রোনাল্ডো পারেননি। মেসি পারলেন। যদিও জুভেন্তাসের হারের জন্য ক্রিশ্চিয়ানোকে দোষ দেওয়া হচ্ছে না। তবে বার্সেলোনার জয়ের জন্য মেসির কৃতিত্ব অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কার্যত একক দায়িত্বে সিরি-এ চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ জিতয়েও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট এনে দিতে ব্যর্থ সিআর সেভেন। অন্যদিকে, নিছক সাধারণ মানের ফুটবল খেলা বার্সেলোনাকে একার কাঁধেই ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আটের আঙিনায় টেনে নিয়ে গেলেন এলএম টেন।
আগের দিন ফরাসি ক্লাব লিয়ঁর বিরুদ্ধে জিতেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে রোনাল্ডোদের। মেসিরা অবশ্য যথারীতি শেষ আটের বৃত্তে ঢুকে পড়লেন ঘরের মাঠে নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে।
প্রথম লেগে নাপোলির ঘরের মাঠে অর্থাৎ, প্রি-কোয়ার্টারের অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সেলোনা ১-১ গোলে ড্র করেছিল। যার অর্থ, ফিরতি লেগে অন্তত ১ গোলের ব্যবধানে জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত ছিল বার্সার। মেসিরা ন্যু ক্যাম্পে নাপোলিকে উড়িয়ে দেয় ৩-১ গোলে। বার্সার হয়ে ১টি গোল করেন মেসি। তবে সারা ম্যাচে তিনি দাপটের সঙ্গে বিচরণ করেন।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় রাকিটিচের পাস থেকে গোল করে বার্সাকে ১-০ এগিয়ে দেন লেংলেট। ২৩ মিনিটে মেসির দুরন্ত গোলে ২-০ এগিয়ে যায় বার্সা। ৪৫+১ মিনিটে সুয়ারেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেই নাপোলি ব্যবধান কমাতে সক্ষম হয়। ৪৫+১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সার জালে বল জড়িয়ে ম্যাচের ফলাফল ৩-১ করেন লরেঞ্জো ইনসাইন।
ম্যাচের চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধ গোলশূন্য থাকায় চূড়ান্ত স্কোরলাইনে কোনও বদল হয়নি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে প্রি-কোয়ার্টার জিতে টানা ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নেয় বার্সা। একটানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার নিরিখে রেকর্ড ছিল বার্সেলোনার নামেই। তারা সেই রেকর্ড আরও একটু দীর্ঘায়িত করে। শেষ আটে বার্সেলোনাকে টপকাতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের কঠিন বাধা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।