শুভব্রত মুখার্জি
ভারতের বাঁ-হাতি তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত যে অসাধারণ এক ট্যালেন্ট, তা বারবার তিনি তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের অসাধারণ শুরু করার পরে হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে রান তো ছিলই না। উল্টে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতেও আসছিল না সাফল্য। যার প্রভাব তাঁর খেলাতে স্পষ্ট ছিল। দেশের জার্সি গায়ে হোক বা তার আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়েও তাঁর পারফরম্যান্স ছিল খুব খারাপ।
যে ঋষভ পন্ত তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের শুরুতেই ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতন কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বমানের বোলিংকে সামলে তাদের ঘরের মাঠে দু দুটি অসাধারন শতরান করেছিলেন। সেই ঋষভ তারপর থেকে অর্ধশতরানের গন্ডি পেরতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ফলস্বরূপ তাঁকে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে বাদ পর্যন্ত পড়তে হয়। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করেন। অনুশীলনে নিংড়ে দেন নিজেকে।
ফলস্বরুপ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের দেশের মাটিতে মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফেরেন ঋষভ পন্ত। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ম্যাচ বাঁচানো না হয় ম্যাচ জেতানো ইনিংস দলকে উপহার দিয়েছেন তিনি। যখন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন তখন ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন দলের হয়ে। ব্রিসবেনে টেস্টের শেষদিনে তাঁর খেলা অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের হাত ধরে এক অনবদ্য সিরাজ জয় অজিভূমে নিশ্চিত করেছিল রাহানে বাহিনী।
সেই তিনি দেশের মাটিতে পরপর তিনবার ৯০ রানের ঘরে আউট হয়ে যান। অল্পের জন্য সবক্ষেত্রেই মিস করেন শতরান। তবে রুটদের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে আমেদাবাদে চতুর্থ টেস্টে আর সেই ভুল করেননি পন্ত। ১১৮ বলে ১০১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড় করান দলকে। ১৩ টি চার এবং ২টি ছয়ে সাজানো ছিল দেশের মাটিতে করা তাঁর প্রথম শতরান।
আর এই শতরান করেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিরল নজির গড়ে ফেললেন পন্ত। স্পর্শ করলেন কিংবদন্তি প্রাক্তন অজি উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নজির। গিলির পরে দ্বিতীয় উইকেট রক্ষক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের মাটিতে শতরান করার কৃতিত্ব অর্জন করেন ঋষভ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।