়ের মাশুল দিয়ে জেতা ম্যাচ হারতে হয় লখনউকে। ক্যাপ্টেন রাহুল ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বল নষ্ট করে দলকে হারান।
লখনউয়ে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। চলতি আইপিএলে টস জিতে রান তাড়া করতে দেখা যাচ্ছে সব দলকেই। হার্দিক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর ডাকাবুকো সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে ভুল মনে হলেও শেষমেশ সাফল্য এনে দেয় টাইটানস শিবিরকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট একেবারে শুরুতেই শুভমন গিলের উইকেট হারিয়ে বসে। ২ বল খেলে খাতা খোলার আগেই ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে রবি বিষ্ণোইয়ের হাতে ধরা পড়েন শুভমন। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে গুজরাটকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। যদিও রান তোলার গতি বাড়াতে না পারায় শেষমেশ বড়সড় ইনিংস গড়া হয়নি টাইটানসের।
ঋদ্ধিমান নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ৪৭ রান করে পান্ডিয়ার বলেই দীপক হুডার হাতে ধরা পড়েন। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্য়াপ্টেন হার্দিক। তিনি ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ৬৬ রান করে স্টইনিসের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ধরা পড়েন।
আরও পড়ুন:- LSG vs GT: ধোনিদের এলিট লিস্টে ঋদ্ধিমান, মাইলস্টোন ম্যাচ হাতছাড়া নিশ্চিত অর্ধশতরান
বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। অভিনব মনোহর ৩, বিজয় শঙ্কর ১০, ডেভিড মিলার ৬ ও রাহুল তেওয়াটিয়া অপরাজিত ২ রান করেন। গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রান তোলে। ক্রুুণাল পান্ডিয়া ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৩ ওভারে ২০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন মার্কাস স্টইনিস। এছাড়া ১টি করে উইকেট দখল করেন নবীন উল হক ও অমিত মিশ্র।
পালটা ব্যাট করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৭ রানে আটকে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান দরকার ছিল সুপার জায়ান্টসের। মোহিত শর্মার শেষ ওভারে ৪ রান ওঠে এবং ৪টি উইকেট পড়ে, যার মধ্যে ২টি ছিল রান-আউট। গুজরাট জায়ান্টস শেষমেশ ৭ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে।
লোকেশ রাহুল ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬১ বলে ৬৮ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। ডেথ ওভারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বল নষ্ট করেন লোকেশ। কাইল মায়ের্স করেন ১৯ বলে ২৪ রান। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ক্রুণাল পান্ডিয়া ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ২৩ রানের যোগদান রাখেন। বাকিরা ব্যাট হাতে ডাহা ফেল।
মোহিত শর্মা ৩ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন। ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন নূর আহমেদ। ৩৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রশিদ খান।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।