১৯৯৯ সালে প্রথমবার পাকিস্তান জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন এক তরুণ শোয়েব মালিক। তারপর ২৩ বছর কেটে গিয়েছে। ৪০ ছুঁয়েও এখনও সর্বোচ্চ স্তরে নিজের খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক। তাঁর অবসর নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শোনা গেলেও, মালিক কিন্তু আবারও সাফ জানিয়ে দিলেন, আপতত তাঁর অবসর গ্রহণের কোনও পরিকল্পনা নেই।
Cricket Pakistan-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালিব বলেন,‘আমার বয়সের কারণে আমি দলের বোঝা হয়ে গিয়েছি, এই কথাটা অন্তত কেউ বলতে পারবে না। আমি সর্বোচ্চ স্তরে, বিশেষত টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে পারফর্ম করেছি। ব্যাট হোক বা বল, বিশেষ করে ফিল্ডিং, সবক্ষেত্রেই নিজের অবদান রেখেছি। আমি বর্তমানে তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিজের ক্রিকেটটা উপভোগ করছি, কারণ আমার গোটা অভিজ্ঞতাটাই আমি ম্যাচে কাজে লাগাতে পারছি।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছনো দলের অঙ্গ ছিলেন শোয়েব মালিক। এ মরশুমে পিএসএলেও তুখর ফর্মে দেখা গিয়েছে এই বর্ষীয়াণ তারকাকে। ১১ ম্যাচে ৪৪.৫৫ গড়ে মালিক মোট ৪১১ রান করেন, যা এ মরশুমের পিএসএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সুতরাং, বয়স যে তাঁর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে, এমনটা বলা যায় না। মালিক কিন্তু এ বছরের আসন্ন বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চান এবং তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে সে বিষয়েও জানান মালিক।
‘আমি বাবরের সঙ্গে আমার ভবিষ্যত নিয়ে কথাবার্তা বলতে বলি এবং যদি আমায় সীমিত সুযোগ দেওয়া হয়, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে জানাতে বলি। ও আমায় বাংলাদেশ সিরিজে খেলতে বলে তাই খেলি। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দল কিছু তরুণদের একটু পরখ করে নিতে আগ্রহী ছিল, তাই আমি বিশ্রাম নিই। সত্যি বলতে আমি এখনও বিশ্বকাপে কী করব না করব, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি, কারণ আমি সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে চাই। যদি বাবর আমায় খেলতে বলে, তাহলে খেলব। নতুবা সরে দাঁড়াব এবং সবটাই হবে সম্মানের সঙ্গে।’দাবি মালিকের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।