সচিন তেন্ডুলকর না থাকলে কী যে হত বীরেন্দ্র সেহওয়াগের, কে জানে! মাস্টার ব্লাস্টার যদি বীরুকে না আটকাতেন তবে ২০১১ বিশ্বকাপটাই খেলা হত না বীরুর। কারণ ২০০৮ সালেই তিনি এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিতেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির একটি সিদ্ধান্তই শেষ করে দিচ্ছিল সেহওয়াগের ওডিআই কেরিয়ার। একটি সাক্ষাৎকারে সেহওয়াগ ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা বলতে গিয়ে নিজের মানসিক যন্ত্রণার কথা বলেন। সেই সময় রান পাচ্ছিলেন না ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। টেস্টে রান পেলেও এক দিনের ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম দল থেকে বাদ পড়তে হয় বীরুকে। তখনই ঠিক করে ফেলেন এক দিনের ক্রিকেট থেকে তিনি অবসর নেবেন।
বীরু বলেছেন, ‘২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের চিন্তা মাথায় আসে। টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলাম। কিন্তু এক দিনের ম্যাচে কিছুতেই রান পাচ্ছিলাম না। পর পর তিন-চারটে ম্যাচে ব্যর্থ হই। ধোনি আমাকে প্রথম দল থেকে ছেঁটে ফেলে। তখনই মনে হয়েছিল এক দিনের ক্রিকেট আর নয়, শুধু টেস্ট খেলব।’
আরও পড়ুন: কাঁচা বল ছুড়ত শোয়েব, সোজাসাপটা বলেই দিলেন সেহওয়াগ
তখন ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক ধোনি ছিলেন না, ছিলেন অনিল কুম্বলে। শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতেন ধোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর ত্রিদেশীয় এক দিনের সিরিজ হয়েছিল। শ্রীলঙ্কাও সেই সিরিজে খেলেছিল। টুর্নামেন্টের ১০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে খেলার সুযোগ পান বীরু।
সেহওয়াগ বলেছেন, ‘সচিন আমার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল। আমাকে বলে, এটা তোমার জীবনের একটা খারাপ সময়। অপেক্ষা কর। সফর শেষ হলে বাড়ি যাও। খুব ভালো করে ভাব। তার পরে ঠিক কর, কী করতে চাও। ওর কথাতেই তখন এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিইনি।’
এর পর আরও ৫ বছর ভারতীয় দলের জার্সিতে ওডিআই খেলেছেন সেহওয়াগ। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে ৪৫.৫৫ গড়ে ২,৯৬১ রান করেন তিনি। শতরান করেছেন সাতটি। বীরু ক্রিকেট জীবনে এক দিনের ম্যাচে মোট ১৫টি শতরান করেন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক শতরানই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ২০০৮ সালে অবসরের কথা ভাবার পর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।