অনেকদিন ধরেই একাধিক কারণে বোর্ডের অন্দরে সমালোচিত হচ্ছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত যখন বুঝতে পারেন যে দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি থাকতে পারবেন না, তখন হতাশ হয়ে পড়েন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরো বিষয়টির নেপথ্যে ছিলেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেলেও ভারতীয় বোর্ডের তাজ যে সৌরভের হাতে থাকবে না, দিনকয়েক ধরেই সেই ইঙ্গিত মিলছিল। মঙ্গলবার তাতে সিলমোহর দেন বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। সৌরভের উত্তরসূরির পদে যে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য রজার বিনি বসতে চলেছেন, তাও কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাতে দৃশ্যতই সৌরভকে হতাশ লেগেছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন যে প্রথামতো নয়া বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনির নাম প্রস্তাব করেননি সৌরভ। মুম্বইয়ে বোর্ডের অফিসে থাকলেও নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া একেবারেই এড়িয়ে যান। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে সকলের শেষে বোর্ডের অফিস থেকে বেরোন। তারপর দ্রুত গাড়িতে বসে কাঁচ তুলে সৌরভ চলে যান বলে ওই বোর্ড সদস্যকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের ওই সদস্য বলেছেন যে, ‘তাঁকে দৃশ্যতই বিচলিত এবং হতাশ লাগছিল।’
আরও পড়ুন: BCCI Election: আইপিএল চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌরভের, রিপোর্ট
কেন সৌরভের কুর্সি থাকছে না?
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়ছিলেন সৌরভ। আগে কখনও বোর্ডের সর্বোচ্চ পদে একই ব্যক্তি পরপর দুটি পূর্ণ মেয়াদ সম্পূর্ণ করেননি বলে সরকারিভাবে যুক্তি দেখানো হলেও সৌরভকে সরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সলতে পাকানোর কাজ চলছিল। মঙ্গলবারের আগেই তাঁকে বলা হয়েছিল যে ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ঠিকমতো ‘পারফর্ম’ করতে পারেননি। যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেননি। সেইসঙ্গে বোর্ডের স্পনসরের ‘শত্রু’ সংস্থার হয়ে যেভাবে বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটাও বোর্ডের একাংশ কখনও ভালো চোখে দেখেনি বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নেপথ্যে শ্রীনি?
সৌরভের সঙ্গে যে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন সম্পর্ক অত্যন্ত ‘মধুর’, তা এমনিতেই কেউ বলে থাকেন না। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুযোগ থাকলেও সৌরভ যে দ্বিতীয় দফায় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না, তার নেপথ্যে আছেন শ্রীনিবাসন। যিনি বর্তমান বিসিসিআই কর্তাদের ‘মেন্টর’ হিসেবে পরিচিত। তবে সৌরভের তীব্র সমালোচক ছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে তিনি মুম্বইয়ে আসেন। সোমবার সকালে শ্রীনি ‘স্বপ্ননগরী’ থেকে চলে যান বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।