২০০৩ সালের ঠিক এই দিনটিতেই অর্থাৎ, ২৬ জুলাই ভারতীয় ক্লাব ফুটবলকে অন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে ইস্টবেঙ্গল। সুভাষ ভৌমিকের প্রশিক্ষণে লাল-হলুদ বাহিনী চ্যাম্পিয়ন হয় আসিয়ান কাপে।
ইন্দেনেশিয়ার জাকার্তায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে পরাজিত করে থাই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেক তেরো সাসানাকে। যদিও গ্রুপ লিগে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই সাসানার কাছেই ০-১ গোলে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপাইন আর্মিকে ৬-০ গোলে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার পারসিতা তাঙ্গেরাংকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় লাল-হলুদ শিবির। ইন্দোনেশিয়ার পেত্রোকিমিয়া পুত্রার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হয়। পেনাল্টি শুট-আউটে ৭-৬ গোলে জয়লাভ করে ইস্টবেঙ্গল। শেষে ফাইনালে সাসানার বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ জিতে খেতাব নিশ্চিত করে তারা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হন ভাইচুং ভুটিয়া।
প্রথম কোনও ভারতীয় দল হিসেবে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের কোনও ক্লাব টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। তার আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এতবড় সাফল্য আর কোনও ভারতীয় ক্লাবের ছিল না।
১৭ বছর আগেই সেই স্মরণীয় জয় সম্পর্কে অ্যালভিটো ডি'কুনহা Scroll.in-কে জানান, আসিয়ান জিতে কলকাতায় ফেরার স্মৃতি তিনি কখনও ভুলবেন না। তাঁর কথায়, ‘রাত তখন দেড়টা হবে। আমরা সবাই ক্লান্ত। ঘুম জড়ানো চোখে সবাই অপেক্ষা করছে কখন হোটেলে পৌঁছব। তবে বিমানবন্দরে পা দেওয়ার পর আমাদের ঘুম ও ক্লান্তি মুহূর্তে উধাও। ১০ হাজার সমর্থক ইস্টবেঙ্গল ও ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে আমাদের স্বাগত জানাতে এসেছে, এটা দেখে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। সারা রাস্তা জুড়ে সমর্থকদের যে রকম উন্মাদনা দেখেছি, কেরিয়ারে আর কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি।’
প্রথম ম্যাচ ছাড়া ফাইনাল-সহ টুর্নামেন্টের সব ম্যাচে গোল করা ভাইচুং বলেন, 'সন্দেহ নেই কোনও ভারতীয় ক্লাবের দেশের বাইরে এটাই সবথেকে বড় সাফল্য।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।