রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে রোহিত শর্মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার জেরে তিনি ফিল্ডিং করতে নামেননি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যাট করতে নামেন হিটম্যান। বদলে রোহিতের জায়গায় নেতৃত্ব দেন সূর্যকুমার যাদব। আর সূর্যের নেতৃত্বে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই নিজেদের শেষ ওভার করার আগেই সময় শেষ হয়ে যায়।
স্বাভাবিক ভাবেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথম বার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শাস্তির মুখে পড়তে হয় সূর্যকে। স্লো-ওভার রেটের জন্য বড় জরিমানা হয়েছে সূর্যের। যেহেতু স্লো-ওভার রেট সংক্রান্ত এটি মুম্বইয়ের এই মরশুমে প্রথম ভুল ছিল, তাই সূর্যকুমার যাদবকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। রোহিতের বদলে যেহেতু সূর্য দলকে মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাই তাঁর ঘাড়েই কোপ পড়ে শাস্তির।
আরও পড়ুন: একেই হার, তার উপর শোকিনের সঙ্গে ঝামেলা, জরিমানা নীতিশের, ছাড় পেলেন না MI বোলারও
এ দিকে পরপর দুই ম্যাচ জিতে নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যেন আইপিএলে অক্সিজেন পেল। এই মরশুমে প্রথম দুই ম্যাচ হারতে হয়েছে মুম্বইকে। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচ জিতে পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এ দিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স আবার পরপর দুই ম্যাচ হেরে পড়ে গেল অস্বস্তিতে।
নাইট ব্যাটারদের ব্যর্থতা, দলগঠনে পরিকল্পনার অভাব, জোরে বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং, স্পিনারদের ধারাবাহিকতা অভাব- সব মিলিয়েই আরব সাগরে তীরে ফের হেরে লজ্জার নজির গড়ল নাইট রাইডার্স। আরও এক বার শাহরুখ খানের শহরে হারতে হল কলকাতাকে। বেঙ্কটেশ আইয়ারের সেঞ্চুরিও আরব সাগরের জলে ভেসে গেল। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিযান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের হারের লজ্জার রেকর্ডই ধরে রাখল কলকাতা। কেকেআর-কে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই।
আরও পড়ুন: ছোট মাঠে বেআব্রু নাইটদের স্পিন ত্রিফলা, ব্যর্থ পেসাররাও- KKR-এর হারের বড় কারণ
ওয়াংখেড়ে যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে বধ্যভূমিই হয়ে উঠেছে। ১১ বছর আগে আরব সাগরের পারের স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা। তার পরে এবং তার আগেও কখনও ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয় পায়নি কেকেআর। ২০১২ সালেই ওয়াংখেড়েতে প্রথম জিতেছিল তারা। আর সেটাই এখনও পর্যন্ত শেষ জয়। নাইটদের জন্য ওয়াংখেড়েতে কী ‘জুজু’ রয়েছে, সেটা সত্যিই রহস্যের।
রবিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ৬ উইকেটে ১৮৫ রান করে। এর মধ্যে বেঙ্কটেশ আইয়ার একাই ৫১ বলে ১০৪ রান করেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই খুব সহজেই ১৪ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ১৭.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৫ উইকেটে ম্যাচ হারে কেকেআর। এই নিয়ে পরপর দুই ম্যাচ হেরে বেশ চাপে পড়ে গেল তারা। এ দিকে প্রথম দুই ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও, পরপর দুই ম্যাচ জিতে অক্সিজেন পেল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।