শ্রীলঙ্কা সফরে পা দেওয়ার পর গত কয়েকদিনে ভারতীয় দল অনুশীলন সেরেছে কলম্বোয়। সোমবার তারা নিজেদের মধ্যে দু'টি দলে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে। একটি দলকে নেতৃত্ব দেন শিখর ধাওয়ান। অপর দলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন ভুবনেশ্বর কুমার।
২০ ওভারের ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমারের দল অনায়াসে পরাজিত করে শিখর ধাওয়ানের দলকে। ধাওয়ানদের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন মণীশ পান্ডে। পালটা হাফ-সেঞ্চুরি করে ভুবনেশ্বরদের জয়ের রাস্তা দেখান সূর্যকুমার যাদব। দু'দলের হয়ে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়, পৃথ্বী শ ও দেবদূত পাডিক্কাল।
ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে ৯০ সেকেন্ডে গোটা ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেন। বিসিসিআই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে।
ভিডিওয় মামব্রে বলেন, 'আমরা কলম্বোয় রয়েছি। এবার ম্যানেজমেন্ট আমাকে স্কোয়াডের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। আমাকে একটা টি-২০ ম্যাচ ৯০ সেকেন্ডে বর্ণনা করতে বলা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক ম্যাচটা কেমন ছিল। শিখর ধাওয়ান ও ভুবনেশ্বর কুমারকে দুই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। শিখর টস জেতে এবং ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওর দল ২০ ওভারে ১৫০-এর মতো রান তোলে। উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে রুতুরাজ। ৩০-এর মতো রান করে। মণীশ পান্ডে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে। সবাই মণীশের অবদানের প্রশংসা করে। কেননা ব্যাটিং করা সহজ ছিল না।'
মামব্রে পরক্ষণেই দ্বিতীয় ইনিংসের বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘রান তাড়া করতে নেমে ভুবির দল ১৭তম ওভারে সহজেই জয় তুলে নেয়। সূর্যকুমার ৫০-এর বেশি রান করে। দেবদূত ও পৃথ্বী শ’ও কার্যকরী অবদান রাখে। ওরা ৬০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে।'
শেষে ভারতের বোলিং কোচ জানান যে, কীভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট টার্গেট আরও একটু কঠিন করে দেয়। তিনি বলেন, ‘ওদের কাছে টার্গেটটা খুব সহজ দেখাচ্ছিল। আমরা টার্গেটটা বদলে দিই। ওদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিই ৪ ওভারে আরও ৪০ রান করার। ওরা সেটাকে সহজে তাড়া করে। সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে আমরা যেটা দেখতে চেয়েছিলাম, সেটা পেয়েছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।