শুভব্রত মুখার্জি: ২২ গজে মহেন্দ্র সিং ধোনি মানেই ঘটনাবহুল সময়ের সাক্ষী থাকে দর্শকরা। ব্যাট হাতে হোক বা উইকেট কিপিং গ্লাভস হাতে ধোনির জুড়ি মেলা ভার। আইপিএলের প্রথম মরশুম থেকেই খেলছেন এভারগ্রিন ক্যাপ্টেন কুল। ১৬ তম মরশুমে এসেও তাঁর নেতৃত্বেই ফাইনালে পৌঁছেছে চেন্নাই সুপার কিংস দল। ফাইনালে গুজরাটের বিরুদ্বে তাঁর দুরন্ত স্ট্যাম্পিংয়ে ভর করেই প্রথম উইকেট পায় চেন্নাই। আর এই স্ট্যাম্পিংয়ের মধ্যে দিয়েই বছর পাঁচেক আগের আইপিএলের এক স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
কাকাতলীয়ভাবে ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের আইপিএলকে মিলিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি! ২০১৮ সালের আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপ বিজয়ী ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ফাইনালে তাঁকে স্ট্যাম্প আউট করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন ধোনি। অপরদিকে ২০২৩ সালের আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ বিজয়ী শুভমন গিলকেও ফাইনালে একই পদ্ধতিতে আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন তিনি। স্ট্যাম্পের পিছনে এদিনে তাঁর ক্ষিপ্রতা ছিল দেখার মতন। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মাত্র .১ সেকেন্ড সময় নেন তিনি গিলকে স্ট্যাম্পিং করতে।
রবীন্দ্র জাদেজার বলে খেলতে গিয়ে গিলের পা ক্রিজের বাইরে একটু বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই ধোনি অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় বেল উড়িয়ে দেন। ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই এই নিয়ে দশম ফাইনাল খেলছে। দশ বারের মধ্যে এই দুইবারেই ফাইনালে ধোনি কোনও ক্রিকেটারকে স্ট্যাম্পিং করতে সমর্থ হলেন। ফলে এদিন ফাইনালে মাত্র ২০ বলে ৩৯ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন শুভমন গিল। প্রসঙ্গত চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন শুভমন গিল। পরপর চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই দুরন্ত শতরান করেন তিনি। কোয়ালিফায়ার ২-এর ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৬০ বলে ১২৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করেই পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল গুজরাট টাইটানস। ২০২২ সালে তাদের আইপিএলে অভিষেক হওয়ার পরে এটি ছিল পরপর দুই মরশুমে তাদের দ্বিতীয় ফাইনাল খেলল গুজরাট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।