প্রয়াত হলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি রাজিন্দর গোয়েল। রঞ্জি ট্রফিতে সবথেকে বেশি উইকেটে নেওয়া এই বাঁ-হাতি স্পিনার দীর্ঘ রোগভোগের পর রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
১৯৫৮-৫৯ মরশুমে ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন রাজিন্দর। ১৯৮৪-৮৫ মরশুম পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই দশক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ডোমেস্টিক ক্রিকেট। ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৫০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর রঞ্জি শিকারের সংখ্যা ৬৩৭, যা আজও কেউ ছুঁতে পারেননি। পঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন রাজিন্দর।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক হওয়া সত্ত্বেও কখনও জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি রাজিন্দর। বিষেণ সিং বেদির জন্যই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। বিশেষজ্ঞদের মত, বেদির সময়ে না জন্মালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কিংবদন্তিতে পরিণত হতে পারতেন গোয়েল।
একবার অবশ্য ভারতীয় দলের স্কোয়াডে ঢুকেছিলেন রাজিন্দর। ১৯৭৪-৭৫ সালে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ভারত সফরে এলে বেঙ্গালুরুর প্রথম টেস্টে বেদি ভারতীয় স্কোয়াডে ছিলেন না। তখন তাঁর পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছিল রাজিন্দরকে। শেষমেশ প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ না পেলেও তেমন একটা আক্ষেপ ছিল না রাজিন্দরের। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, খেলে আনন্দ পান, তাই মাঠে নামেন। ২০০১ সালে এক সাক্ষাৎকারে গোয়েল বলেন, 'আমি নিজের আনন্দের জন্যই খেলতে নামি। যখন উইকেট পাই, দারুণ অনুভূতি হয়। আমার সময়ে হরিয়ানা অনেক ম্যাচ জিতেছে। ধীরে ধীরে রাজ্যদল শক্তিশালী হয়েছে। সেই সময় অনেক ভালো ভালো স্পিনার ছিল। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ ছিল এক জন বাঁ-হাতি স্পিনারেরে। বেদি ছিল উপযুক্ত।'
রাজিন্দরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শোক জ্ঞাপন করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণ, রবি শাস্ত্রী, বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।