শুভব্রত মুখার্জি: ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী রাজ্য হায়দরাবাদ। দুবারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়নদের জন্য সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। চলতি মরশুমে তাঁদের কার্যত অবনমনের মুখে পড়তে হল। এলিট গ্রুপ থেকে প্লেট গ্রুপে নেমে যেতে হল তাঁদের। রঞ্জির চলতি মরশুমটা তাঁরা শেষ করল মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে। যে রাজ্যের হয়ে একটা সময় মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা খেলেছেন সেই রাজ্যের ক্রিকেটের এমন বেহাল দশা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। তার থেকেও সবথেকে খারাপ বিষয়টা হল এবারের আসরের তাঁরা পেয়েছে মাত্র ১টি পয়েন্ট।
একমাত্র পয়েন্টটিও যে তাঁরা পেয়েছে তা আবার খারাপ আলোর বদান্যতায়! তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে তারা এই মরশুমে একটিমাত্র পয়েন্ট তুলে নিতে পেরেছিল। সৌজন্যে অবশ্যই খারাপ আলো। হায়দরাবাদে পাশাপাশি এলিট গ্রুপ থেকে প্লেট গ্রুপে নেমে গিয়েছে নাগাল্যান্ডও। তাঁদের ঝুলিতে ছিল মাত্র ২ পয়েন্ট। তবে ২ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন এবং ৩ বারের রানার্স আপ দল হায়দরাবাদ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মরশুমটা ভুলে যেতে চাইবে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই মরশুমের রঞ্জিতে শেষ ম্যাচে তাঁদের ৯ উইকেটে হারিয়ে দিল দিল্লি।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছিল তন্ময় শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদ দল। প্রথম ইনিংসে ৩৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তাঁরা। রোহিত রায়াডু প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন চন্দন সাহানি। তিনি ৬৭ রানের একটি ইনিংস খেলেন। হর্ষিত রানা এবং দ্বিবিজ মেহেরা তিনটি করে উইকেট নেন। জবাবে ৪৩৩ রান করে দিল্লি। আয়ুষ বাদোনি দুরন্ত ১৯১ রানের একটি ইনিংস উপহার দেন। অধিনায়ক যশ ধুল খেলেন ৭২ রানের একটি ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে হায়দরাবাদ মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ৪৭ রান তুলে ম্যাচটি নয় উইকেটে জিতে যায় ৯ উইকেটে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।