বোলারদের সঙ্গে সৌজন্যে ম্যাচে ফিরলেও তৃতীয় দিনের শেষে কিছুটা চাপে থাকল বাংলা। দিনের শুরুতে দ্রুত এক উইকেট হারানোর পর বরোদাকে ধসিয়ে দেন বাংলার বোলাররা। মাত্র ৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় বরোদা। জয়ের জন্য ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে বাংলার স্কোর তিন উইকেটে ৫৩ রান। দিনের শেষ বলে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার। ক্রিজে আছেন সুদীপ ঘরামি। জয়ের জন্য চতুর্থ দিনে বাংলার চাই ১২৪ রান। তৃতীয় দিনে বাংলা বনাম বরোদা ম্যাচের হাইলাইটস দেখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ব্লগে।
শেষ তৃতীয় দিনের খেলা, জয়ের জন্য বাংলার চাই ১২৪ রান
শেষ তৃতীয় দিনের খেলা। অনুষ্টুপ মজুমদার আউট হওয়ার পরেই খেলায় ইতি টানলেন আম্পায়াররা। চতুর্থ দিনে বাংলাকে ১২৪ রান করতে হবে। হাতে আছে সাত উইকেট। ম্যাচ বের করতে পারবে বাংলা?
বড় ধাক্কা বাংলার, দিনের শেষ ওভারে আউট অনুষ্টুপ
দিনের শেষ ওভারে জোর ধাক্কা খেল বাংলা। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতেই এসেই অনুষ্টুপ মজুমদারকে আউট করেন সোপারিয়া। ৩৮ বলে নয় রানে আউট হলেন অনুষ্টুপ। বাংলার স্কোর ২৮.৩ ওভারে তিন উইকেটে ৫৩ রান।
জয়ের জন্য ১২৪ রান চাই বাংলার, হাতে ৮ উইকেট
২৭ ওভারে বাংলার স্কোর দুই উইকেটে ৫৩ রান। জয়ের জন্য চাই আরও ১২৪ রান। ক্রিজে আছেন সুদীপ ঘরামি (৫৭ বলে ২৮ রান) এবং অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৫ বলে নয় রান)।
২২ ওভারে ৩৬-২
১৩ রানে নট আউট সুদীপ, অন্যদিকে সাত রানে আছেন অনুষ্টুপ। নিজেদের মধ্যে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলার চেষ্টা করছেন। বাংলার জিততে আর দরকার ১৪১। বরোদা মরিয়া আজ দিনের শেষ হওয়ার আগে আরও একটি উইকেট নেওয়ার জন্য।
ক্রিজে অনুষ্টুুুুপ
প্রথম ইনিংসে বড় রান করেছেন। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কী দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন অনুষ্টুপ। সেটাই এখন দেখার। টার্গেট খুব বড় নয়, তাই দুটো ভালো পার্টনারশিপ জয় নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু পজিটিভ অ্যাপ্রোচটা থাকা দরকারি। বাংলার দুই ওপেনার একেবারে খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রথম ইনিংসের মতোই এই ইনিংসেও অল্প রানে আউট হলেন তাঁরা।
আউট অভিমন্যু
ঠিক যেই উইকেটের প্রতীক্ষায় ছিল বরোদা। ইনফর্ম অভিমন্যু ঈশ্বরনকে সস্তায় ফেরালেন বাবাশফি পাঠান। মাত্র নয় রান করে জ্যোৎস্নিল সিংকে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। বাংলার দুই ওপেনার ফিরে গেলেন সাজঘরে, স্কোর মাত্র ২২, ১৫ ওভারের শেষে।
আউট অভিষেক
সোপারিয়ার বলে উইকেটরক্ষক মিথেশের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট অভিষেক দাস। তিনি সাত রান করে আউট হলেন। নতুন ব্যাটার সুদীপ ঘরামি। ১২ ওভার শেষে বাংলা ১৬-১। অভিমন্যু নয় রানে নট আউট।
দশ ওভারে ১৪-০
দুই ব্যাটার সাত রানে অপরাজিত। একটি করে চার মেরেছেন দুজনেই। তিন বোলার ব্যবহার করেও ব্রেকথ্রু পায়নি বরোদা। তবে খুব বেশি রানও করতে পারে বাংলা, যেটা কিছুটা নিশ্চিন্ত রাখবে বরোদাকে। জিততে দরকার আরো ১৬৩ রান।
অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে পিচ
সাত ওভার শেষে ১২-০. অভিষেক ৭ ও অভিমন্যু ৫ রানে অপরাজিত। পিচ থেকে তেমন সহায়তা মিলছে না বোলারদের। তাই চোখ সেট হয়ে গেলেই হয়তো কিছুটা অ্যাটাকিং খেলবে বাংলা। একদিক থেকে সোপারিয়া, অন্য দিক থেকে সহেজাদখান বল করছেন, যিনি প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন।
সাবধানী শুরু বাংলার
হাতে প্রচুর ওভার আছে। টার্গেট মাত্র ১৭৭। তাই শুরুতে খুব দেখে খেলছেন বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক দাস ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। প্রথম চার ওভারে মাত্র চার রান হয়েছে। আঁটোসাটো বোলিং বরোদার পেসারদের। শুরুতেই উইকেট ফেলতে চাইবেন তারা।
ফের পেসারদের দাপট
মুকেশ ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ইশান নিলেন ২২ রানে তিন উইকেট। আকাশদীপ একটি উইকেট নেন ১৯ রান দিয়ে। শেষ দুটি উইকেট রান আউট হয়েছে। শেষ তিনটি জুটিতে ৫৯ রান যোগ করে কিছুটা সম্মানজক টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাকে। নয়তো একসময় বরোদার ৩৯ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। পিচ অনেকটা সহজ হয়ে এসেছে। বাংলা যদি শুরুটা ভালো করতে পারে তাহলে অনেকটাই কাজ এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে বরোদার প্রথমেই উইকেট দরকার, তারা যদি এই ম্যাচ জিততে চায়।
অল আউট বরোদা
৯৮ রানে শেষ বরোদার ইনিংস। ৬২ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন প্রত্যুষ। শেষ উইকেট রান আউট হলেন সহেজাদখান পাঠান। ইয়র্কার বল সামাল দিতে গিয়ে ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। শর্ট লেগ থেকে দুরন্ত রান আউট করলেন। সবমিলিয়ে ৭৮ রানের লিড নিয়ে শুরু করে ৯৮ রানেই শেষ বরোদা। বাংলাকে জিততে হলে করতে হবে ১৭৭।
রানআউট
বাবাশফি আউট। অনুষ্টুপ মজুমদার তাঁকে রান আউট করলেন ব্যক্তিগত তিন রানের মাথায়। ৮৭-৯ বরোদা। আগের জুটি গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান করল। এবার কী রণনীতি নেন প্রত্যুষ, সেটাই দেখার।
অর্ধশতরান প্রত্যুষের
অনবদ্য অর্ধশতরান প্রত্যুষ কুমারের। প্রথম ইনিংসে রান করতে পারেননি, কিন্তু এদিন প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন। কিছুটা ভাগ্যের সহায় পেয়েছেন, যেখানে বারবার এজ মিস করেছে তাঁর ব্যাট। কিন্তু আগ্রাসী মানসিকতার সঙ্গে খেলে বরোদাকে লড়াকু একটি স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রত্যুষ ব্যাকফুটের ভালো প্লেয়ার। তাই যখনই শর্ট বল পেয়েছেন, চালিয়ে খেলেছেন। আবার গুড লেংথ থেকেও পিক আপ শট মেরেছেন তিনি। বাংলার উচিৎ ছিল অফের বাইরে চ্যানেলেই শুধু বল করার। কিন্তু যখন যখন বোলাররা লাইনচ্যূত হয়েছেন, সুযোগ নিয়েছেন প্রত্যুষ। অপরদিকে বাবাশফি প্রত্যুষকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে বাংলাকে চিন্তায় রাখছে এই দশম উইকেটের জুটি। ৪০ ওভারে শেষে বরোদা ৮৭-৮, লিড ১৬৫।
জমাট প্রত্যুষ
লাঞ্চের পর পিচ অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে। ক্রিজে জমে গিয়েছেন প্রত্যুষ। তিনি নটআউট ৪৪ রানে। ৩৫ ওভার শেষে বরোদা ৭৫-৮। লিড ১৫৩ রানে। অন্যদিকে এক রানে নট আউট বাবাশফি। যদিও তাঁর খুব একটা ক্লোজ এলবি আপিলে সায় দেননি আম্পায়ার। এখানে ডিআরএসের ব্যবস্থা নেই, তাই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে হল বাংলাকে।
ভালো খেলছেন প্রত্যুষ
লাঞ্চের পর খেলা শুরু হতেই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছেন প্রত্যুষ। দুটি চার ও একটি ছক্কার দৌলতে ৩৩ অপরাজিত তিনি। অন্যদিকে আউট হলেন সোপারিয়া। ৬৩ রানে আট উইকেট পড়ে গেল বরোদার তিরিশ ওভারের শেষে। আকাশদীপ প্রথম উইকেট পেলেন সোপারিয়াকে বোল্ড করে।
লাঞ্চে বরোদা ৪৯-৭
২৭ ওভারের শেষে বরোদা ৪৯-৭। এখনও খাতা খোলেননি সোপারিয়া। অন্যদিকে প্রত্যুষ কুমার ২৫ রানে অপরাজিত। প্রথম ইনিংসে ৭৮-এর লিড পেয়েছিল বরোদা। ফলে তারা ১৩৭ রানে এগিয়ে। কমপক্ষে ২০০ টার্গেট নিশ্চিত ভাবেই দেওয়ার চেষ্টা করবে তারা। বাংলার হয়ে মুকেশ চারটি ও ইশান তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এখনও আকাশদীপ কোনও উইকেট পাননি। প্রথম সেশনে বাংলার একটি উইকেট সহ আটটি উইকেট মোট পড়েছে। দ্বিতীয় সেশনে একটু উইকেট সহজ হয়ে যায় কিনা খেলার জন্য, এখন সেটাই দেখার।
চালানোর চেষ্টা করছেন প্রত্যুষ
হাতে আর মাত্র তিনটি উইকেট। তাই এবার অ্যাটাকিং শট খেলার চেষ্টা করছেন বরোদার ওপেনার প্রত্যুষ। তাঁর সাত সঙ্গী আউট হয়ে গেলেও তিনি একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন।
আউট পিথিয়া
চালাতে গিয়ে আউট হলেন মহেশ পিথিয়া। ১৬ বলে ২ রান করে আউট তিনি। মিড অফে উঁচু ক্যাচ নিলেন ইশান পোড়েল। এই নিয়ে চতুর্থ উইকেট পেলেন মুকেশ কুমার। ৪০ রানে সাতটি উইকেট পড়ল বরোদার।
ক্রিজে পিথিয়া
৬টি উইকেট পেলেও এখনই হাঁপ ছাড়ার সময় নেই বাংলার। কারণ ক্রিজে এসেছেন বিপজ্জনক পিথিয়া। তিনি প্রথম ইনিংসে ৫২ রান করেছিলেন। তার দৌলতেই প্রায় ৩০০ করেছিল বরোদা। ফলে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফেরাতে চাইবে বাংলার বোলাররা। ২১ ওভার শেষে বাংলা ৩৫-৬।
পরপর দুটি উইকেট
চার রান করে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রাথওয়া। একই ভাবে অনুষ্টুপকে ক্যাচ দিয়ে রানে ফিরলেন উইকেটরক্ষক মিথেশ প্যাটেল। পরপর দুটি উইকেট পড়ল বরোদার, ১৯ ওভার শেষে ৩০-৬ বরোদা। তিনটি উইকেট নিয়েছেন মুকেশ, তিনটি ইশান। ১০৮ রানে এই মুহূর্তে এগিয়ে বরোদা। এখনও ক্রিজে আছেন প্রত্যুষ, তাঁর ওপর অনেকটা নির্ভর করছে কত টার্গেট দিতে পারবে দল।
আউট শাশ্বত
অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন শাশ্বত রাওয়াত। আট রানে আউট তিনি, শিকার হলেন ইশান পোড়েলের বলে। ১৫ ওভার শেষে ২২-৪।
মন্থর গতিতে ব্যাটিং
যাতে আর কোনও উইকেট না পড়ে, কার্যত ঝাঁপ ফেলে দিয়েছেন বরোদার দুই ব্যাটার। ১৪ ওভার শেষে ১৬-৩
আউট বিষ্ণু
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সস্তায় আউট বরোদার অধিনায়ক। মুকেশ কুমারের বলে চালাতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে বসলেন তিনি। পাঁচ রান করে তিনি শাহবাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট। এই নিয়ে তৃতীয় সাফল্য মুকেশের। নয় রানে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছে বরোদার।
আরও উইকেটের খোঁজে বাংলা
প্রত্যুষ ও বিষ্ণু সোলাঙ্কি এখন ক্রিজে। দুজনেই প্রথম ইনিংসে রান পাননি। তাই এই ইনিংসে ভালো খেলার একটা চাপ থাকবে। উইকেট থেকে যথেষ্ট সাহায্য মিলছে। বাংলার ছেলেদের শুধু জায়গায় ধারাবাহিক ভাবে বল করে যেতে হবে। আট ওভারের শেষে ৮-২ বরোদা।
শুরুতেই ধাক্কা খেল বরোদা
মাত্র শূন্য রানেই দুটি উইকেট হারিয়েছে বরোদা। প্রথম ইনিংসে ভালো খেলা জ্যোৎস্নিল আউট হয়েছিল জিরোতে। ছটি বল খেলে অভিষেক পোড়েলকে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন মুকেশ কুমারের বলে। অন্যদিকে প্রিয়াংশু মোলিয়া গোল্ডেন ডাক। প্রথম বলেই তিনি মুকেশ কুমারের শিকার। বোল্ড হয়েছেন তিনি। পাঁচ ওভার শেষে বরোদা ৪ রান দুই উইকেটের লোকসানে।
নজর কাড়লেন পাঠান
সহেজাদখান পাঠান মাত্র ৪৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বোলিংয়েই কার্যত বিধ্বস্ত বাংলা। ৪৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন সোপারিয়া। মূলত পেসারদের দাপটেই কল্যাণীতে নাজেহাল বাংলা। পুরো ইনিংসে ৭২-এর একটি জুটি ছাড়া বাকি পার্টনারশিপ কহতব্য নয়। তবে বরোদা প্রথম ইনিংসের লিড পেলেও এখনও ম্যাচে অনেক সময় বাকি আছে। তাই সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপাতেই পারে বাংলা। তবে তার জন্য দরকার দ্রুত উইকেট।
শুরুতেই অল আউট বাংলা
আশা করা হয়েছিল হয়তো শেষ জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। কিন্তু তার বালাই নেই। ব্যক্তিগত সাত রানের মাথায় পাঠানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে আউট হলেন ইশান পোড়েন। ১৯১ রানে থামল বাংলার ইনিংস। অর্থাৎ ৭৮ রানের লিড পেল বরোদা। মাত্র ৫৯.৩ ওভার খেলেছে মনোজের দল। অর্থাৎ কার্যত ওডিআই-এর মেজাজে রঞ্জিতে খেলার চেষ্টা। তবে তাতে কোনও কাজের কাজ হয়নি। একমাত্র অনুষ্টুপ মজুমদারের ৯০ ছাড়া বলার মতো কেউ কিছু খেলেননি। অভিষেক পোড়েল ২৫ ও ঈশ্বরন ২২ করেছেন। বাকিরা সবাই সিঙ্গল ডিজিটে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।