বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৭ রানে গুঁড়িয়ে দিলেন বিরাট কোহলিরা। ব্যাট হাতে রোহিত-রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরি এবং বল হাতে কুলদীপের হ্যাটট্রিক ভারতকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে (১-১) সমতায় ফিরতে সাহায্য করল।
এদিন ম্যাচে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। চেন্নাইয়ে পোলার্ডের পরে ব্যাট করার প্ল্যান কাজ করলেও, বিশাখাপত্তনমে তাঁর সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরল। ওপেনিং জুটিতে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ল ২২৭ রান। রোহিত-রাহুলের জোড়া শতরানে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় ভারত (৩৮৭)।
১০৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। তিনি ফিরতে ক্রিজে আসেন কোহলি। রোহিত ও রাহুল স্কোরবোর্ডে বড় রান জুড়তে সফল হলেও, বিশাখাপত্তনমের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন কোহলি। প্রথম বলেই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডের শিকার হন ভারত অধিনায়ক।
এদিকে রোহিত ১৩৮ বলে ১৫৯ রানের একটি চমকপ্রদ ইনিংস খেলে বসেন। তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ১৭টি চার ও ৫টি ছয়। এরপর ক্রিজে এসে ব্যাটে ঝড় তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি খেলেন ৩২ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। পিছিয়ে ছিলেন না দীর্ঘদিন অফ ফর্মের কবলে পড়ে থাকা ঋষভ পন্থও। তাঁর ১৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস এবং শেষ দিকে কেদার যাদবের ১০ বলে ১৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ভারত ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৭ রানে পৌঁছে যায়।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮৮ রান। স্বাভাবিকভাবে এই ম্যাচটি জিততে হলে শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তুলতে হত ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের। লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটাও ভালো করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। যদিও শার্দুল ঠাকুরের বলে শ্রেয়াস আইয়ার এর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে শুরুতে ফিরে যান এভিন লুইস(৩০)। অন্যদিকে, অবশ্য ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন চিপকে শতরান হাঁকানো শাই হোপ।
এভিন লুইস ফিরতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপ। আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় পাইয়ে দেওয়া শিমরন হেটমায়ার রান আউট হলেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর হেটমেয়ারকে রান আউট করার আসল কারিগর জাদেজা বোল্ড করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরও এক ব্যাটসম্যান রস্টন চেজকে (৪)।
চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে প্রতিরোধ করতে থাকেন শাই হোপ। এই দুইজনের জুটিতে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১০৬ রান। এই জুটি ভাঙেন মহম্মদ শামি। ৪৭ বলে ৭৫ রান করে ফেরেন পুরান। তার ঠিক পরের বলে পোলার্ডকেও ফেরান এই মুহূর্তে বিরাট কোহলির বোলিং ব্রিগেডের অন্যতম অস্ত্র শামি।
এরপর বিশাখাপত্তনমে শুরু হল কুলদীপ ম্যাজিক। ম্যাচের ৩৩তম ওভারের শেষ তিন বলে শাই হোপ (৭৮), হোল্ডার (০) জোসেফ (০) কে সাজঘরে রাস্তা দেখিয়ে দেন কুলদীপ। শেষ দিকে দলকে টানার কিছুটা চেষ্টা করেন কিমো পল। তিনি করেন ৪২ বলে ৪৬ রান। এদিন তাঁকেও ফেরান বাংলার প্রতিশ্রুতিমান বোলার শামি।
একেবারে শেষদিকে খারি পীরে ২১ রানের একটি ইনিংস খেললেও, সেটার মাধ্যমে দলকে তিনি বিশেষ সাহায্য করতে পারলেন না। ততক্ষণে গুঁড়িয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৩ ওভার ৩ বলে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচটি ১০৭ রানে জিতে নেয় ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।